প্রিয়ম হাসান::
নামাজ মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি এক ফরজ বিধান বা ইবাদত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গায়
সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ।
নামাজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি।
অনেকেই খেয়ালের ভুলে নামাজ আদায়ে বেখেয়াল
হয়ে যায়। যার ফলে নামাজ কত রাকাআত আদায় করেছেন তা ভুলে যায়। সেক্ষেত্রে
করণীয় সম্পর্কে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন সুস্পষ্ট
দিক-নির্দেশনা।
হাদিসে এসেছে-
হজরত ইয়াজ ইবনে হিলাল বর্ণনা করেন আমি হজরত
আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, আমাদের কারো যদি খেয়াল না থাকে যে, সে
কতটুকু (রাকাআত) নামাজ আদায় করল, তবে সে কী করবে?
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কারো সালাত (নামাজ) আদায়কালে যদি কত
রাকাআত পড়েছে, সে খেয়াল না থাকে, তবে সে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সেজদা
(সাহু) দেবে।’ (তিরমিজি)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা
করেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের
কারো কারো সালাত আদায়কালে শয়তান আসে এবং সালাতের বিষয়ে সন্দেহে ফেলে দেয়।
ফলে সে (সালাত আদায়কারী) বুঝতে পারে না কত রাকাআত (সালাত) আদায় করলো।
তোমাদের কারো যদি এ রকম কিছু হয়, তবে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় সে যেন দুই
সেজদা (সাহু) আদায় করে।’ (তিরমিজি)
এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা.) এর ঘোষণা-
হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের কারো যদি সালাতে (নামাজে) ভুল হয়ে যায়। ফলে সে এক রাকাআত পড়ল না দুই রাকাআত পড়ল, তা যদি বুঝতে না পারে, তবে সে যেন এক রাকাআতকেই ভিত্তি হিসেবে ধরে নেয়।
হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের কারো যদি সালাতে (নামাজে) ভুল হয়ে যায়। ফলে সে এক রাকাআত পড়ল না দুই রাকাআত পড়ল, তা যদি বুঝতে না পারে, তবে সে যেন এক রাকাআতকেই ভিত্তি হিসেবে ধরে নেয়।
এমনিভাবে দুই রাকাআত পড়ল না তিন রাকাআত পড়ল, তা যদি বুঝতে না পারে, তবে সে যেন দুই রাকাআতকে ভিত্তি হিসেবে ধরে।
আর যদি তিন রাকাআত পড়ল না চার রাকাআত তা যদি
বুঝতে না পারে, তবে সে যেন তিন রাকাআতকে ভিত্তি হিসেবে ধরে। (এ সব
ক্ষেত্রে) সে যেন সালামের আগে দুই সেজদা (সাহু) করে নেয়।
হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে, প্রিয় নবী
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কারো যদি এক রাকাআত না দুই
রাকাআত (নামাজ পড়েছ) এ বিষয়ে সন্দেহ হয়, তবে এক রাকাআত ধরবে; আর যদি দুই
রাকাআত না তিন রাকাআত এই বিষয়ে সন্দেহ হয়, তবে দুই রাকাআত ধরবে এবং এই
কারণে সালাম ফেরনোর আগে দুই সিজদা (সাহু) আদায় করবে।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম
উম্মাহকে নামাজের রাকাআত সংখ্যায় বেখেয়াল হয়ে গেলে হাদিসের আলোকে বাকি
নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়