সারারাত ঘুমানোর পর সকালে অফিসে গেলেন। যাওয়ার পর কিছু সময় পর আপনার গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিং, কাজ করার সময় আপনার বার বার হাই ওঠছে। অনেক সময় এ ধরনের পরিস্থিতি আপনাকে হয়তো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হাই ওঠা স্বাভাবিক।
কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমের পরও ঘন ঘন হাই ওঠা কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ঘন ঘন হাই ওঠার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু বিষয়। আর তাই খুব বেশি হাই উঠতে থাকলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবেন।
১. এক-আধটা দিন রাত জেগে গল্প করলে বা সিনেমা দেখলে পরের দিন সকাল থেকে ক্লান্ত লাগতেই পারে। ঘুমে আছন্ন হয়ে বার বার হাইও উঠতে পারে। কিন্তু ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘ইনসমনিয়া’র মতো সমস্যা থাকলে নিয়মিত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। তাই অতিরিক্ত হাই উঠলে সাবধান থাকা উচিত।
২. বেশ কিছু ওষুধের প্রভাবেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। কাশি কমানো বা স্নায়ুর কোনো রোগের ওষুধ খেলে আচ্ছন্ন ভাব থাকে অনেকেরই। তার থেকেও হাই ওঠে।
৩. শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে, তবে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. চিকিৎসকেরা বলছেন, অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও অতিরিক্ত হাই ওঠে অনেকের। কোনও বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. মাথার অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়