Wednesday, July 31

নারকেলের বাম্পার ফলন

নারকেলের বাম্পার ফলন

:: লক্ষ্মীপুরে প্রতিনিধি ::
লক্ষ্মীপুরে এ বছর নারকেলের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৫ কোটি টাকার নারকেল ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এজেলায় দুই হাজার ৬৪৫ হেক্টর ভিটি জমিতে নারকেল বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৪২০ হেক্টর, কমলনগর ৩৫০ হেক্টর, রায়পুর ৩৬৫ হেক্টর ও রামগতি উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান রয়েছে। 
এ মৌসুমে সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি নারকেলের ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এর মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা। এছাড়া ১৫ কোটি টাকার বেশী নারকেলের ছোবড়া বিক্রি হবে বলে আশা করে হচ্ছে। 
নারকেল চাষী মো. পলাশ জানান, প্রায় ৫ শতাধিক নারকেল গাছ রয়েছে। নারকেল চাষে তেমন কোন খরচ নেই। প্রথমে গাছ লাগাতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গাছের মাথা পরিস্কার করতে হয়। একেকটি নারকেল গাছ ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে।
এছাড়া প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ২০০-৪০০টি পর্যন্ত নারকেল পাওয়া যায়। এ মৌসুমে তিনি ১০০ নারকেল ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টাকার নারকেল বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ বাজারের নারকেল ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, এ মৌসুমে হাজার নারকেল ১৪ থেকে ১৯ হাজার টাকা দরে প্রায় ৬০ লাখ টাকার নারকেল কিনেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টাকার নারকেল বিক্রি করেছেন। তার মোকামে আট জন শ্রমিক নারকেল ছোবড়া তোলার কাজ করছেন।
দালাল বাজারের নারকেল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, বর্ষা মৌসুমের প্রতি সপ্তাহে দালাল বাজার থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকার নারিকেল দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ছোবড়া কারখানার মালিক আকরাম হোসেন বলেন, “এ শিল্পে তেমন কোন লোকসান নেই। বার মাস নারকেলের ছোবড়ার চাহিদা রয়েছে।"
নারকেল শ্রমিক ইসমাইল হোসেন জানান, প্রায় বিশ বছর যাবৎ তিনি নারকেলের ছোবড়া তোলার কাজ করছেন। এক হাজার নারকেল ছোবড়া তুললে ৩০০ টাকা পান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ওছমান খান জানান, জেলায় বছর জুড়ে নারকেলের কেনা-বেচা হলেও জমজমাট ব্যবসা হয় এ বর্ষা মৌসুমে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নারকেলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এছাড়া নারকেল ভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেনও জানান তিনি।---পরিবর্তন
সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে

সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বেলাল মোহাম্মদের মরদেহ। এখানে তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

শহীদ মিনারে তার মরদেহকে রাষ্ট্রীয় 'গার্ড অব অনার' দেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ তালুকদার।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বেলাল মোহাম্মদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়। 
শহীদ মিনারে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে এপিএস একেএম মনিরুল ইসলাম। শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক বইতে স্বাক্ষরের পাশাপাশি বিভিন্ন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তার সহকর্মী, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। 
শহীদে মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
এরআগে মঙ্গলবার তার মরদেহ রাজধানীর পিজি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জনবিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কবি বেলাল মোহাম্মদ।--পরিবর্তন
সিএনজি চলাচলের দাবীতে অবরোধ

সিএনজি চলাচলের দাবীতে অবরোধ

:: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ::
জেলা সিএনজি মালিক সমিতি কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক বুধবার অবরোধ করে রাখে। সিএনজি চালকদের মারধোর, সিএনজি থেকে যাত্রী নামিয়ে নেওয়া বন্ধসহ সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের দাবীতে তারা এ অবরোধ করে।
বিকেল ৪টা থেকে তারা কুষ্টিয়ার মিরপুর ভাঙ্গা বটতলা নামক স্থানে এ অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়। অবরোধের ফলে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সিএনজি চালক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা কুষ্টিয়া থেকে ভেড়ামারা কিংবা মেহের রুটে সিএনজি চালাতে পারছিনা। মোটর শ্রমিকের নেতারা আমাদের সিএনজি থেকে যাত্রীদের জোরপুর্বক নামিয়ে দিচ্ছেন।”
এব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর আশ্বাসেও এতদিনে কোন কাজ হয়নি।---পরিবর্তন
বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী কিশোর আটক

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী কিশোর আটক

:: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশী কিশোর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়েছে। তার নাম ওমর আলী (১৫)। পতাকা বৈঠকের পরও বিএসএফ তাকে ফেরত দেয়নি। তাকে ভারতের হাসখালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার সকালে মহেশপুরের কুসুমপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা চুলকানীখাল গ্রাম থেকে আটক করে।
বিজিবি জানায়, সকাল ১০টার দিকে মহেশপুরের শ্যামকুড় গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে ওমর আলীকে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের চুলকানীখাল গ্রাম থেকে আটক করে বলে বিজিবি খবর পায়। এর পর মহেশপুরের কুসুমপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ঘটনার সত্যতা পেলে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।
কুসুমপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জমসের আলী জানান, দুপুরে কুসুমপুর সীমান্তের ৬১ নং পিলারের পাশে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আমিনুর রহমান। কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয় নোনাগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের ব্যাটালিয়নের বিশেষ টিম কিশোর ওমর আলীকে আটক করায় ছাড়া যায়নি। তাকে পুলিশের কাছে হাসখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।---পরিবর্তন
বাবার বাড়ি যেতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহনন

বাবার বাড়ি যেতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহনন

:: যশোর প্রতিনিধি ::
ঈদে গৃহবধূ মুক্তা বাবার বাড়িতে ঈদ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে এ ইচ্ছার মূল্য দেননি স্বামী। রাজি না হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তা মারা যান।
নিহত মুক্তা বেগম সদর উপজেলার উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী এবং তার বাবার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক জানান, ঝালকাঠিতে যাওয়ার জন্য মুক্তাস্বামীর কাছে বায়না করে। কিন্তু স্বামী আবুল খায়ের জানিয়ে দেন ঈদ তার বাড়িতে (যশোর) করতে হবে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে মুক্তা বিষপান করে। পরে বাড়ির লোকজন বিষপানের বিষয়টি বুঝতে পেরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।---পরিবর্তন
অনিশ্চিতায় শ্রমিকদের বেতন

অনিশ্চিতায় শ্রমিকদের বেতন

অনিশ্চিতায় শ্রমিকদের বেতন
:: পাবনা প্রতিনিধি ::
অনিশ্চয়তায় রয়েছে পাবনা সুগার মিলের শ্রমিকদের ঈদের বেতন বোনাস। মিলে পড়ে আছে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার চিনি। রমজান মাসে এক কেজি চিনিও বিক্রি হয়নি।   
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মিলের নিজস্ব উৎপাদিত ছয় হাজার ৩শ’ ৮০ মেট্রিক টন ও নাটোর সুগার মিলের তিন হাজার মেট্রিক টন চিনি নিয়ে রিতিমত বিপাকে পড়েছেন মিল কর্তৃপক্ষ।
মিলের শ্রমিক উজ্জল জানান, পাবনা সুগার মিলের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ চিনির স্তুপ পড়ে আছে। গত একমাসে এই মিল থেকে কোনো ডিলার চিনি উত্তোলন করেনি।
মিলের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকারি মিলে উৎপাদিত চিনির চেয়ে আমদানি করা চিনির দাম কম। তাই মিল থেকে চিনি ক্রয় করছেন না ডিলাররা। চিনি বিক্রি না করা গেলে ঈদুল ফিতরের আগে বেতন বোনাস দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।”
পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, “চিনি বিক্রি করার অনেক চেষ্টা করেও বিক্রি করতে পারছিনা। ঈদের আগে হেড অফিস থেকে বোনাসের ব্যবস্থা করা গেলেও এ মাসের বেতন ঈদের আগে দেওয়া এখনো অনিশ্চিত।”-পরিবর্তন
জমি নিয়ে সংঘর্ষ : নিহত ১

জমি নিয়ে সংঘর্ষ : নিহত ১

:: ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::
জমি সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ছোট শুনই গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রামের মকবুল হোসেন (৫০) নিহত হয়েছেন। পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ জন। 
আহতদের ৫ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আলীমুজ্জামান জানান, ফুলপুর উপজেলার ছোট শুনই গ্রামের মকবুল হোসেনের সাথে জমি নিয়ে পাশের বাড়ির আবুল হোসেনের বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার গ্রাম্য সালিশে মকবুলের পক্ষে সুরাহা হয়। খবর পেয়ে আবুল হোসেনের পুত্ররা বুধবার দুপুরে ঐ জমি আবার দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মকবুল হোসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের লোকজন আবার আবুল হোসেনদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে আরো ৬ জনকে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।---পরিবর্তন
জমে উঠেছে বাজার কিন্তু দাম বেশি

জমে উঠেছে বাজার কিন্তু দাম বেশি

:: রাঙামাটি প্রতিনিধি ::
রমজানের প্রায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে রাঙামাটিতে ঈদের বাজার। রমজানের শুরুতেই ঈদ বাজারে ক্রেতাদের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। কিন্তু ২০-২১ রোজার পর থেকে শহরের সকল মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে পুরোদমে কেনাকাটা জমে উঠেছে।
সকাল থেকে রাত পর্ষন্ত ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের পণ্য কেনায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের বাজার বেশ চড়া। তারপরও ঈদের কেনাকাটা বলেই ক্রেতারা বেশী দাম দিয়ে কিনছে পছন্দের পণ্যটি।
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। দাম বেশি হওয়াতে অনেকেই পছন্দের জিনিসপত্র ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আকর্ষনীয় পণ্যটি পছন্দ হলেও অনেক ক্রেতা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। 
দেশ দোকানের মালিক কামাল হোসেন জানান, দেশীয় সংস্কৃতির পোশাকগুলো আমার দোকানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। সব পোশাকের নির্ধারিত মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে আগের বারের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম একটু বেশী।
রমনী শাড়ি বিতানের মালিক আব্দুল কাদের জানান, শপিংমলগুলোতে ঈদের নতুন নতুন ফ্যাশন ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অলংকার সামগ্রী তোলা হয়েছে। তাই বিক্রি কম হচ্ছে।--পরিবর্তন
'উপরের নির্দেশে আরপিও আইনের পরিবর্তন'

'উপরের নির্দেশে আরপিও আইনের পরিবর্তন'

নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, "নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও আইনের খসড়া তৈরি করে তখন এ জাতীয় বিধান তাতে ছিল না। পরবর্তীতে উপরের নির্দেশে তা করা হয়েছে।"
আরপিও সংশোধন করলে দেশে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, "সরকার নির্বাচন কমিশনে তাদের কয়েকজন আজ্ঞাবাহককে নিয়োগ দিয়েছেন। তারপরেও আমরা তাদের কাজের মূল্যায়ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে তারা যে আরপিও সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে, তা উদ্দেশ্যমূলক।"
তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কোন আইন পরিবর্তন করতে চাইলে, বড় রাজনৈতিক দলগুলো ও সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা করে। এটাই ইতোপূর্বে হয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন আইন পরিবর্তন করছে অথচ তারা প্রধান রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জনগণের সাথে আলোচনা করেনি।"
আনোয়ার বলেন, "নতুন সংশোধনীর প্রস্তাব ইসির নয় বরং তা অন্য জায়গা থেকে এসেছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।"
প্রার্থী বাতিলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, "ইসি বলছে এই বিধানটা কখনো প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না এই বিধানের ফলে নির্বাচনকালীন সময়ের অপরাধ কমে গেছে। এখন যদি তা বাতিল করা হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় দিলে কিংবা এজেন্টদের বের করে দিলে তখন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও, তাদের কিছুই করার থাকবে না।"
এই প্রার্থীতা বাতিলের ক্ষমতা খর্ব করা হলে নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে যাবে। যার ফলে কমিশনের পক্ষে সমালোচনা সম্ভব হবে না। এছাড়া নির্বাচনকালীন দলীয় প্রধানসহ তার মনোনীত ২০ জন যে কোন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে এমন বিধান তুঘলকি বিধান পৃথিবীর কোন দেশে রয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই কোথায় এমন বিধান আছে। এটা করলে বিরোধীদল কোনো সুযোগ সুবিধা পাবে না।"
ইসিকে উদ্দেশ্য করে এমকে আনোয়ার বলেন, "আরপিও আইনের খসড়া তৈরি করলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনাদের (ইসি) অপকর্ম দিয়ে এই সংকট ঢাকতে পারবেন না। যারা ইতোমধ্যে পানির তলায় ডুবে গেছে, শুধু একটি দলকে উদ্ধার করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।"
যদি এটি করতেই হয় তাহলে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনা করেই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আনোয়ার ইসির উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা সোজা পথে ফিরে আসুন। আইন পরিবর্তনের আগে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সাথে কথা বলুন। পানির তলানিতে থাকা একটি দলকে উদ্ধার করতে ইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন," এতে করে নির্বাচনের বিষয়টি আরো জটিল হয়ে উঠবে। এই বিধান কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর এটি করা হলে তখন শুধু নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন নয়, নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যও আন্দোলন হবে।"
এটা বিধান করলে কারা লাভবান হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এখন যাদের ওপর আইন প্রযোজ্য হয় না, তখনও হবে না। এতে একটি বিশেষ দলই লাভবান হবে।"
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সহ দফতর আসাদুল করিম শাহীন।--পরিবর্তন
জয়কে স্বাগত জানালেন ফখরুল

জয়কে স্বাগত জানালেন ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জনগণের সাথে এসে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজনীতিতে জয়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা বাধা দেব না। কিন্তু পরিসৃত ভাষা ব্যবহার করুন।"
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে 'মিথ্যাচার' ও 'কুরুচিপূর্ন কটূক্তি' করার প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, "জয় প্রথমে এসেই যে বক্তব্য দিয়েছেন জনগণের মধ্যে তা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।"
তিনি বলেন, "জয় একবার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নাকি ৩৫ ভাগ জঙ্গী আছে, এর মাধ্যমে তিনি দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন।"
একটি পত্রিকার সম্পাদকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে চার বছরে প্রতিহিংসা, দাম্ভিকতা, অসহিষুতা ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় নিমজ্জিত করেছে। তাই আগামীতে এ থেকে মুক্তি পেতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।"
তারেক রহমান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, "তারেক জিয়াই একমাত্র নেতা যে কখনো কোনো দিন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের উপর আক্রমন করে কোনো কথা বলেননি । তিনি বিলেতে বসে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেন। নিজের রাজনৈতিক মেধা দিয়ে তরুন প্রজন্মকে আলোর পথ দেছিয়েছেন সেখানেই আপত্তি আওয়ামী লীগের।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তিনি বলেন এক এগারোতে ফেরত যেতে চান না। আরেকবার তত্ত্বাবধায়ক আসলে নাকি ১০ বছরেও যাবে না। আমি বলতে চাই, ১৭৩ দিন হরতাল, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মেরে এই তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আপনারা।"
নিরপেক্ষ, নির্দলীয় নির্বাচন করে সেই সরকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল আহ্বান জানান।--পরিবর্তন

'বাংলাদেশ প্রোপাগান্ডার দেশ'

'বাংলাদেশ প্রোপাগান্ডার দেশ'

বাংলাদেশকে 'প্রোপাগান্ডার দেশ' বলে মন্তব্য করেছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। 
বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "এ দেশে যে যত বেশি গুজব, অশালীন ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে পারে তাদেরই জয় জয়কার।"
নির্বাচন কমিশন গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে বিরোধী দলের এমন বক্তব্যের জবাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, " নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের ঢালাওভাবে এমন নেগেটিভ মন্তব্য করা উচিত নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের ভীত মজবুত হয়। নির্বাচন কমিশনকে হেয় না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের শক্তিশালি করা উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "জিতে গেলে নির্বাচন কমিশনকে নিরাপদ ও শক্তিশালী বলবেন আর হেরে যাওয়ার ভয়ে 'চিলে কান নিয়ে গেছে' ভেবে চিলের পিছে দৌড়াবেন এমটা ঠিক নয়। গুজব অপপ্রচার গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ধারা হতে পারে না। শুধু জেতাটাই গণতান্ত্র নয়। এখানে হারতেও হয়।"
সংবিধানের ৯১/এ ধারা বিলুপ্তির বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন," এ ধারা বাতিল করলে বা থাকলে আওয়ামী লীগের কিছু আসে যায় না। তবে, গণতান্ত্রিক ধারাকে শক্তিশালী করতে রাজনীতিবিদদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।"---পরিবর্তন
'নির্বাচনের হাওয়া উল্টো দিকে বইছে'

'নির্বাচনের হাওয়া উল্টো দিকে বইছে'

নির্বাচনের হাওয়া উল্টো দিকে বইছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, "মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের তথ্য বলছে বর্তমান সরকারের সফলতাই জনগণ আবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।"
বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
'আমার কাছে তথ্য আছে, আগামীতে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে' প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের বিষয়ে নাসিম বলেন, "এ কথাটি নির্বাচনকালীন সব দলই বলে থাকে। কারণ নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা জরিপ করে। তিনি (জয়) এ ধরনের একটি ফলাফলের কথা বলেছেন। অথচ এই কথাটি বলার পরপরই রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।"
নাসিম আরও বলেন, " জয়ের মতো মেধাবী তরুণ রাজনীতিতে আসতে চাইলে তাকে স্বাগত জানানো উচিত। উচ্চশিক্ষা, মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে তিনি তথ্য প্রযুক্তির দ্বারা আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে দেশকে সহায়তা করতে চান। জয়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ নেই।"
তিনি বলেন, "বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও কারচুপি হবে না। তাই কেউ আসুক আর না আসুক নির্বাচন হবেই। আর এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে।"
নাসিম বলেন, "ঈদের পর দেশে নির্বাচনী হাওয়া উঠবে। তাই ঈদের পর বিরোধী দল কোনো আন্দোলন করতে পারবে না।"
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নাজমুল হক, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির প্রমুখ।--পরিবর্তন
আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিল বিএনপি

আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিল বিএনপি

বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ হিসাব জমা দেয়।
দলটির বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ২১৩ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৪৩ টাকা।--পরিবর্তন
তাপ সতর্কাবস্থায় চীন

তাপ সতর্কাবস্থায় চীন

পুরো বিশ্বের পাশাপাশি চীনও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চীনের একাংশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে প্রথমবারের মতো তাপ সতর্কাবস্থা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিষয়ক প্রশাসন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সাংহাইয়ে হিটস্ট্রোকে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৪০ বছরে সবচাইতে গরম পড়েছে সাংহাইতে।
সাংহাইয়ের গরম এমন অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে যে ফুটপাতে মাংস ফ্রাই করে দেখিয়েছে স্থানীয় সাংহাই টিভি। মাত্র ১০ মিনিটে বেশকিছু মাংস মার্বেল পাথরের ফুটপাতের উপর রেখে ফ্রাই করা হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ফ্রাই করা মাংসের সসেজের ছবি ছড়িয়ে পড়লে তাপমাত্রার ভয়াবহতা টের পায় স্থানীয় অধিবাসীসহ প্রশাসন। তাপানুকূল যন্ত্রসহ বেঁচে থাকাই অসম্ভব বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
চীনের আনহুই, জিয়ানসু, হিউনান, হুবেই, সাংহাই ও চোংকিংসহ মোট নয়টি প্রদেশে এই তাপ সতর্কবস্থা জারি হয়েছে।
সাংহাই আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী গত ২৪ দিনে সাংহাইয়ের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী কখনো বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপর উঠেছে।
সূত্র: বিবিসি
শত্রুরাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহ করেননি ম্যানিং

শত্রুরাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহ করেননি ম্যানিং

বিশ্বখ্যাত তথ্য ফাঁস ওয়েবসাইট উইকিলিকসকে হাজারো গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা সরবরাহ করেছিলেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ব্র্যাডলি ম্যানিং। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত ম্যানিং।
চুরি, প্রযুক্তি জালিয়াতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ মোট ২০টি অভিযোগ আনা হয় এই সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এগুলোর মধ্যে ১৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিচারে ১৩৬ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন ম্যানিং।
অন্যদিকে, সবচাইতে গুরুতর অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন ব্রাডলি ম্যানিং। শত্রু রাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আদালত। বিচারক কর্ণেল ডেনিস লিন্ড এই অভিযোগে ম্যানিংকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন।
বিচারের শুনানি চলাকালীন সময় কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি ২৫ বছর বয়স্ক ব্রাডলি ম্যানিংকে। সেসময় তিনি সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
বুধবার থেকে ব্রাডলি ম্যানিং’র দণ্ড বিষয়ক থেকে শুনানি শুরু নির্ধারণ করেছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদী পক্ষ সাক্ষী হাজিরের অনুমতি পেলে এই বিচারিক কার্যক্রম সময় সাপেক্ষ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সূত্র: বিবিসি
জিম্বাবুয়েতে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

জিম্বাবুয়েতে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আফ্রিকা মহাদেশের অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশ জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে বুধবার। দেশটির রাজনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনতা। এবারের নির্বাচনে হারলে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ৩৩ বছরের ক্ষমতা হারাবেন।
এদিকে আরেক প্রার্থী মরগান থাভেঙ্গারির দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ রবার্ট মুগাবের দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নকে ভোটার তালিকা সংস্কারের দাবি জানান। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা এ আবেদন নাকচ করে দেন। তবে ৬১ বছর বয়স্ক থাভেঙ্গারি আশা করছেন তিনবারের ব্যর্থতার পর এবার তিনি জয়লাভে সমর্থ হবেন।
ভোটের প্রচারনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। কোন ধরণের সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটেনি। স্থানীয় সময় ভোর সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। পাঁচ দিনের মধ্যেই ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
শেষবার ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আরোহন করেন এই কৃষ্ণাঙ্গ নেতা। অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেশকিছু সহিংসতাসহ অগুণতি সমস্যায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
১৯৮০ সালে প্রধানমন্ত্রী হন মুগাবে। তারপর থেকে তিনিই হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের অভিভাবক। যদিও বেশ কিছু বিষয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন মুগাবে। তবুও তার জয়রথ কেউ আটকাতে পারেনি।
এখন পর্যন্ত ভোট চলাকালীন পরিস্থিতি বেশ শান্ত। ভোট দান নিশ্চিত করার জন্য বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি

ম্যানিং এর ১৩৬ বছরের কারাদণ্ড

ম্যানিং এর ১৩৬ বছরের কারাদণ্ড

অজস্র গোপন নথিপত্র ফাসের দায়ে মার্কিন সেনা সদস্য ব্রাডলি ম্যানিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় সে অন্তত ১৩৬ বছর কারাভোগ করতে যাচ্ছে। বুধবার ম্যানিং এর বিরুদ্ধে চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।    
বিশ্বখ্যাত তথ্য ফাঁস ওয়েবসাইট উইকিলিকসকে হাজারো গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা সরবরাহ করেছিলেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ব্র্যাডলি ম্যানিং। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত ম্যানিং। ম্যানিং এর বিরুদ্ধে আনা ২০ টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
ম্যানিং উইকিলিক্সকে জেনে শুনে তথ্য সরবরাহ করেছেন বলে স্বীকার করেন। তবে তার দাবি, মার্কিন বৈদেশিক নীতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে তিনি এ ধরণের কাজ করেননি।
গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়াও ম্যানিং পাঁচটি চুরির ঘটনা, দুইটি কম্পিউটার জালিয়াতি ও অনেকগুলো সামরিক বিধি ভঙ্গের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।  
অন্যদিকে, সবচাইতে গুরুতর অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন ব্রাডলি ম্যানিং। শত্রু রাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আদালত। বিচারক কর্ণেল ডেনিস লিন্ড এই অভিযোগে ম্যানিংকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন।
বিচারের শুনানি চলাকালীন সময় কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি ২৫ বছর বয়স্ক ব্রাডলি ম্যানিংকে। সেসময় তিনি সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
বুধবার থেকে ব্রাডলি ম্যানিং’র দণ্ড বিষয়ক থেকে শুনানি শুরু নির্ধারণ করেছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদী পক্ষ সাক্ষী হাজিরের অনুমতি পেলে এই বিচারিক কার্যক্রম সময় সাপেক্ষ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সূত্রঃ বিবিসি
 কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১৪০ জন

কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১৪০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 কানাইঘাটের  ৫নং বড়চতুল ইউপির বড়চতুল গ্রামে আজ বুধবার ভোরে বিরোধপূর্ণ ফসলী জমির দখল ও পাল্টা দখল নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে রক্তয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২৪ জনকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন বড়চতুল গ্রামের মাখই মিয়া, নূরুল হক, জয়নাল আবেদীন, সায়ফুল আলম, হারুন আহমদ, হাবিব, হেলাল, এবাদুর রহমান, মখরব আলী, নূরুল হক, রইছ উদ্দিন, জলাল উদ্দিন, আইয়ুব আলী, হারুন রশিদ, শরীফ উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, হাসান, ইমাম উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, মামুন, রুবেল, জলাল, রুবেল আহমদসহ অন্যান্য আহতদের কানাইঘাট ও পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, বড়চতুল গ্রামের ইউপি সদস্য আলমাছ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে একই গ্রামের মীর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গংদের সাথে ফসলী জমির উত্তরাধিকারী মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত আব্দুল্লাহ গংদের বিভিন্ন দাগের জমি দীর্ঘদিন ধরে আলমাছ উদ্দিন গংদের ভোগ দখলে থাকায় আব্দুল্লাহ গংরা পূর্বে বেশ কয়েকবার জমির দখল নিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে বর্তমানে মামলা চলছে। গত রবিবার আলমাছ উদ্দিন গংরা বিরোধপূর্ণ এক খন্ড জমিতে ধানের চারা রোপন করলে আব্দুল্লাহ গংরা পাল্টা একই জমিতে ধানের চারা রোপন করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে আব্দুল্লাহ পক্ষের লোকজন কানাইঘাট-দরবস্ত রাস্তার নাপিত খালের পাশে অবস্থিত একখন্ড ফসলি জমি গতকাল দখল করবে মর্মে ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করলে আলমাছ পক্ষের লোকজনও দখল প্রতিরোধে পাল্টা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী উভয় পক্ষকে জমি দখল ও পাল্টা দখল থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিলে দু’পক্ষই তার শান্তি প্রস্তাব মেনে নেন। কিন্তু আজ বুধবার সেহরির পর ভোর অনুমান ৫টার দিকে আব্দুল্লাহ পক্ষের কয়েকশত লোকজন লাঠিসটা, সেল, সুলফি ও ইট পাটকেল নিয়ে আলমাছ উদ্দিনের দখলে থাকা বিরোধপূর্ণ ফসলি জমির দখল নেয়। খবর পেয়ে ভোর ৬টার দিকে আলমাছ পক্ষের লোকজন জমি পুনঃদখলের চেষ্টা করলে দু’পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী  প্রায় আধ ঘন্টা ব্যাপী  সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪০ জন রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বিভিন্ন পরগণার মুরব্বিয়ানরা পক্ষদ্বয়কে সংঘর্ষ থেকে নির্লিপ্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আলমাছ পক্ষের লোকজন পিছু হটে নিরাপদ অবস্থানে চলে যায়। এ সময় আলমাছ পক্ষের জনৈক ওলিউর রহমানের বসত বাড়ীতে আব্দুল্লাহ পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, উভয় পক্ষের অবশ্যম্ভাবী সংঘর্ষের বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বার বার ফোন করে জানানো সত্ত্বেও পুলিশ যথা সময়ে ঘটনাস্থলে না আসায় পবিত্র রমজান মাসে এতবড় রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Tuesday, July 30

শ্বশুরবাড়ির এলাকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

শ্বশুরবাড়ির এলাকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে চার বছর পর শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ যাচ্ছেন । বুধবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রীর পীরগঞ্জ পৌঁছার কথা রয়েছে। সাথে ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলও থাকবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ওয়াজেদ মিয়া সেতু উদ্বোধন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও মেরিন একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং পৌরসভার নামফলক উন্মোচন করবেন।
সেতুটি এর আগে ‘কাঁচদহ করতোয়া সেতু’ নামে উদ্বোধন করা হয়েছিল। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৯ সালের ১৩ মে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। সেতুর পাঁচটি পিলার নির্মিত হওয়ার পর সরকার পরিবর্তনের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১১ সালের ২০ মার্চ সেতুটির নাম বদলে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণ করে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন এটি উদ্বোধন করেন। 
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তার শ্বশুরবাড়ি পীরগঞ্জের লালদীঘির ফতেহপুরে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিনি প্রয়াত স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন এবং দোয়া মাহফিলে যোগ দেবেন।
বেলা দুইটায় পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশ থেকে রংপুরের আলমনগরে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, পুরাতন রেডিও সেন্টারে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ভবন, সার্কিট হাউসের বর্ধিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও রংপুর নগরের রাধাবল্লভে আঞ্চলিক পাসপোর্ট ভবন ও পীরগঞ্জে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 
এর আগে ২০০৮ সালের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ গিয়েছিলেন।--পরিবর্তন
'অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করছে সরকার'

'অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করছে সরকার'



সরকার অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আসম আব্দুর রব।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার অহংকার করে বলেছিল, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সামরিক শাসন চিরতরে রুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন তারাই ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পথ সুনিশ্চিত করছে।”  সরকারের এ ধরণের পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল জনগণের জন্য চিন্তা করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকারের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, সামরিক শাসন আসলে দশ বছরেও নির্বাচন দিবেন না। এতে স্পষ্টই বুঝা যায় তাদের (সামরিক বাহিনী) সাথে আওয়ামী সরকারের যোগাযোগ রয়েছে।”
সরকার দলীয় স্বার্থে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছে এবং শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বৃহৎ শক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করে, জনগনের নয়।” 
আসম রব বলেন, “রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন, শাসন পদ্ধতির পরিবর্তন করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি।”        
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত হয়েছে। এ সংকট দিনে দিনে আরো বাড়ছে। বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে এ সংকট উত্তরণের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সবই হয়েছে কিন্তু এ সংকট আরো গভীর হয়ে সামরিক শাসন জারি হয়েছে।”  
নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক ও গণমুখী হচ্ছে না এমন দাবি করে রব বলেন, “বিদুৎ ঘাটতি রেখে জনগণকে শিক্ষা দেবেন নির্বাচিত কোন রাজনৈতিক নেতা বা সরকার প্রধান এভাবে বলতে পারে না। জনগণকে এভাবে হুমকি দিতে পারে না।”
তত্তাবধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে অসংখ্য জীবন সম্পদ ধ্বংস করেছে তারা আজ ওই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে অনেক মানুষ মেরেছে, বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ মেরেছে এর দায় কে নেবে? অন্যদিকে বিএনপিও জনগণের সুযোগ সুবিধার পক্ষে কিছুই করতে পারে নাই।”  
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের চেয়ারম্যান কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।--পরিবর্তন
'আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী শক্তির আবির্ভাব ঘটতে পারে'

'আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী শক্তির আবির্ভাব ঘটতে পারে'

আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী শক্তির আবির্ভাবের ইঙ্গীত দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ সন্দেহ প্রকাশ করেন।
কাজী জাফর বলেন, "সরকারের শেষ সময়ে শাষক দলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যেখানে একটি বিদ্রোহী শক্তি আবির্ভাব ঘটবে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলবে, আপনি হঠকারিতা করলে আপনার অস্তিত্ব বিলীন হবে না কিন্তু দল ও আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।"
আগামীতে জয় রংপুর থেকে নির্বাচন করবেন এমন তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ঐ আসনটি জাতীয় পার্টির আসন। জাতীয় পার্টি মহাজোটে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে তা ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো।"
জয়ের বক্তব্যের বিষয়ে কাজী জাফর বলেন, "জয়ের বক্তব্য কিছুটা ভুল হয়েছে। জয়ের বক্তব্যে নীল নকশা আছে। আগামী নির্বাচনে সুনিশ্চিত আওয়ামী লীগের জয় হবে তা ষড়যন্ত্রমূলক।"
আগামীতে নির্বাচনের সম্ভবনা ক্ষীণ উল্লেখ করে কাজী জাফর বলেন, "আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংঘাত ও বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা ভারতেও পরিব্যপ্ত হয়ে পরতে পারে।"
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "এটা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক যে প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক চাইলে আগামী দশ বছরে নির্বাচন হবে না। আমি অবাক হই সমস্ত ক্ষমতা যার হাতে তিনি কি করে এ কথা বলতে পারেন।"
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে নির্বুদ্ধিতা আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হচ্ছে আমাদেরকে ভয় মুক্ত করা কিন্তু তিনি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা কিনা?"
এ সময় এ ষড়যন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী জড়িত থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।--পরিবর্তন
তড়িতাহত হয়ে নিহত ১

তড়িতাহত হয়ে নিহত ১

:: ভোলা প্রতিনিধি ::
ভোলার চরফ্যাশনে সোমবার রাতে তড়িতাহত হয়ে আব্দুল হামিদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। হামিদ উপজেলার আসলাপুর ইউনিয়নের আলীগাও গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যার দিকে আব্দুল হামিদ বাড়ির পাশের জমিতে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের সাথে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফন হবে বলেও জানান তিনি।--পরিবর্তন
রানা প্লাজার শ্রমিকদের মানববন্ধন

রানা প্লাজার শ্রমিকদের মানববন্ধন

:: সাভার প্রতিনিধি ::
সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকার ধসে যাওয়া রানা প্লাজার শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মনববন্ধন ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
রানা প্লাজা গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন এর ব্যানারে আহত-নিহত এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের প্রায় পাঁচশতাধিক লোক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে শ্রমিকদের দাবি মেনে না নিলে উপজেলা কার্যালয় ঘেরাও, বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেন।
এ সময় মানববন্ধন শেষে শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য উপজেলা পরিষদের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হলে সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মানুষ আকৃতির শাবক প্রসব করল মহিষ!

মানুষ আকৃতির শাবক প্রসব করল মহিষ!

থাইল্যান্ডে মানুষ আকৃতির এক শাবকের জন্ম দিয়েছে এক মহিষ। সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ওই শাবকের দেহ বিশেষত মুখমণ্ডল অনেকাংশেই মনুষ্য আকৃতির। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে রীতিমত শোরগোল চলছে।
এদিকে জন্ম নেয়া শাবকটির হাত পা মহিষের মতই ক্ষুরযুক্ত। ছাই রঙা গাত্রবর্ণও মহিষের সাথেই তুলনীয়। মহিষের মত লেজও রয়েছে এই শাবকের।
ভূমিষ্ঠ হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় শাবকটি। দলে দলে লোকজন ভিড় জমাতে থাকে শাবকটিকে এক নজর দেখার জন্য। পূজোর আয়োজন হয়েছে সেখানে। কারণ স্থানীয়দের ধারণা মতে, এই অদ্ভূত আকৃতির শাবক সবার জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে।--পরিবর্তন
কেনেডির খুনি মার্কিন সিক্রেট এজেন্ট !

কেনেডির খুনি মার্কিন সিক্রেট এজেন্ট !

অবসরপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা কলিন ম্যাকলারেন দাবি করেছেন,তিনি বিশ্বাস করেন মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর এক অফিসারের গুলিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি নিহত হয়েছেন।
ম্যাকলারেন তার দীর্ঘ তদন্ত নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চ্যানেল রিলিজ প্রামাণ্যচিত্রটি সম্প্রচার করবে। 
নিউজ ডটকম এইউ এর মতে, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা পুলিশ কলিন ম্যাকলারেনের তদন্ত এবং বনার মেনিংজারের বই 'মরটাল ইররের' ওপর ভিত্তি করে ‘জন এফ কেনেডি: অ্যা স্মোকিং গান’ শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান এই গোয়েন্দা কেনেডির মারা যাওয়ার পর চার বছর এ সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে তদন্ত ও গবেষণা করেন।
গোয়েন্দা ম্যাকলারেন এবং লেখক মেনিংজার একটি পুরনো বইয়ের সূত্র ধরে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মানের কাজে অগ্রসর হয়েছিলেন।
প্রামাণ্যচিত্রে কেনেডি দুর্ঘটনাবশত মার্কিন গোয়েন্দাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন, এর পক্ষে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে।
এতে দেখানো হইয়েছে, গুপ্তঘাতক লি হার্ভে অসওয়াল্ড যখন কেনেডির ওপর আক্রমণ করেন, তখন তাকে ঠেকাতে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট জর্জ হিকেই গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ রাইফেল দিয়ে গুলি করেন। তবে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টের গুলিটি লি হার্ভেকে ঠেকাতে পারেনি। বরং হিকেই’র গুলিটি দুর্ঘটনাবশত কেনেডিকে আঘাত করে। এতে মৃত্যুবরণ করেন কেনেডি।
নতুন ওই অস্ত্রটি চালনায় জর্জ হিকেই দক্ষ ছিলেন না বলেও প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে। নভেম্বরে দুই ঘন্টার এ প্রামাণ্যচিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা এবং অষ্ট্রেলিয়াতে প্রদর্শিত হবে। 
সূত্র : জি নিউজ
পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার

পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার

মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।প্রথমবারের মতো এবার-ই পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট পুরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করলেন।
মঙ্গলবারই এ নির্বাচনের ফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডন নিউজ।
সকাল ১০টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আসিফ আলি জারদারির উত্তরসূরিকে বেছে নেবে পাকিস্তানের জনগণ।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) মামনুন হোসেন এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদ।
প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি নির্বাচন বয়কট করে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে।--পরিবর্তন
কানাইঘাটে হেফাজতে ইসলামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

কানাইঘাটে হেফাজতে ইসলামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 হেফাজতে ইসলাম কানাইঘাট উপজেলা শাখার উদ্যোগে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আজ সোমবার বিকেল ৫টায় স্থানীয় আল রিয়াদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলামের উপজেলা শাখার সভাপতি আল্লামা শফিকুর রহমান সুরাইঘাটীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওঃ এবাদুর রহমান ও মাওঃ হাবিবুল্লাহ মিছবাহর যৌথ পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মখলিছুর রহমান কোম্পানীগঞ্জী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সচিব মাওঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কাহির চৌধুরী, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মখলিছুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন। বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের উপজেলা শাখার নেতা শহিদুর রহমান, মাওঃ আলিম উদ্দিন, মুফতি এহসান উল্লাহ, মাওঃ খলিলুর রহমান, মাওঃ হারুনুর রশিদ, মাওঃ মহি উদ্দিন, মাওঃ বুরহান উদ্দিন, মাওঃ এবাদুর রহমান, মাওঃ আমান উল্লাহ, ডাঃ নেজাম উদ্দিন, থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শরিফুল হকসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওঃ মখলিছুর রহমান বলেন, ইসলাম ও মুসলমানের পে কথা বলার অপরাধে উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শফিসহ শত শত উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেশী বর্তমান সরকার মিথ্যা প্রচারণার পাশাপাশি আলিম উলামাদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে। ঈদের পর আল্লা শফির নেতৃত্বে ঈমান বাঁচা শেখ হাসিনা হটাও আন্দোলনে সবাইকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান। 

জাপার শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান

জাপার শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 কানাইঘাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুল মুরসালিম ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ হারুনুর রশিদ, জাপা নেতা মাওঃ আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক জাতীয়পার্টি ও যুব সংহতির নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগাদান করেছেন। গত রবিবার কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গফ্ফার, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল মন্নান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদ মামুন ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন। যোগদানকৃত নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে এডভোকেট আব্দুল গফ্ফার আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দলের পক্ষে কাজ করার জন্য বিএনপিতে যোগদানকৃতদের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ

তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ

:: চাঁদপুর প্রতিনিধি ::
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি বলেছেন, "ভারতের প্রধান মন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি করতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। চুক্তি দুটির কাজ চূড়ান্ত হয়ে থাকলেও সম্পন্ন করতে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর আইনজীবী ভবনে জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "গত সফরে ভারতের একটি সেমিনারে লেকচার দিতে গিয়ে ভারতের প্রধান মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অনেক অর্জন আছে। তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির বিষয়টি ভারতের লোকসভার মাধ্যমে নিষ্পন্ন করবেন ভারতের মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন।"
মন্ত্রী বিরোধীদলকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, "যারা বলতে চান, তিস্তা পানি চুক্তিটি এখন পর্যন্ত সফল না হওয়া কিংবা এলবি চুক্তিটি ভারতের আইনসভা কর্তৃক এটি রেটিফাইড না হওয়া যেটিকে যারা ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে চান। তাদের আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, যারা এ বিষয়ে কোনোদিন কোনো উদ্যোগ-ই নিলো না, সেটি ব্যর্থতা নয়? আর আমরা উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে চুড়ান্ত করে ফেলেছি, সেটি কি করে ব্যর্থতা হয়?
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।--পরিবর্তন
'বিএনপি নয়, ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ'

'বিএনপি নয়, ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ'

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপি নয়, অতীত থেকে আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে বিএনপিকে বাইরে রেখে একদলীয়ভাবে নির্বাচন করতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।”
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ‘যারা ষড়যন্ত্র করে অভ্যস্ত, তারাই জয়ের কথায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে’ বিরোধী দলকে ইঙ্গিত করে  দেয়া এমন বক্তব্যও নাকচ করে দেন তিনি।
পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী সিরাজুল ইসলামকে দেখতে সোমবার সকালে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ২৫ জুলাই প্রধানন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কটুক্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে মিছিল করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সিরাজ।

‘তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে’ প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এমন এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী এমন স্বভাবসুলভ বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু এতে তাদের হারানো উদ্যম ফিরে পাওয়া যাবে না।”

আগামী দিনে বিএনপির নতুন ধারার সরকার সরকার গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপি দুর্নীতি করে না। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু, হলমার্ক ও ডেসটিনির দুর্নীতির মধ্য দিয়ে রেকর্ড করেছে। আগামী
দিনে দুর্নীতি, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন ধারার সরকার গঠন করা হবে।”--পরিবর্তন
মায়ের আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জয়

মায়ের আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। প্রধানমন্ত্রীর আসন,  পীরগঞ্জ (রংপুর-৬) থেকেই তিনি নির্বাচন করবেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিতই দেয়া হয়েছে।
জয়ের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন আলোচনায় সরগরম ঠিক তখনই এবার মায়ের আসনে নির্বাচন করার খবর প্রকাশ পেল। 
৩১ জুলাই জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে রংপুর যাচ্ছেন। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সোমবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা জয়ের সম্ভাব্য প্রার্থিতার কথা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, “জনসভা সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগ এবং পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, “আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যে কেউ চাইলে পায় না। কিন্তু আমরা চাই, এ অঞ্চলের মানুষ চায়, সারাদেশের মানুষ চায় জয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেটি রংপুর-৬ আসন থেকে। জয় ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।”
অ্যাডভোকেট রাজু রেডিও তেহরানকে জানান, জয়ের জন্য রংপুরের ৬টি আসনই খোলা। রংপুরের জনগণ চায় জয়ের মতো শিক্ষিত ছেলে রাজনীতিতে আসুক এবং পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করুক।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রার্থী হওয়ার খবর শুনে বেশ খুশি হলেন পীরগঞ্জের বিরোধী দলের সম্ভাব্য প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মণ্ডল। নুর মোহাম্মদ এ আসন থেকে এমপি হয়েছেন দু’বার। ১৯৯৬ সালে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভাই আবদুল ওয়াহেদ কানু মিয়াকে পরাজিত করেন এবং ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করেন। ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা নুর মোহাম্মদকে পরাজিত করেন।
ওদিকে,দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন, জয়কে নিয়ে বিএনপি আতঙ্কে ভুগছে।
দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন,“প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জরিপ এবং তথ্যের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসার কথা বলেছেন। অথচ বিএনপি জয়কে বিতর্কিত করতেই এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
জয়ের মতো মেধাবী, রুচিশীল, সুশিক্ষিত যুবককে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বাইরে রাখতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান সুরঞ্জিত সেন।--পরিবর্তন