Tuesday, July 30

'অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করছে সরকার'



সরকার অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আসম আব্দুর রব।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার অহংকার করে বলেছিল, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সামরিক শাসন চিরতরে রুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন তারাই ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পথ সুনিশ্চিত করছে।”  সরকারের এ ধরণের পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল জনগণের জন্য চিন্তা করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকারের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, সামরিক শাসন আসলে দশ বছরেও নির্বাচন দিবেন না। এতে স্পষ্টই বুঝা যায় তাদের (সামরিক বাহিনী) সাথে আওয়ামী সরকারের যোগাযোগ রয়েছে।”
সরকার দলীয় স্বার্থে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছে এবং শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বৃহৎ শক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করে, জনগনের নয়।” 
আসম রব বলেন, “রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন, শাসন পদ্ধতির পরিবর্তন করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি।”        
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত হয়েছে। এ সংকট দিনে দিনে আরো বাড়ছে। বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে এ সংকট উত্তরণের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সবই হয়েছে কিন্তু এ সংকট আরো গভীর হয়ে সামরিক শাসন জারি হয়েছে।”  
নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক ও গণমুখী হচ্ছে না এমন দাবি করে রব বলেন, “বিদুৎ ঘাটতি রেখে জনগণকে শিক্ষা দেবেন নির্বাচিত কোন রাজনৈতিক নেতা বা সরকার প্রধান এভাবে বলতে পারে না। জনগণকে এভাবে হুমকি দিতে পারে না।”
তত্তাবধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে অসংখ্য জীবন সম্পদ ধ্বংস করেছে তারা আজ ওই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে অনেক মানুষ মেরেছে, বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ মেরেছে এর দায় কে নেবে? অন্যদিকে বিএনপিও জনগণের সুযোগ সুবিধার পক্ষে কিছুই করতে পারে নাই।”  
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের চেয়ারম্যান কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।--পরিবর্তন

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়