Thursday, November 5

মোশতাক চৌধুরী রচিত ‘কাছাড়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও নান্দনিকতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বরাক উপত্যকা নিয়ে লেখা সিলেটের লেখক মোহাম্মদ মোশতাক চৌধুরী রচিত ‘কাছাড়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও নান্দনিকতা’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বঙ্গভবনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন লোকসংস্কৃতির গবেষক, অধ্যাপক ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোকসংস্কৃতির গবেষক, অধ্যাপক ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, মোশতাক চৌধুরী পেশায় একজন ব্যাংকের ম্যানেজার হলেও নেশায় একজন লেখক। ২০১৪-তে তিনি শিলচর ঘুরতে আসেন। এখানে এসে তাঁর মনে হয়নি যে বিদেশে এসেছেন। এখানকার মাটি-মানুষ সবই তাঁর মনে দাগ কাটে। সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথাই কলমে ফুটে তুলেছেন মোশতাক চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, শিলচরে এসে ড. রামেন্দু ভট্টাচার্য, তৈমুর রাজা চৌধুরী, মিলন লস্কর ও আব্দুল জলিলের সংস্পর্শে আসেন। এদের মধ্যে রামেন্দু ভট্টাচার্য বর্তমানে প্রয়াত। তাঁর কথায়, বইয়ে এখানকার ইতিহাসকে সামান্য স্পর্শ করেছেন। শেকড়ের বিস্তৃতি জানার আগ্রহ থেকে বই লিখেছেন মোহাম্মদ মোশতাক চৌধুরী। এতেই তাঁর প্রচেষ্টা সার্থক। ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য আরও বলেন, এ ধরনের বই দু’দেশের মানুষ যত বেশি পড়বেন ততই দু’পারের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় হবে। ওপার থেকে এপারে আসা-যাওয়াতে কত ঝামেলা। অবশ্য বইয়ের েেত্র এসব নেই, এর প্রভাব বেশি, জানান তিনি। সভাপতির বক্তব্যে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী বলেন, কিছু বইয়ে থাকে জ্ঞানদানের উপকরণ। কিছুতে আবার আবেগ জড়িয়ে থাকে। মোশতাক চৌধুরীর বইয়ে রয়েছে আবেগ, এটাই বড় প্রাপ্তি। তৈমুর রাজা চৌধুরী আরও বলেন, দু’দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া যত বেশি হবে আত্মীয়তার বন্ধন বাড়বে। দূর হবে ভুল বোঝাবুঝি। দেশ বিভাজনের ত যে কী মারাত্মক, প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করেন কাছাড় কলেজের অধ্যাপক জয়দীপ বিশ্বাস। তাঁর কথায়, এভাবে আসা-যাওয়া হলে দেশভাগের তে প্রলেপ পড়বে। বক্তব্য রাখেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল হাসান চৌধুরী। শুরুতে স্বাগত ভাষণ দেন বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা সিলেটের পাণ্ডুলিপি প্রকাশন-এর পে মিলন উদ্দিন লস্কর। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিবশংকর ধর। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বরাববঙ্গের জেলা সম্পাদক পরিতোষ দে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়