Saturday, December 2

কানাইঘাটে মরণোত্তর বীমা দাবির চেক হস্তান্তর ন্যাশনাল লাইফের


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

কানাইঘাটে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের উদ্যোগে মরণোত্তর বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার(২ ডিসেম্বর)  বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কানাইঘাট জোনাল অফিসের গ্রাহক কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মরহুম জিয়াউল হকের মরণোত্তর বীমা দাবির প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার চেক তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।

এ উপলক্ষ্যে মরহুল জিয়াউল হকের বাড়িতে ন্যাশনাল লাইফের ইসলামী তাকাফুল জোনের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাও. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কোম্পানীর কানাইঘাট জোনাল অফিসের সহকারী জোন প্রধান সেলিনা আক্তার শেলির পরিচালনায় চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বড়চতুল ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির, রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলি জামান সেলিম, ন্যাশনাল লাইফের কানাইঘাট জোনাল অফিসের এজিএম ওলিউর রহমান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লাইলী বেগম, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী কুতুব আলী।
অনুষ্ঠান শেষে মরহুম জিয়াউল হকের বীমার নমিনি তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম এবং সন্তানদের হাতে ৪৯ হাজার ৮৫৭ টাকার চেক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

প্রসজ্ঞত যে, ২০২২ সালে কৃষক জিয়াউল হক ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কানাইঘাট জোনাল অফিসে বার্ষিক মেয়াদী ২টি বীমা পলিসি করেন। দুটি বীমার প্রথম কিস্তি যথাক্রমে ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে প্রদানের পর ২০২২ সালের শেষের দিকে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান জিয়াউল হক। এরপর বীমা দাবির চুক্তি অনুযায়ী তার পরিবারকে প্রথমে ৩০ হাজার ৫ শত টাকা এবং শনিবার আরো ৪৯ হাজার ৮৫৭ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

মরণোত্তর বীমা দাবির চেক হস্তান্তর কালে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যরা জানান, জিয়াউল হক ২ কন্যা সন্তান রেখে বজ্রপাতে মারা গেছেন। তার অসহায় পরিবারকে যথাসময়ে বীমা দাবি মরণোত্তর চেক প্রদান করায় তারা উপকৃত হয়েছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়