Thursday, March 31

 কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে আওয়ামী লীগ ৪, আ’লীগ বিদ্রোহী ৫, বিএনপি ২, বিএনপি বিদ্রোহী ২

কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে আওয়ামী লীগ ৪, আ’লীগ বিদ্রোহী ৫, বিএনপি ২, বিএনপি বিদ্রোহী ২


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় চারটিতে আওয়ামী লীগ, ৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুইটিতে বিএনপি এবং দুইটিতে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, নন্দিরগাঁওয়ে আমিরুল ইসলাম, ফতেহপুরে আমিনুর রশীদ চৌধুরী এবং কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের শাহ জামাল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলংয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লুৎফুর রহমান লেবু, কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাইয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন, দক্ষিণ রণিখাইয়ে রোকন উদ্দিন, তেলিখালে বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওদুদ আলফু মিয়া এবং ইছাকলসে কুটি মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি’র প্রার্থী হিসাবে গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুরে শাহাব উদ্দিন ও তোয়াকুলে খালেদ আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বিজয়ীরা হলেন-গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলংয়ে হোসেন আহমদ এবং কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭টি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খেলে দূর হবে ১০টি শারীরিক সমস্যা

নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খেলে দূর হবে ১০টি শারীরিক সমস্যা

নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খেলে দূর হবে ১০টি শারীরিক সমস্যা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অনেকেই ঢ্যাঁড়স খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে বাচ্চারা। জোর করে না খাওয়ালে বাচ্চাদের ঢ্যাঁড়স খাওয়ানো যায় না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, ঢ্যাঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ! নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়ার অভ্যাস আমাদের প্রায় ১০ ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।

১. ঢ্যাঁড়স দেহে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়া উচিত।

২. ঢ্যাঁড়সের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে। দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।

৩. ঢ্যাঁড়সের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলায়েট যা হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৪. ঢ্যাঁড়সের ভিটামিন 'সি' ও 'এ' অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৫. ঢ্যাঁড়সে রয়েছে স্যলুবল ফাইবার যা দেহের খারাপ কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা ও হৃৎপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৬. ঢ্যাঁড়সের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ঢ্যাঁড়স।

৭. ঢ্যাঁড়সে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা দূরে থাকে।

৮. ঢ্যাঁড়সের ভিটামিন 'এ' এবং 'সি' দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে করে নানা ধরনের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দূর করা যায়।

৯. গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢ্যাঁড়স কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

১০. ঢ্যাঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ', লুটেইন ও বিটাক্যারোটিন, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
 সবাই পাবেন ইনক্রিমেন্ট

সবাই পাবেন ইনক্রিমেন্ট


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নতুন বেতন স্কেল সংশোধন করে চলতি অর্থবছর সবাইকে ইনক্রিমেন্ট বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধা দেওয়ার গেজেট জারি করেছে সরকার। গতকাল বুধবার জারি করা ওই গেজেটে বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন, তাঁদের ইনক্রিমেন্ট গত ১৫ ডিসেম্বর পেয়েছেন বলে গণ্য হবে। আর গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত যাঁদের ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার কথা ছিল, তাঁদের ইনক্রিমেন্টও গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। সবার ইনক্রিমেন্ট ১৫ ডিসেম্বর তারিখে কার্যকর করা হলেও ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের কোনো অর্থ ফেরত দিতে হবে না। গত ১৪ ডিসেম্বর জারি করা নতুন বেতন কাঠামোতে ওই দিন পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট সুবিধা বহাল রাখা হয়। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরতরা ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পান। তবে নতুন বেতন কাঠামোয় বলা ছিল, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত যাঁদের ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার কথা, তাঁরা এ সুবিধা পাবেন না। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১ জুলাই সবাইকে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে। ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারী পরে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেয়ে বেতন-ভাতায় জুনিয়র হয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ক্ষোভ ছিল প্রশাসনে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এটি সংশোধন করে সবাইকে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই আবার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ইনক্রিমেন্ট পাবেন। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু তাহের স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর একই দিনে সবার জন্য চলতি অর্থবছরের ইনক্রিমেন্ট কার্যকর করা হলেও গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ইনক্রিমেন্ট পেয়ে অর্থ উত্তোলন করেছেন, তাঁদের সে অর্থ আর ফেরত দিতে হবে না। এই সময়ের মধ্যে যাঁরা ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পেয়েছেন, কিন্তু এখনো ইনক্রিমেন্টের অর্থ উত্তোলন করেননি, তাঁদের কাছ থেকেও অর্থ কর্তন করা হবে না। গেজেটটি নতুন বেতন কাঠামোর মতোই গত বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। নতুন বেতন কাঠামোয় বলা ছিল, স্বামী-স্ত্রী সরকারি বা স্বশাসিত সংস্থা, ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হলে, তাঁরা একত্রে সরকারি বাসস্থানে বসবাস করলে, বাসস্থানটি যাঁর নামে বরাদ্দ, তাঁর বেতনের বাড়িভাড়া ভাতা থেকে বাড়িভাড়া বিল কেটে নেওয়া হবে। এতে সংশোধন এনে নতুন গেজেটে বলা হয়েছে, ‘যদি স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই কোন সরকারি বা স্ব-শাসিত সংস্থা, ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হন এবং তাঁহারা একত্রে সরকারি বাসস্থানে বসবাস করেন, তাহা হইলে তাঁহাদের মধ্যে যাঁহার নামে বাসস্থান বরাদ্দ রহিয়াছ, তিনি কোন বাড়িভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন না; অপরজন (স্বামী বা স্ত্রী) প্রচলিত বিধান মোতাবেক পূর্ববৎ বাড়িভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন।’
 সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন তনুর বাবা

সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন তনুর বাবা


ডেস্ক রিপোর্ট : কুমিল্লা সেনানিবাসের ময়নামতি অফিসার্স ক্লাবের হলরুমে বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন সোহাগী জাহান তনুর বাবা ইয়ার আলী। তিনি বলেছেন, মেয়ের লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলের অদূরে ৩ যুবককে তিনি দৌড়ে চলে যেতে দেখেছেন। তারা ছিল লম্বা-চওড়া গড়নের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই যুবকদের তিনি চিনতে পারেননি। তনুর সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা তাও তিনি বলতে পারেননি। তবে এ ঘটনায় যিনিই জড়িত থাকুক না কেন, এমনকি সেনা সদস্যরাও যদি হয়, তাদেরকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন। জানা গেছে, ঢাকা থেকে শুধু ১৮-১৯ জন সাংবাদিককে সেনা তত্ত্বাবধানে কুমিল্লায় নিয়েই সংবাদ সম্মেলন করে আইএসপিআর। তনুর বাবার বক্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের মধ্যে তিনজনের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া সাংবাদিকদের বাইরে স্থানীয় কোনও সাংবাদিককে সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি সংবাদ সংগ্রহের জন্য আগেই ঢাকা থেকে গিয়ে যে সাংবাদিকরা কুমিল্লায় অবস্থান করছিলেন, তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখান আইএসপিআর-এর কর্মকর্তারা। ঘটনাটি সেনানিবাসের সীমানা প্রাচীরের কাছেই ঘটেছে বলে এসময় কয়েকবার উল্লেখ করেন তারা এবং এর সঙ্গে জড়িতরা সেনানিবাসের কেউ নয় বলে জানান। সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মী বলেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনুমান নির্ভর বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, যা মোটেই কাম্য নয়। তনু কুমিল্লা সেনানিবাসে বড় হয়েছে, সে আমাদেরই সন্তান, তার এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি সেনাসদস্য দারুণভাবে ব্যথিত এবং মর্মাহত। সেনাবাহিনী জনসাধারণেরই অংশ এবং দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম, কর্নেল শাম্মী ফিরোজ, কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন। গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে তনুকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। গত ২৫ মার্চ রাতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা বিভাগে ন্যস্ত করা হলেও এর কোনও কূলকিনারা না হওয়ায় মামলাটি বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা বিএনপি এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানান-সিলেট জেলা বিএনপি কর্তৃক জারী করা কারন দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব প্রাপ্তির ফলে উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমের উপর থেকে সকল প্রকার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিলেটভিউ২৪ডটকম
 ছাতকে আ.লীগ ৯, বিএনপি ১, বিদ্রোহী ৩

ছাতকে আ.লীগ ৯, বিএনপি ১, বিদ্রোহী ৩


সিলেট, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬ :: ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বিজয়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নাম আমাদের হাতে এসেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। চরমহল­া ইউনিয়নে আবুল হাসনাত একমাত্র বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩ প্রার্থী। ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ আবদুল হেকিম বিজয়ী হয়েছেন। কালারুকা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ অদুদ আলম বিজয়ী হয়েছেন। খুরমা (উত্তর) ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রাথী বিল­াল আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। খুরমা (দক্ষিণ) ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ আবদুল মছব্বির। ছাতক উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ গয়াছ আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। দোলারবাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শায়েস্তা মিয়া। ভাতগাঁও ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আওলাদ হোসেন মাস্টার। সিংচাপইড় ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সাহাব উদ্দিন সাহেল। ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়েছেন। জাউয়াবাজার ইউনিয়নে আ.লীগ (বিদ্রোহী) মো. মুরাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন, নোয়ারই ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগ (বিদ্রোহী) দেওয়ান আবদুল খালিক পীর ও সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগ (বিদ্রোহী) আখলাকুর রহমান। আর একমাত্র বিজয়ী বিএনপি প্রার্থী হচ্ছেন চরমহল্লা ইউনিয়নের আবুল হাসনাত।
সেই কোহলি দৃঢ়তায় ভারতের সংগ্রহ ১৯২

সেই কোহলি দৃঢ়তায় ভারতের সংগ্রহ ১৯২


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫১ বল খেলে অপরাজিত ৮২ রান করা বিরাট কোহলি আজও স্বমহিমায় জ্বলে উঠেছেন। আজ ব্যক্তিগত এক রানে জীবন পেয়ে ইনিংস শেষে ৪৭ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এছাড়া রোহিত শর্মা ৪৩, অজিঙ্কা রাহানে ৪০ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ১৫* রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে স্যামুয়েল বাদরি ১টি ও আন্দ্রে রাসেল ১টি করে উইকেট নেন। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এদিন ইনিংসের অষ্টম ওভারে স্যামুয়েল বাদরির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ওপেনার রোহিত শর্মা। ১৬তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে ডাওয়েন ব্রাভোর হাতে ধরা পড়েন অপর ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ এপ্রিল। ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), মনিশ পান্ডে, হার্দিক পান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, জ্যাসপ্রীত বুমরা, আশিস নেহরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: জনসন চার্লস, ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলস, লেন্ডল সিমন্স, দিনেশ রামদিন (উইকেটরক্ষক), ডাওয়েন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক), কার্লোস ব্রাথওয়েট, স্যামুয়েল বাদরি, সুলেমান বেন।
একদিনে দুই রেকর্ড কোহলির

একদিনে দুই রেকর্ড কোহলির


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কোহলি থামছেন না। তবে হাঁটছেনও না। রীতিমতো ছুটছেন! ব্যাট হাতে। রান করাটা যেন ডালভাত তার কাছে। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৬টি অর্ধশতক করলেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত আসরে যা অন্য কোনো ব্যাটসম্যানের নেই। এই রেকর্ড গড়ার পথে কোহলি পেছনে ফেলেছেন গেইল, ম্যাক-কুলামকে। গেইলের সামনে অবশ্য সুযোগ থাকছে আজ রাতে ভারতীয় তারকাকে ছুঁয়ে ফেলার। কোহলি বিশ্বকাপের আগে থেকেই ফর্মের তুঙ্গে। সেই এশিয়া কাপ থেকে। আর বিশ্বকাপে তো অতিমানবীয় হয়ে গেছেন। এক বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ছাড়া প্রত্যেক ম্যাচে রান পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অর্ধশতক করে দলকে জিতিয়ে সেমিতে তোলেন। সেমিতে এসেও তার ব্যাট থামেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৩ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। ৪৭ বল খেলে এই রান করেন তিনি। শুধু অর্ধশতকের রেকর্ড নয়, এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনি। আজকের ইনিংসের পর কোহলির রান ৩৬২। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১৭ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার দিলশান। পরের বিশ্বকাপে ৩০২ করেন জয়বর্ধনে।
কলকাতায় ভেঙে পড়েছে উড়ালসেতু, বহু হতাহত

কলকাতায় ভেঙে পড়েছে উড়ালসেতু, বহু হতাহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জোড়াসাঁকোতে নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ উড়ালসেতু ভেঙে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেঙে পড়া উড়ালসেতুর নিচে এখনো বহু আটকা পড়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায় এনডিটিভি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। গ্যাস কাটার দিয়ে কংক্রিটের স্ল্যাব কেটে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিপর্যয়ে গোটা মধ্য কলকাতায় বিপর্যস্ত যান চলাচল। সেনা সদস্য এবং দমকল বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারে নেমেছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুরে ট্রামলাইনের ওপর সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, হঠাৎ বিকট শব্দ আর চারদিকে ধোঁয়া ঢেকে যায় চারদিক। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি চোখের সামনে আস্ত উড়ালসেতুটা ভেঙে পড়েছে। নির্মাণাধীন বড় এই অংশের নিচে চাপা পড়েছে বহু শ্রমিক এবং বেশ কয়েকটি গণপরিবহন। জানা যায়, গতকাল রাতে সেতু ভেঙে পড়া অংশে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হয়। জনবহুল এই এলাকায় ব্যস্ততম সময়ে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু জানা যায় নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেন, নকশা বর্হিভূত ভাবে এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছিল।
হাসি-তামাশায়ও মিথ্যা বলা পাপ

হাসি-তামাশায়ও মিথ্যা বলা পাপ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অনেকেই মনে করেন, হাসি-তামাশার মধ্যে মিথ্যা বলায় কোনো সমস্যা নেই। এজন্য অহরহ মিথ্যা বলছে। আর এই মিথ্যা বলার কারণে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে উঠছে। অথচ হাসি-তামাশার মধ্যেও মিথ্যা বলা জায়েজ নেই। এমনিভাবে শিশুদের কাছেও কখনও মিথ্যা বলা যাবে না। অনেকেই শিশুদের শান্ত করার জন্য মিথ্যা বলেন। যেমন বাবা-মা বাইরে বের হচ্ছে। শিশু বায়না ধরলো সেও সঙ্গে যাবে। তখন থাকে মিথ্যা বলা হলো, অমুক অপেক্ষা করছে, তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাচ্ছি। এভাবে হয়ত এক দুইদিন শিশুকে আপনি ধোঁকা দিতে পারবেন; কিন্তু একদিন না একদিন তা শিশুর কাছে প্রকাশ পেয়ে যাবে। তখন তার দৃষ্টিতে আপনি মিথ্যাবাদী হয়ে যাবেন। তখন শিশু আর আপনার ওপর কোনো আস্থা রাখবে না। আপনি কসম খেলেও সে আপনার কথা বিশ্বাস করবে না। এজন্য শিশুদের সঙ্গে সত্য কথা বলার অভ্যাস করুন, এতে শিশু আপনার প্রতি আস্থাশীল হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ওয়াদা পূরণের কথা বলেছেন। আর এই ওয়াদা শিশুদের ক্ষেত্রেও পূরণ করতে হবে। ওয়াদা ভঙ্গ করলে আপনার ওপর থেকে শিশুদের আস্থা চলে যাবে। তখন পারিবারিক জীবনে নেমে আসবে অশান্তির ছায়া। এজন্য ইসলামি শিক্ষার আলোকে জীবনযাপন করলে পারিবারিক পরিমণ্ডল হয় সুখ-শান্তি ও স্বস্তিতে ভরপুর। এসব পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুরাও গড়ে উঠে সত্যবাদী হিসেবে। মিথ্যা বলাটাকে আজ আমাদের সমাজে তেমন কোনো দোষের কিছু মনে করা হয় না। অথচ পৃথিবীর কোনো ধর্ম মিথ্যাকে সমর্থন করে না। আল্লাহ নিজে সত্যবাদী, তিনি সত্যবাদীকে ভালোবাসেন। আর মিথ্যাবাদীর জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। কেউ সত্য বলার অভ্যাস গড়ে তুললে কখনও তার মিথ্যা বলার প্রয়োজন পড়ে না। অনেক সময় সত্য বললে সাময়িক সমস্যা-সংকটে পড়তে হয়। কিন্তু এই সত্য বলার কারণে আল্লাহর যে সাহায্য পাওয়া যায় তা যে কেউ বাস্তবে প্রমাণ পেতে পারেন। মিথ্যা বলে সাময়িক মুক্তি মিলে কিন্তু চিরস্থায়ী সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে শিশুদের সত্যবাদী করে গড়ে তোলার জন্য অভিভাবক ও বড়দের খুবই সতর্কভাবে চলতে হবে। কখনও হাসি-তামাশা বা ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলা যাবে না। মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত রাখতে হবে।
বিলিয়ন ডলারের বিয়ে!

বিলিয়ন ডলারের বিয়ে!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভাবুন তো! একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন জেনিফার লোপেজ, এনরিক ইগলেসিয়াসের মতো বিশ্ববিখ্যাত সংগীতশিল্পী।কনের বিয়ের পোশাকের মূল্য ২০ লাখ টাকা(২৫ হাজার ডলার)। অতিথির সংখ্যা ৬০০ জন। ধারণা করতে পারেন এ রকম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কত খরচ হতে পারে? এই বিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের বহুল প্রচারিত ট্যাবলয়েড মেইল অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সম্প্রতি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিয়ের প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়। রাশিয়ার ধনকুবের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান এখন মানুষের মুখেমুখে। ব্যাপক জাঁকজমকের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বিয়ের এই অনুষ্ঠানের ব্যয়ই বা কত? দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান হবে লন্ডনে। গুঞ্জন রয়েছে-বিয়ের প্রথম দফা অনুষ্ঠানেই কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।বরের নাম গাটসেইরিভ(২৮),পড়াশুনা করেছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। আর কনে খাদিজা উজহাখভস(২০, মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল বিভাগের ছাত্রী। ফোর্বস ম্যাগাজিনের সূত্রে বরের বাবা রাশিয়ার বিশিষ্ট তেল ব্যবসায়ী এবং মিডিয়া টাইকুন মিখাইল গাটসেইরভের মোট সম্পতির পরিমাণ ৬.২ বিলিয়ন ডলার। মস্কোর একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট এবং ব্যাঙ্কুয়েট ভেন্যু সাফিসাতে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের ভেন্যুর গেট থেকে শুরু করে প্রতিটি দেয়ালে ছিল বাহারি ফুলের সজ্জা। ছাদ জুড়ে ছিল ঝর্ণার মতো আলোকসজ্জা।ভেন্যুর প্রতিটি স্থানে ছিল রুচির ছাপ। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশাল আকৃতির গাউন পরে। তার ড্রেসের ডিজাইন করেছেন লেবাননের বিখ্যাত ডিজাইনার এলি সাব। পোশাকের মূল্য গিয়ে ঠেকেছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার টাকায়। ড্রেসটির ওজন ১১ কেজি। এই ড্রেস পরে হাঁটতে বা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলে বেশ কয়েক জনের সাহায্য নিতে হয়। কনে খাদিজার গলায় এবং কানে ছিল হীরার অলংকার। ড্রেসের রঙে মিল রেখে হাত ব্যাগ। মাথায় মুকুট। বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাতিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ এবং ইনরিক ইগলেসিয়াস। ২০১৩ সালে তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বার্দিমুহামেদভের বিয়েতে জেনিফার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন প্রায় আট কোটি টাকা। সাধারণ একটি কালো রঙের টি-শার্ট এবং মাথায় ক্যাপ পড়ে বিয়ের আসরে অন্যমাত্রা যোগ করেছেন ইনরিক ইগলেসিয়াস। এই সপ্তাহেই লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে বিয়ের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান। সেখানে গান গাইবেন বিয়ন্স এবং এল্টন জনের মতো আরও দুই বিখ্যাত সংগীত তারকা।
মামা-ভাগ্নের প্রথম সাক্ষাৎ

মামা-ভাগ্নের প্রথম সাক্ষাৎ

মামা-ভাগ্নের প্রথম সাক্ষাৎ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গতকাল খান পরিবারে আলো করে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সালমান খানের বোন অর্পিতা খান শর্মা। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মামা হন সালমান খান। সন্তান জন্মদানের সময় খান পরিবারের বাকি সবাই অর্পিতার পাশে থাকলেও ছিলেন না কেবল সালমান-ই। কারণ তিনি তার নতুন মুভি 'সুলতান'র শুটিংয়ের কাজে বাইরে ছিলেন। তা সত্ত্বেও মামা হওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি।

কিন্তু তাতে কী তার মন মানে! তাই শুটিং শেষ করে গতরাতেই ভাগ্নেকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান সালমান। প্রথমবারের মতো ভাগ্নে আহিল শর্মাকে দেখে তার কপালে আলতো করে চুমু খান তিনি। আর এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন নবজাত আহিলের বাবা আয়ুশ শর্মা।

নতুন অতিথি আসায় আনন্দের বন্যায় ভাসছে পুরো খান পরিবার। অর্পিতা ও আয়ুশ তাদের প্রথম সন্তানের নাম রেখেছেন আহিল শর্মা।
নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই

নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই


ঢাকা: সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচনকে ক্রটিপূর্ণ বলার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ছয় হাজারের বেশি কেন্দ্রের মধ্যে ২২টিতে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। তাই নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি রাখতে পারে। নির্বাচনী সহিংসতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত দেখা যায়—ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশেষ করে মেম্বার নির্বাচনে সামাজিক দ্বন্দ্বের অনেকটা বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেটা আমরা অতীতে বহু নির্বাচনে দেখেছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই সামাজিক-গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণে সংঘাত ও সহিংসতা হয়। আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যে তিনজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে জামালপুরে যার কথা বলা হচ্ছে উনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। নির্বাচনী সহিংসতায় নয়। হানিফ বলেন, আর দুটি জায়গায় যারা মারা গেছেন, এটা দুঃখজনক। তাৎ​ক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পদক্ষেপ এবং কঠোর আই​নি পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন তৎ​পর হয়ে ইতিমধ্যে কয়েক জনকে গ্রেপ্তারও করেছেন। বিএনপির অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপি এখন কোনো কারণ ছাড়াই নালিশ করছে। তারা একটি নালিশি দলে পরিণত হয়েছে। আসলে অভিযোগ ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
ত্যাগী ও নতুনদের অগ্রাধিকার দিতে হবে: যুবলীগ চেয়ারম্যান

ত্যাগী ও নতুনদের অগ্রাধিকার দিতে হবে: যুবলীগ চেয়ারম্যান


ঢাকা: রাজনীতিতে ত্যাগী ও নতুনদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ান কমিটির সম্মেল সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, নেতা বানানোর দায়িত্ব নেবেন না, নেতা হবে তার নিজ যোগ্যতায়, ত্যাগী ও নতুনদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের ব্যানারে এবং জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ বাস্তব রূপ পেয়েছে। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাটের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা ।
গরীব শিক্ষক ছাত্রদের রক্ত যেন বৃথা না যায়: খালেদা

গরীব শিক্ষক ছাত্রদের রক্ত যেন বৃথা না যায়: খালেদা

গরীব শিক্ষক ছাত্রদের রক্ত যেন বৃথা না যায়: খালেদা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: এই ঢাকার রাজপথেও ওলামা মাসায়েখ, হাফেজ ও মাদ্রাসার গরীব শিক্ষক-ছাত্রদের রক্ত ঝরেছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সেই ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। লোভ ও ভয়ের মুখে ঈমান নষ্ট না করে আপনারা যারা ইসলামী ঐক্যজোটের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামেও আলেম সমাজ পিছিয়ে ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের জাতীয় কাউন্সিলে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা বলেন, দেশের সংকট নিরসনে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। বল এখন শাসক দলের কোটে। তারা সংঘাতের পথ ছেড়ে সংলাপের পথে সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা করি। দেশের চরম সংকট উত্তরণে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি। স্বাধীন দেশের মানুষের অধিকার ও ইনসাফ কায়েমের জন্য অকাতরে জীবন দিতেও পিছপা হননি আলেম সমাজ। আগামীতেও আপনাদের সে ভূমিকা দেশবাসী আশা করে।

তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ক্ষমতাশীনদের কোন উদ্যোগ নেই। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন ও বন্ধুহীন করে ফেলা হয়েছে। বন্ধুত্বের বদলে সরকার গোলামীর পথ বেছে নিয়ে শাসকরা তাদের গদি রক্ষায় ব্যস্ত বলেও মন্তব্য করেন খালেদা।

তিনি বলেন, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও অালেম সম্প্রদায় নানাভাবে নিগৃহিত ও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। অন্য ধর্মের লোকদেরও কোন নিরাপত্তা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা অন্য ধর্মের নাগরিকদের ভোটই শুধু চায় না। তাদের সহায় সম্পদও তারা দখল করে নিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পেতে চায়।

সম্মেলনে বিএনপির নব মনোনীত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
 সিলেট আসার দুই দিন পর বাসায় গেলেন আরিফ

সিলেট আসার দুই দিন পর বাসায় গেলেন আরিফ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বহিষ্কৃত) আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট আসার দুই দিন পর নিজ বাসায় গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কুমারপাড়াস্থ বাসায় গেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে সিলেট আসেন কারামুক্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে তিনি বাসায় না গিয়ে নগরীর মাউন্ড এডোরা হাসাপাতালে তার অসুস্থ মা আমেনা খাতুনকে দেখতে যান। মায়ের সঙ্গে সাক্ষত শেষে তিনি মাউন্ড এডোরা হাসপাতালেই চিকিৎসা নেন। গতকাল বুধবার তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যা মামলা হাজিরা দিতে সিলেট দ্রæত বিচার আদালতে উপস্থিত হন। পরে তিনি পুনরায় হাসপাতালে চলে যান। সেখানে গিয়ে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে যাত্রী যাপন করেন। আজ বুধবার সকালে তিনি পুনরায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যা মামলা হাজিরা দিতে সিলেট দ্রæত বিচার আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর তিনি হাসপাতালে না গিয়ে নগরীর কুমারপাড়াস্থ নিজ বাসায় যান। বাসায় গিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মধ্যভোজ শেষ করেন। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন সিসিক মেয়র আরিফ। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরমর্শ নেন আরিফ। ডাক্তার তাকে দু’দিনের জন্য ছুটি দেন। সেই প্রেক্ষিতেই গত মঙ্গলবার সকালে তিনি সিলেট আসেন। সিলেটভিউ২৪ডটকম/
ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ে পাঁচ কারণে

ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ে পাঁচ কারণে


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সেতুর কাজ সংযোগ নির্মাণ। সেতু পার হওয়ার সময়ে খেয়ালই থাকে না, এটাও একটা কনস্ট্রাকশন। আর পাঁচটা স্থাপত্যের মতো তারও আয়ু রয়েছে, অসুখ রয়েছে, রয়েছে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। কেন ভেঙে পড়ে সেতু, ৫টি প্রধান কারণকে জেনে রাখুন। ১.ভূমিকম্প— শুধু সেতু নয়, যে কোনও নির্মাণই বিপর্যস্ত হতে পারে ভূকম্পে। সত্যি বলতে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন অন্য কনস্ট্রাকশনের চাইতে ভেঙে পড়া সেতু ভূকম্পের অনেক বেশি পরিচিত ইমেজ। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, ভূকম্পনে বিপর্যস্ত সেতুর সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়। ২.অগ্নিকাণ্ড— আগুন লেগে সেতু-বিপর্যয়ের ঘটনা খুবই বিরল। সেতু নির্মাণের কালে অগ্নি-রোধক ব্যবস্থা নেওয়াটা অবশ্যকর্তব্য। তাতেও কি সব সময়ে সেতুভঙ্গ রোধ করা গিয়েছে? ২০০৯-এ আমেরিকার ডেট্রয়েটে একটি ট্যাঙ্কার এক সেতুর তলায় ফেটে গেলে সেতুটিতে আগুন লেগে যায়। এবং সেতুটি ভেঙে পড়ে। ৩.বন্যা— বন্যায় সেতু-বিপর্যয়ের ঘটনা বেশ কমন। বন্যা-প্লাবিত নদী বয়ে নিয়ে আসে বিরাট গাছ, বড় পাথর, অন্য কনস্ট্রাকশনের ভাঙা অংশ। তারা গিয়ে সেতুতে ধাক্কা মারতে মারতে এক সময়ে ভেঙে ফেলে। তবে এই প্রক্রিয়ায় সেতু দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু এতে তার ক্ষয় ভালই হয়। তবে বন্যাবাহিত গাছ-পাথর ইত্যাদি সেতুর উপরে জমা হয়ে সেতুকে ভেঙে ফেলতে পারে। তা ছাড়া, ক্রমাগত বন্যায় সেতু ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। একসময়ে ভেঙে পড়ে। ৪. নির্মীয়মাণ অবস্থায় ভেঙে পড়া— এই ঘটনা বিরল নয়। বিশ্বের একটা বড় সংখ্যক সেতু-দুর্ঘটনা নির্মীয়মাণ অবস্থাতেই ঘটেছে। কানাডায় ১৯০৭ সালের কুইবেক ব্রিজের বিপর্যয় থেকে কলকাতার সাম্প্রতিক উড়ালপুল বিপর্যয় এর উদাহরণ। ৫.নির্মিত হওয়ার পরে নকশায় গণ্ডগোল থাকলে, নির্মাণে ত্রুটি থাকলে, দীর্ঘকাল রক্ষণাবেক্ষণ না-হলে সেতু ভেঙে পড়ে।
ট্যাক্স দিতে হবে দুবাই এয়ারপোর্ট যাত্রীদের

ট্যাক্স দিতে হবে দুবাই এয়ারপোর্ট যাত্রীদের


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারকারী সব যাত্রীদের এখন থেকে ট্যাক্স দিতে হবে। ট্রানজিট যাত্রীরাও এই ট্যাক্সের আওতায় থাকবে বলে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ৩০ জুন থেকে নতুন এই আইন কার্যকর হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। দুবাই সরকারের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এয়ারপোর্ট ব্যবহারকারী প্রতি যাত্রীকে ৩৫ দিরহাম বা ৯.৫০ ডলার (৭৪৪ টাকা) ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। ট্রানজিট যাত্রীদেরকেও সমপরিমাণ ট্যাক্স দিতে হবে। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরেই যাত্রীদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করা হয়। তবে দুবাইতে এই প্রথম ট্যাক্স আদায়ে আইন করা হলো। দুবাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ২০১৫ সালে ৭ কোটি ৮০ লাখের বেশি যাত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে। লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অতিক্রম করে ২০১৪ সালে বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে জায়গা করে নেয় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি থেকে প্রতিদিন বিশ্বের ২৪০টির অধিক গন্তব্যে ১০০টি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসে ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে দুবাই বিমানবন্দর প্রধান অংশের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করেন। বর্তমানে বিমানবন্দরটির যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা ৯ কোটি। ট্যাক্স থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিমানবন্দরের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আল্লাহর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যম

আল্লাহর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যম


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা। তাকে স্মরণ করা, তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা আমাদের মহান দায়িত্ব। আল্লাহকে স্মরণ করা বিশেষ ইবাদতও। তাকে স্মরণ করার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতার দরকার নেই, যখন যেভাবে খুশি তাকে স্মরণ করা যায়। এই ইবাদতের জন্য বিশেষ কোনো শর্ত নেই। যেমন নামাজের জন্য কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আছে। শরীর ও কাপড় পাক হতে হবে। নামাজে খাবার-দাবার করা যাবে না। কিন্তু জিকির বা আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য এ ধরনের কোনো শর্ত নেই। কেবলামুখী হওয়া, শরীর-কাপড় পাক হওয়া, ওজু করা এসবের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রত্যেক সময় যেকোনো অবস্থায় মানুষ তার প্রভুকে স্মরণ করতে পারে। তবে প্রস্রাব-পায়খানার সময় শুধু জিকির করা যাবে না। এছাড়া আর কোনো সময়ে জিকিরের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ নেই। নাপাক অবস্থায় কোরানে কারিম তেলাওয়াত করা যাবে না; এছাড়া সব ধরনের জিকির করা যাবে। উঠাবসায় আল্লাহকে স্মরণ করুন; তাঁর সঙ্গে চুপি চুপি কথা বলুন। মনে মনে বলুন, হে আল্লাহ! আমার অমুক কাজটি করে দাও; আমার ওই পেরেশানিটি দূর কর; আমাকে সংশোধন কর। এখন মোবাইলফোনের যুগ। মানুষ যেখানেই যাক তার পকেটে মোবাইল থাকে। এটা ভেবে সে পরিতৃপ্ত, চাইলে যে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবো। জিকরুল্লাহ দ্বারাও প্রত্যেক মুমিন আল্লাহর সঙ্গে এমন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এটা মোবাইলফোনের চেয়েও দ্রুত সংযোগ স্থাপন করে। বরং মোবাইলে তো টাকা-পয়সা খরচ হয়, নম্বর যোগার করতে হয়; অনেক সময় লাইন ব্যস্ত পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে যে লাইন সেটা কখনও বিজি হয় না। বান্দার জন্য আল্লাহ প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত। যখনই আপনি আপনার প্রভুকে ডাকবেন তিনি জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা শুনি আর না শুনি, যিনি শোনার তিনি শুনেই নেবেন। দুনিয়ার কোনো শাসক এমন নেই যাকে মানুষ যখন চাইবে তখনই পাবে। কিন্তু দুই জাহানের বাদশা, মহান রাব্বুল আলামিন এমন এক শাসক, যে যত গোনাহগারই হোক যখনই আল্লাহকে ডাকবে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের জবাব আসবে। এর দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে একটি সম্পর্কও স্থাপিত হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের সবসময় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে থাকা চাই।
অবসর সময় কাটাচ্ছেন নায়িকা রত্না

অবসর সময় কাটাচ্ছেন নায়িকা রত্না

অবসর সময় কাটাচ্ছেন নায়িকা রত্না

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রে দর্শকপ্রিয় নায়িকা রত্না। এই মুহুর্তে তার হাতে কোন ছবি নেই। দীর্ঘদিন ধরেই বেকার সময় কাটাচ্ছেন তিনি। হাতে ছবি নেই তাই হয়তো একটু বিরতি নিচ্ছেন রত্না। ছয় মাস কাজ করবেন না কোন নতুন ছবিতে।

তবে রত্নার দাবী, তার হাতে অনেক ছবিতে কাজের অফার আছে। কিন্তু লেখাপড়ার ব্যস্ততা ও কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে কাটাবেন বলেই ছয় মাস নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করবেন না।

মূলত এলএলবির লেখাপড়ার জন্য আপাতত ছয় মাস অভিনয় থেকে দূরে থাকছেন নায়িকা রত্না। এখন পর্যন্ত নায়িকা রত্না অর্ধশতাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও নায়িকা হিসেবে খুব একটা সফলতা পাননি।

তবে তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি কাজী হায়াতের পরিচালনায় 'ইতিহাস'-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন কাজী মারুফ। ছবির 'তুমি কই তুমি কই, তোমার বুকের মধ্যে খানে' গানটি ছিল মানুষের মুখে মুখে।

বিরতি কাঁটিয়ে রত্না আবারো অভিনয়ে মনোযোগী হবেন সেই প্রত্যাশা সকলের।
তৌকীর আহমেদের বিপরীতে প্রথমবার সুজানা

তৌকীর আহমেদের বিপরীতে প্রথমবার সুজানা

তৌকীর আহমেদের বিপরীতে প্রথমবার সুজানা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:: জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকির আহমেদ ও মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর এবার একসাথে কাজ করলেন। টেলিফিল্মটির নাম 'চট্টো মেট্রো'। এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।

টেলিফিল্মটিতে তৌকির-সুজানা ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী প্রভা।

এ প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, তৌকির ভাই অনেক গুণে গুণান্বিত একজন মানুষ। তার নির্মাণেও মুন্সিয়ানা রয়েছে। এবারই তার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি।
এটি একেবারে রোমান্টিক একটি টেলিফিল্ম। চিটাগাং শুটিংয়ের সময় খুব ইনজয় করেছি 'চট্টো মেট্রো' কাজটিতে। আশা করি টেলিফিল্মটি দর্শকদের কাছেও ভালো লাগবে।'

নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, 'চট্টো মেট্রো' টেলিফিল্মটির দৃশ্যধারণ শেষ, এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। শিগগিরই এটি প্রচারে আসবে বলেও জানান নির্মাতা সকাল আহমেদ।
ব্রাজিল থেকে প্রেমের টানে আলিপুরদুয়ারে লুডমিলা

ব্রাজিল থেকে প্রেমের টানে আলিপুরদুয়ারে লুডমিলা

ব্রাজিল থেকে প্রেমের টানে আলিপুরদুয়ারে লুডমিলা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রেমে পড়লে মানুষ কতো কিছু করে। এমনকি প্রাণ পর্যন্ত দিয়ে দিতে পারেন। তাইতো সেই প্রেমের টানেই সুদূর ব্রাজিল আর উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামের দূরত্বও ঘুচে যায়।

দু'বছর আগে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়েছিল দুই তরুণ -তরুণীর। শেষ পর্যন্ত প্রায় পনেরো হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে সটান আলিপুরদুয়ারের ঘরঘরিয়ার মতো প্রত্যন্ত গ্রামে হাজির হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী লুডমিলা। তার মনের মানুষ ওই গ্রামেরই যুবক সজল রায়।

কৃষক পরিবারের ছেলে সজল বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশন নিয়ে এমএ পড়ছেন ৷ দু'জনের আর্থিক অবস্থার কোনও মিল না থাকলেও লুডোর পরিবারও কৃষিজীবী।

বেশ কিছু দিন ধরেই সজলকে লুডো বারবার করে অনুরোধ করছিলেন দুনিয়ার দুই প্রান্তে থেকে কোনো ভাবেই আর দিন কাটছে না তার।

১৯ মার্চ সজলকে ফোন করেন লুডো জানান, ২২ মার্চের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের ঘরঘরিয়ায় আসছেন তিনি। প্রথমে বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে হলেও ২২ মার্চ সকালে মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ বিমানবন্দর থেকে ফের সজলকে ফোন করে লুডমিলা বলেন , তিনি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে গেছেন।

এ কথা শুনেই বিষয়টি পরিবারের সবাইকে জানিয়ে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ লুডোর বিমান বাগডোগরায় অবতরণ করে। এই প্রথম লুডো আর সজল নিজেদের চোখের সামনে দেখবেন। সমস্ত বাধা কাটিয়ে বেশ খানিক্ষণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।

সজলের কথায় , 'মানুষের স্বপ্ন যে এভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে তা কল্পনা করিনি৷ পাঁচ মিনিট আমরা কোনো কথা বলতে পারিনি৷ ' লুডোর পরিষ্কার কথা , 'আমি সজলকে চিনি৷ আর কিছুই চাই না , তাই এতদূরে অচেনা জায়গায় ছুটে এসেছি৷ সংসার করতে চাই।'

গ্রামে বিদেশিনীর আসার খবর রটে যেতেই মানুষের মেলা লেগে গেছে সজলের বাড়িতে। সবাইকে সামলাতে আর মিষ্টিমুখ করাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা সজলের পরিবারের। শুধুমাত্র আশপাশের গ্রামগুলি থেকেই নয়, আলিপুরদুয়ার শহর থেকেও উত্সুক মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছেন।

ভাঙা ইংরেজি আর পর্তুগিজ ভাষায় নিজের মনের ভাব অনেক কষ্টে প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের ওই তরুণী। কিছু বোঝাতে না পারলেই চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল৷ সঙ্গে সব সময়ের জন্য থাকছে প্যাড আর কলম। ইংরেজিতে সব কিছু লিখতে পারলেও বলার ক্ষেত্রে ততটা সড়গড় নন লুডো। গ্রামে তার একমাত্র ভরসা সজল।সজলের পরিবার লুডোকে আলিপুরদুয়ারের কোনও ভালো হোটেলে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিল।

কিন্তু লুডো জানিয়েছেন , 'সজলের ভালোবাসার টানে যখন একবার সব ছেড়ে চলে এসেছি , তখন হোটেল থাকতে যাব কেন ? এই পরিবার, এখানকার আকাশ বাতাসকে একান্তই আপন করে নিতে চাই।'

সজল জানিয়েছেন , 'আমাকে এত বিশ্বাস করে যে সব ছেড়ে চলে আসতে পেরেছে তাকে তো যোগ্য মর্যাদা দিতেই হবে৷ খুব তাড়াতাড়ি আমরা বিয়েটা সেরে ফেলতে চাই৷ '

আর লুডো অকপটে সকলকে বলছেন , 'পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরছি৷ অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কিন্ত্ত সজলের মতো নির্মল মনের মানুষ কোথাও খুঁজে পাইনি৷ আমাদের পরিবারের তরফেও কোনও আপত্তি নেই৷ গ্রামটার উন্নতি করতে চাই।

ভবিষ্যতে এখানকার শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে কাজ করতে চাই। আর এলাকার কৃষকরা যাতে প্রযুক্তি নির্ভর চাষ আবাদ করতে পারেন , সেই দিকটায় বিশেষ ভাবে নজর দেব।'

সজলের মা প্রমীলা থেকে শুরু করে বাবা খুলেন রায় অথবা ওই গ্রামের বাসিন্দারা মনে প্রাণে মেনে নিয়েছেন এই বিদেশিনি বৌমাকে।

প্রমীলা জানিয়েছেন , 'এটা অনেকটা আমাদের কাছে রূপকথার গল্পের মতো। স্বচ্ছল পরিবারের একটি মেয়ে কত আশা নিয়ে আমাদের কাছে ছুটে এসেছে কোনো ভাবেই তার অমর্যাদা হতে দেব না। আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'
লন্ডনের রাস্তায় সোনার গাড়ি

লন্ডনের রাস্তায় সোনার গাড়ি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের ধনকুবেরদের বিলাসি জীবনযাপনের বিষয়টি সুপরিচিত। দেশ-বিদেশে সব জায়গাতেই তারা চাকচিক্য নিয়ে চলাফেরা করেন। সম্প্রতি লন্ডনে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছেন সৌদির এক তরুণ ধনকুবের। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বিশ্বসেরা গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্বর্ণখচিত বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি। তাদের গাড়ির মধ্যে রয়েছে, চার কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছয় চাকার অফ রোডার মার্সিডিস বেঞ্জ জি৬৩, দুই কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের একটি বেন্টলি ফ্লাইং স্পার, চার কোটি ৯২ লাখ টাকা মূল্যের রোলস রয়েস প্যান্থম কোপ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি এবং প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের একটি ল্যাম্বোরগিনি অ্যাভেন্টাডর এসভি ব্র্যান্ডের গাড়ি। সম্প্রতি ক্যানিংস্টনের রাস্তায় তাদের গাড়ির বহর দেখা গেছে। তাছাড়া, পাঁচ তারকা হোটেল মান্দারিয়ান ওরিয়েন্টাল হোটেলের গাড়ি পার্কিং এলাকাতে তাদের গাড়িগুলো পার্ক করা ছিল। প্রতি বছরই গ্রীষ্মকালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহু ধনকুবের তাদের বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে ব্রিটেন ভ্রমণে আসেন। তাদের এসব দামি গাড়ি বিমানে করে লন্ডনে আনতে খরচ হয় গাড়ি প্রতি ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। দামি গাড়ি পরিবহনকারী এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজ অন্যতম।

Wednesday, March 30

 কানাইঘাটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কানাইঘাটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ঝিংগাবাড়ী হরিসিংমাঠি গ্রামে বুধবার সকালে পানিতে ডুবে বায়োজিদ হাসান চৌধূরী ১৬ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। সে ঐ গ্রামের সৌদী প্রবাসী শামসুদ্দিন চৌধূরীর ছেলে । বুধবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সে খেলা করার ফাকে বাড়ীর সকলের অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অনেক্ষণ পর বাড়ীর লোকজন খুজাখুজি করতে গিয়ে তাকে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কারামুক্ত মেয়র আরিফকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল

কারামুক্ত মেয়র আরিফকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কারামুক্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুহুল আমিন, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আর এ বাবলু, সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন ও ছাত্রদল নেতা ইকবাল আহমেদ।
ইসলাম বিদ্বেষীদের অপতৎপরতা বন্ধে শিশুদের ধর্মীয় অনুশাসনে গড়ে তুলতে হবে--আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী

ইসলাম বিদ্বেষীদের অপতৎপরতা বন্ধে শিশুদের ধর্মীয় অনুশাসনে গড়ে তুলতে হবে--আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী


নিজস্ব প্রতিবেদক: জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী বলেছেন, শিশুরা হচ্ছে আগামীদিনের দেশ ও জাতির কর্ণদ্বার। তাদের ধর্মীয় অনুশাসনের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারলেই সমাজ আলোকিত হবে। বর্তমানে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য বিজাতীয় সংস্কৃতি আগ্রাসন দেশ ও জাতিকে গ্রাস করেছে। এমতাবস্থায় ইসলাম বিদ্বেষীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে শিশুদের বুনিয়াদী ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন- বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর আদর্শ ব্যক্তি জীবনে অনুশাসন করতে পারলেই বিপথগামী হবার সুযোগ নেই। আনজুমানে মঈনুল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আহমদ হোসাইন আত্হর চতুলী রহ. এ অঞ্চলের শিশু শিক্ষা উন্নয়নের রূপকার তার এ অবদানের জন্য জাতি চিরকাল তাঁকে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইমামগণের ভূমিকা অপরিসীম তাই ইমামগণকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে। আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট চতুল ঈদগাহ মাঠে আনজুমানে মঈনুল ইসলাম চতুলের উদ্যোগে নাদিয়াতুল কুরআন বোর্ড বৃহত্তর চতুলের বৃত্তি প্রদান, সীরাতুন্নবী সা. মহাসম্মেলন ও ইমাম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য দান কালে উপরোক্ত কথা বলেন। আনজুমানের সভাপতি মাও. আব্দুর রহমান আরিফ ও মাও.হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং মাও. নূরুল ইসলাম নো’মানী ও মাও. ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী এবং মাও.হা.মীম সুফিয়ানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আল্লামা ফরিদ উদ্দিন ফেনী, সাবাহী মক্তব ও বুনিয়াদী শিক্ষার উপর “টকশো অনুষ্ঠিত হয় টকশোতে অংশ গ্রহণ করেন মাও.শাহ নজরুল ইসলাম, কবি মুসা আল হাফিয ও মাও.মাহবুব শিরাজী, কানাইঘাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম রানা। ৫নং বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাও.আবুল হোসাইন চতুলী, আলহাজ্ব হামিদুল হক, ফখরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আব্দুল হেকিম। সম্মেলনের পূর্বে সকাল ১০ টায় চুতলের ৬০টি মক্তবের প্রায় ১০ হাজার শিশু কিশোরের অংশগ্রহণে এলাকায় এক ঐতিহাসিক র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্বদেন মাও.আনিছুল হক, মাও.আব্দুল কুদ্দুস, মাও.শিহাবুদ্দীন, মাও.আবুল হোসাইন চতুলী, মাও.তাহির আলী, মাও.কামাল উদ্দিন, মাও.রুহুল আলম, মাও.জমির উদ্দিন প্রমুখ। হামদ ও নাত্ পরিবেশনা করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। সম্মেলনে বোর্ডে বৃত্তি প্রাপ্তদের বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বৃত্তি প্রদান করেন মাও.ক্বারী তাহির আলী, মাও.আব্দুল্লাহ, মাও.বদরুল ইসলাম, মাও.নূরুল ইসলাম নো’মানী, মাও.আব্দুল্লাহ বাহার, মাও.ক্বারী. সাজ্জাদুর রহমান।

Monday, March 28

তনু হত্যার প্রতিবাদে কানাইঘাটে মানববন্ধন

তনু হত্যার প্রতিবাদে কানাইঘাটে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচারের দাবিতে ‍"ডালাইচর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির" উদ্যোগে সোমবার বিকেল ২ ঘটিকায় কানাইঘাট বাজার পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। সোসাইটির সভাপতি নজির হাসান তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদ সাগরের পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আজমল হোসেন,সাংবাদিক মাহবুবুর রশিদ,সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মামুন রশীদ রাজু, ছাত্রনেতা সাহেদ আহমদ, আবুল হাসনাত,শাহীন,সমির উদ্দিন,জাহিদ হাসান,ডালিম,জাহাঙ্গীর,ফয়ছল,আবুল,হোসেন,মামুন,রুমান আহমদ,আশফাক,রুহুল আমিন,সারওয়ার,আদনান,নাঈম,রূপজয় প্রমূখ। মানববন্ধনে কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তন্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কানাইঘাটে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন

কানাইঘাটে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন


নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের ন্যায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কানাইঘাট উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৬’ উপলক্ষে পদযাত্রা,মানববন্ধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কবিতা আবৃতি,চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। সোমবার কানাইঘাট মহিলা কলেজে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওঃ খালিদ আহমদ। সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়াহইয়া,সহকারী শিক্ষক সাহেদুল আম্বিয়া,মিঠুন চৌধূরী,মোঃ সেলিম আহমদ,মাওঃ জাকারিয়া,ইতি চক্রবর্তী,কানাইঘাট মহিলা কলেজের অফিস সহকারী মোঃ আব্দুল করিম,সমাজসেবী তৌহিদ আহমদ প্রমূখ।

Sunday, March 27

সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে পালমিরা

সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে পালমিরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হটিয়ে দিয়ে ফের প্রাচীন নগরী পালমিরা পুনর্দখল করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। রুশ বাহিনীর সহায়তায় সিরীয় সেনারা পালমিরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এদিকে মার্কিন অভিযানে আইএসের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবদুল রহমান মুস্তফা আল কাদুলি নিহত হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, রোমান আমলের ধ্বংসাবশেষের পশ্চিম দিকের একটি পাহাড়ের উপর পুনর্নির্মিত ১৩শ’ শতকের একটি দুর্গের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী। গত বছরের মে মাসে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ পালমিরা ও সংলগ্ন আধুনিক শহরটি দখল করেছিল আইএস। সরকারপন্থী আল মায়াদ্বিন টেলিভিশন জানিয়েছে, দেড়শ মিটার উঁচু একটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত দুর্গটি থেকে পুরো প্রাচীন রোমান নগরীটি নজরে পড়ে। কৌশলগতভাবে এর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থ ধাপে ৭৪৩ ইউপিতে ভোট ৭ মে

চতুর্থ ধাপে ৭৪৩ ইউপিতে ভোট ৭ মে


ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।এ দফায় ৭৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ধাপে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ মে। আগামী ৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ১০ ও ১১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ এপ্রিল। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৯ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট ইউপির রিটার্নিং অফিসাররা। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশন ইউপির তালিকাসহ এ সংক্রান্ত ভোটের সময়সূচি জারি করে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব সামসুল আলম জানান, চতুর্থ ধাপের ভোটের সময়সূচি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। স্ব স্ব ইউপির তফসিল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবেন। তিনি বলেন, ‘এসব ইউপির নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইউপিগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে।’ এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের, ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ও ১৫ মার্চ তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আরো দুই ধাপে ২৮ মে ৭১৪টি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে। এবার সারাদেশে ছয় ধাপে ইউপি ভোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ৭১২ ইউপির ভোট শেষ হয়েছে। ৩১ মার্চ ভোট হবে সাড়ে ৬০০ ইউপির। ২৩ এপিল আছে আরো ৬৮৫ ইউপির ভোট। (ঢাকাটাইমস
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের অবরোধ

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের অবরোধ


ঢাকা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছিলেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় শাহবাগ মোড় সন্নিহিত সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। টিএসসিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সড়ক অবরোধ করে সেখানে বসে পড়ে। তারা তনু হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এর আগে তারা টিএসসি ও শাহবাগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) পারভীন সুলতানা জানান, রবিবার দিনভর নানা কর্মসূচির পর বিকেল পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শতাধিক শিক্ষার্থী। সড়ক অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তোলা হয়। এরপর সাড়ে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা উঠে গেলে সচল হয় সড়ক। একই দাবিতে এই শাহবাগ থেকেই সকালের দিকে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার উদ্দেশে রোডমার্চ শুরু করে। তনু হত্যার প্রতিবাদে রবিবার শুধু ঢাকাতেই নয়; সাভার, ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়। ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার আলিপুরে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন মামলা করলেও কোনো খুনিকে শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পাঁচ দিন পর শুক্রবার রাতে এই মামলার তদন্তভার ডিবির ওপর ন্যস্ত করা হয়। (ঢাকাটাইমস
‘নির্বাচনে সহিংসতার দায় ইসি নেবে না’

‘নির্বাচনে সহিংসতার দায় ইসি নেবে না’


ঢাকা: ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা হলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর দায় নেবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ। রবিবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কারো মারামারির দায় ইসির নেয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি, কোনো সহিংসতা হলে যেন শক্তভাবে ভূমিকা গ্রহণ করে। যিনি সহিংসতা করবে তিনি যেন ছাড় না পায়, গ্রেপ্তার করা হয়, চরম ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কার্পণ্য না করে।’ তিনি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের প্রত্যেক পর্যায়কেই আমরা সমান গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আইন-শৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্মকর্তা সবই একই রকম থাকছে। আইন-শঙ্খলা বাহিনীর যারা আছে, তারা আরও শক্ত হবে। প্রথম পর্যায়ে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়েও কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ২৪ জন নিহত হওয়ার দায় কমিশন এড়াতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কার ওপর দায় পড়ে এটা খোঁজ নিলেই পাবেন। পাশাপাশি দুই বাড়ির কেউ মারামারি করলে তার দায় নির্বাচন কমিশনের নেয়া কোনো কারণ আমি দেখি না।’ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কমিশন কোথাও দাঁড়িয়ে থেকে নির্বাচন করে না। স্থানীয় নির্বাচন নিজেদের মধ্যেই হয়। তাদের (প্রার্থী) সম্মানের প্রশ্ন থাকে, দলাদলির প্রশ্ন থাকে, গ্রুপিং এর প্রশ্ন থাকে। এমন নয় যে এবারই নতুন করে মারা গেল। পার্শ্ববর্তী দেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক কেন্দ্রেই প্রচুর মারা গেছে এমন ঘটনাও আছে। আমাদের পূর্ববর্তী নির্বাচনেও এর চেয়ে বেশি মারা গেছে।’ ইসির এই কমিশনার বলেন, ‘কিছুকিছু ব্যক্তির অতি উৎসাহের কারণে কিছু সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থাও নিচ্ছি এবং ভবিষতে আরো নেব। কেউ নিজস্ব এলাকায় মারামারি করলে, দেশের স্বাভাবিক অবস্থায় যখন মারামারি হয়, এর অর্থ এই নয় যে, নির্বাচন এলেই খুন হয়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যে কিছু লোক বাড়াবাড়ি করবে, কিছু লোক ক্ষতিগ্রস্থ হবে,পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’ (ঢাকাটাইমস
দেশাত্মবোধ ও ইসলাম

দেশাত্মবোধ ও ইসলাম


জহির উদ্দিন বাবর: দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ একটি বহুমাত্রিক অনুভূতির বাহ্যিক প্রকাশ। দেশের প্রতি যার অন্তরে ভালোবাসা রয়েছে, দেশের মঙ্গলসাধনে অব্যাহত প্রচেষ্টা তার সহজাত বিষয়। প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে হলেও নিজের দেশপ্রেমের প্রমাণ দেয়। দেশ তার একজন সন্তান এবং নাগরিকের কাছে এ ধরনের ত্যাগ ও নিবেদনই প্রত্যাশা করে। অনুকূল পরিবেশে দেশের জন্য দরদ দেখাতে পারেন সবাই। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে দেশের জন্য সামান্য কিছু করতে পারাও অনেক বড় বিষয়। চরম প্রতিকূল পরিবেশে হজরত নবী করিম (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বারবার ঘুরে মক্কার প্রান্তর, পাহাড়, বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘হে মক্কা! আমি তোমাকে ভালোবাসি!’ দশ বছর পর যখন প্রায় বিনাযুদ্ধে তিনি বিজয়ীর বেশে মক্কায় প্রবেশ করেন, তখনও তার মহানুভব হৃদয়ে ছিল স্বদেশে ফিরে আসার কোমল ও পবিত্রতাপূর্ণ এক আকুতি। নিজের দেশের মাটিতে বিজয়ীর বেশে ফিরে এসে প্রতিশোধহীনতার এক আকাশ-উঁচু চেতনার বাণী তিনি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের প্রতি আজ কোনো প্রতিশোধ নেই।’ দীর্ঘ তেরো বছর শত জুলুমে, উত্পীড়নে বিদ্ধ হওয়ার পরও দেশটি ফিরে পাওয়ার পর স্বদেশবাসীর প্রতি এই অভিব্যক্তি ও সর্বোচ্চ সদাচার ছিল একজন মহান দেশপ্রেমিকের। দেশ ফিরে পাওয়ার আনন্দে তিনি নিজের ব্যক্তিগত সব আবেগ-ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলেছিলেন। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাছে ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আবেগ তুচ্ছ। দেশের স্বার্থে শত্রুকেও সে আপন করে নিতে পারে। ইসলামে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেয়ার কথা বলা হয়েছে। নববী আদর্শে গড়া সাহাবায়ে কেরামও স্বদেশকে খুব ভালোবাসতেন। হিজরতের পর মদিনায় হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত বেলাল (রা.) জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের মনে-প্রাণে নিজের দেশ মক্কার স্মৃতিচিহ্ন জেগে উঠেছিল। তারা জন্মভূমি মক্কার দৃশ্যগুলো স্মরণ করে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন। নবী করিম (সা.) সাহাবিদের মনের এ দুরবস্থা দেখে প্রাণভরে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমরা মক্কাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি তার চেয়েও বেশি মদিনার ভালোবাসা আমাদের অন্তরে দান করুন।’ (বুখারি) দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহ্বান করেছেন সাহাবায়ে কেরাম সর্বতোভাবে এ ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তারা জানতেন, নিজেদের বিশ্বাস, আদর্শ ও ধর্মমতের প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তারা যেমন আন্তরিক ছিলেন, তেমনি নিবেদিত ছিলেন দেশপ্রেম ও দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষায়। ইসলামের আলোকে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ মানুষকে স্বদেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক নাগরিক নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। যুগে যুগে দেশপ্রেমিক নাগরিকরা নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ও সুরক্ষার আন্দোলন করে গেছেন। বিশেষত যাদের ধর্ম ইসলাম, বিশ্বাসে যারা শেষ নবির অনুসারী, তাদের কাছে দেশ ও জাতির জন্য আত্মত্যাগ ও বিসর্জনের দৃষ্টান্তে ইতিহাসের পাতা ভরপুর। নিজ দেশের ওপর আঘাত এলে আদর্শ ও বিশ্বাসের ধারকরাই সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ইসলামের প্রেরণা যাদের ভেতরে কাজ করে তারা দেশ ও জাতির যেকোনো দুর্দিনে সর্বাত্মক বিসর্জনের মানসিকতা পোষণ করেন। স্বাধীনতার কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি রয়েছে। যেমন জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য। কোনো জনগোষ্ঠী নিজেকে স্বাধীন জাতি হিসেবে তখনই ভাবতে পারে যখন তার মধ্যে জাতীয় চেতনাবোধ, ঐক্য ও সংহতি, আত্মনির্ভশীলতা, আত্মবিশ্বাস স্বাধীনতার—এসব মৌল উপাদান মোটাদাগে থাকে। ইসলাম স্বাধীনতার প্রতি যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিও রয়েছে ইসলামের জোরালো তাগিদ। দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিটি সদস্যের ওপর স্বাধীনতা সুরক্ষার পবিত্র দায়িত্ব বর্তায়। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যেমন একজন নাগরিকের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে, তেমনি রাষ্ট্রের ইমেজ যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকেও থাকবে তার সতর্ক দৃষ্টি। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ থাকলেই কেবল একজন নাগরিক প্রকৃত অর্থে নাগরিকের মর্যাদা লাভ করতে পারে। সাড়ে চার দশক আগে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র লাভ করেছি। স্বাধীনতা মহান প্রভুর অন্যতম বিশেষ দান। যারা পরাধীন তারাই শুধু জানেন, স্বাধীনতার মূল্য কত বেশি। স্বাধীন প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্ট মানুষের পক্ষে পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকা অসহনীয় ব্যাপার। যেহেতু আমরা অসহনীয় একটি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছি এজন্য স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আরও কিছু দায়িত্ব আমাদের ওপর বর্তায়। সে দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করলেই একজন নাগরিক আদর্শ নাগরিকের খেতাব পায়। ইসলামের চোখে একজন আদর্শ নাগরিক রাষ্ট্রের মূল্যবান সম্পদ। নাগরিকের অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকবে দেশ ও জাতির কীভাবে উন্নতি করা যায়। নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে হলেও দেশের জন্য, নিজের জাতির জন্য কিছু করার মানসিকতা থাকতে হবে। রাষ্ট্র তার নাগরিকের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি ভাববে, কিন্তু রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ভাবনা থাকবে—কীভাবে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যে দেশের নাগরিক যত সভ্য ও সুশীল, সে দেশ তত উন্নত ও অগ্রসর। নাগরিকের দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগই রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। নাগরিকের দায়িত্বহীনতা ও অনগ্রসরতা যেকোনো দেশকে পিছিয়ে দেয়। চেতনার দিগন্ত সমৃদ্ধ ও বলিষ্ঠ না হলে দেশ এবং জাতির জন্য কিছু তো করা যায়ই না, বরং এমন নাগরিক দেশের জন্য বোঝা। ব্যক্তির সমষ্টির মাধ্যমেই রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য চাই ব্যক্তির আন্তরিকতা ও চেতনাবোধ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নাগরিকের। দেশ স্বাধীন করার চেয়ে দেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার দায়িত্ব অনেক বেশি। আর শুধু সীমানা অক্ষুণ্ন থাকলেই স্বাধীনতা টিকে থাকে না, প্রতিটি নাগরিককে বলিষ্ঠ চেতনায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়। নৈতিক মূল্যবোধে চিড় ধরে, এমন কোনো কাজ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এজন্য জাগ্রত বিবেক ও বলিষ্ঠ চেতনার আধার হতে হয় একজন আদর্শ নাগরিককে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পেরিয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যেককে ভাবতে হবে, আমরা সত্যিই কি আদর্শ নাগরিক হতে পেরেছি? দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেমের যথার্থ উপস্থিতি কি আমাদের মধ্যে আছে? আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা এখনও পাইনি। কারণ আদর্শ নাগরিকের সংখ্যা অনেক কম। প্রকৃত দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ আছে খুব কম লোকের মধ্যেই। এজন্য সবার প্রচেষ্টা থাকা চাই—নিজে আদর্শ নাগরিক হওয়া এবং অন্যকে আদর্শ নাগরিক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা। এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সকালের নাশতাই সেরা নয়

সকালের নাশতাই সেরা নয়


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বলা হয়ে থাকে, সকালের নাশতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। যুকরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পুষ্টি বিশেষজ্ঞের দাবি, সারা দিনের খাবারের মধ্যে সকালের নাশতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধারণাটি সত্য নাও হতে পারে। কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে বিষয়টি এখনো প্রমাণিত হয়নি। যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং পুষ্টি ও মেটাবোলিজম(বিপাক প্রক্রিয়া) বিশেষজ্ঞ ডা: জেমস বেটসের মতে, বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি, শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে সকালের নাশতাকে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে দেখা হয়। আর এভাবে দেখার মূল কারণ শক্তিশালী বিজ্ঞাপনের প্রচার। বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব বিজ্ঞাপন প্রচারের পিছনে রয়েছে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ। ডা: বেটস বলেন, সকালের নাশতা মানুষের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ পক্ষে সামান্য পরিমাণ তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। আর এই বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে। এ বছরের শুরুতে ডা: বেটস আমেরিকান জার্নাল অব নিউট্রিশনে একটি গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সকালের নাশতা স্থূলকায় ব্যক্তিদের অধিক ব্যায়াম করতে সহায়তা করে। গবেষণা নিবন্ধটিতে তিনি বলেছিলেন, যারা সকালে নাশতা খান তাদের ওজন কমে না। কিন্তু তারা সকালে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকেন এবং সারা দিন তুলনামূলক কম খান। ডা: বেটস তার গবেষণায় সকালে নাশতার সঙ্গে অধিক ব্যায়াম এবং রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টির যোগসূত্র পেয়েছেন। ওজন কমানোর বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে তিনি বলেন, চলতি তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, সকাল নাশতা খেলেই ওজন কমবে না। আর সকালের নাশতা না খেলেও শরীরের ওজন বাড়বে না।
 কানাইঘাটে ৫৬৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

কানাইঘাটে ৫৬৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন রবিবার উৎসব মুখর পরিবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪১০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৯৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। চেয়ারম্যান পদে ৯টি ইউনিয়নে আ’লীগ, বিএনপি সমর্থিত দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও এ দু’টি রাজনৈতিক দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আ’লীগ সমর্থিত দলীয় প্রার্থী আলমাছ উদ্দিন, বিএনপি সমর্থিত শমসের আলম, আব্বাস উদ্দিন (জাপা), বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়াজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র), আলা উদ্দিন মড়াই (আ’লীগ বিদ্রোহী), মোঃ মাসুক আহমদ (স্বতন্ত্র), ফখর উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি বিদ্রোহী), আব্দুর রব (বিএনপি বিদ্রোহী), ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মি. জেমস্ লিও ফারগুশন নানকা, বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী (আ’লীগ বিদ্রোহী), বিএনপি সমর্থিত মোঃ কামাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম আমিন (বিএনপি বিদ্রোহী), এড. আব্দুর রহিম (জাপা), আব্দুস সামাদ আজাদ উজ্জ্বল (স্বতন্ত্র), মাও. হেলাল উদ্দিন (জমিয়ত), ৩নং দিঘীরপাড় পূর্ব ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত আলী হোসেন কাজল, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী (আ’লীগ বিদ্রোহী), বিএনপি সমর্থিত আলতাফ উদ্দিন, আব্দুল হাই (স্বতন্ত্র), ৪নং সাতবাঁক ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত মস্তাক আহমদ পলাশ, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহজাহান সেলিম বুলবুল পারিবারিক কারনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন নি। এই ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় প্রার্থী নেই, বর্তমান চেয়ারম্যান মাস্টার ফয়জুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), আব্দুল মান্নান (স্বতন্ত্র), জয়নাল আবেদীন (জাপা), আলী আহমদ (আ’লীগ বিদ্রোহী), ৫নং বড়চতুল ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মুবশ্বির আলী, বিএনপি সমর্থিত আব্দুল মালিক চৌধুরী, হামিদুল হক (বিএনপি বিদ্রোহী), কিউএম ফররুখ আহমদ ফারুক (জাপা), মাও. ফখরুল ইসলাম (জমিয়ত), মাও. আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), ৬নং সদর ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত হোসেইন আহমদ, বিএনপি সমর্থিত মামুন রশিদ, বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, আ’লীগ সমর্থিত মাসুদ আহমদ, মাও. আব্দুল কাদির (জমিয়ত), লোকমান উদ্দিন (স্বতন্ত্র), আব্দুল মুছব্বির (স্বতন্ত্র),৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপিতে আ’লীগ সমর্থিত নুরুল হক, জালাল আহমদ (আ’লীগ বিদ্রোহী), হারুনুর রশিদ (আ’লীগ বিদ্রোহী), বিএনপি সমর্থিত আবু বক্কর সিদ্দিকী, আব্বাস উদ্দিন (বিএনপি বিদ্রোহী), নুরুল আমিন চৌধুরী (জাপা), মাও. খলিলুর রহমান (জমিয়ত), তৈহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মিসবাহ উদ্দিন (স্বতন্ত্র), হুসনী মোবারক (স্বতন্ত্র) এবং ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান ডাক্তার মানিক মিয়া, আ’লীগ সমর্থিত জহিরুল ইসলাম তোয়েল, আব্দুল আজিজ আশিক (আ’লীগ বিদ্রোহী), হেলাল আহমদ চৌধুরী (আ’লীগ বিদ্রোহী), তারেক হাসান (আ’লীগ বিদ্রোহী), শায়েস্তা মিয়া (আ’লীগ বিদ্রোহী), মখলিছ আহমদ (জাপা), মাও. সামছুল ইসলাম (জমিয়ত), বাহার উদ্দিন (খেলাফত মজলিস), ইসমাইল আলী চৌধুরী (জাসদ), রাধিকা রঞ্জন নাথ (স্বতন্ত্র), ফখরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), এ.কে.এম বোরহান উদ্দিন (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন, উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ৭ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে। আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।
 কানাইঘাটে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

কানাইঘাটে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে কানাইঘাট বাজার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় পৃথক ৪টি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সবক’টি মামলা থেকে জামিনে রয়েছেন।
 জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদের মুক্তির দাবিতে কানাইঘাটে মিছিল

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদের মুক্তির দাবিতে কানাইঘাটে মিছিল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ এর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে রোববার কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আর এ বাবলুর পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী পথসভায় বক্তব্য রাখেন পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহমেদ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হুসেন, মারুফ আহমেদ, এইচ এম রানা, আবু রায়হান পাবেল, কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন রশীদ চৌ: রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, উপস্তিত ছিলেন মাসুম আহমেদ, পৌর ছাত্রদলের জাহাঙ্গীর আলম, আবুল ফয়েজ, ছাত্রদল নেতা ইমরান আহমেদ ইমন, রুহুল আমিন, আলীম উদ্দীন, ইকবাল আহমেদ, মিজানুর রহমান ও মুন্না প্রমুখ।
বৈশাখের উৎসব বোনাস পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

বৈশাখের উৎসব বোনাস পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা


ঢাকা: প্রথমবারের মত পহলো বৈশাখের উৎসব বোনাস পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সংক্রান্ত নোটিশ এরইমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। রবিবার সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুমোদিত সরকারি চাকরিজীবীদের অষ্টম বেতন কাঠামোতে এই বৈশাখী বোনাস বা নববর্ষ ভাতা রাখা হয়। বৈশাখী বোনাস চালু হওয়ার ফলে এবার থেকে বছরে দুই ঈদ মিলিয়ে তিনটি উৎসবে ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কানাইঘাটে ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

কানাইঘাটে ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন


নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য মর্যাদায় কানাইঘাটে ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১বার তোপধ্বনীর মধ্য দিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কানাইঘাট প্রেসক্লাব, উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। দিবসের শুরুতে সকাল ৯টায় কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির। এসময় পুলিশ, আনসার এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের কুচ-কাওয়াজ, শারীরিক খসরত ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ। সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার/যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিন ব্যাপী ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা।
আওয়ামী লীগ ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব: এলজিআরডি মন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব: এলজিআরডি মন্ত্রী


কুমিল্লা: আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি মন্ত্রী) খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রবিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, পল্লী উন্নয়ন ছাড়া যেমন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, তেমনি আওয়ামী লীগ ছাড়া এই বাংলার উন্নয়ন অসম্ভব। বি্এনপির জাতীয় সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ‘রূপকল্প-২০৩০’ ঘোষণা সম্পর্কে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ে পরিণত করার ঘোষণা দেন। এখানেই তিনি ১০ বছরে পিছিয়ে আছেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ আরো বলেন, খালেদা জিয়া বাঙালি জাতিকে সব সময় এভাবেই পিছিয়ে রাখতে চান। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। চান্দিনা পৌর মেয়র মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়ালি উল্লাহ প্রমুখ।
 কানাইঘাটে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা

কানাইঘাটে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা


নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে শনিবার কানাইঘাট বীরদল এন এম একাডেমীতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বেলা পৌনে ১টার দিকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ইফতেখার মালিক তানভীর, নাহিদ ও বাহারের নেতৃত্বে নেতৃত্বে কতিপয় যুবক ৩টি মোটর সাইকেল নিয়ে ওই একাডেমীতে প্রবেশ করে তান্ডব শুরু করে। এ কারণে ওই বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রুপিংয়ের জের ইফতেখার মালিক তানভীরের নেতৃত্বে যুবকেরা বীরদল এন.এম একাডেমীতে প্রবেশ করে স্কুলের এবারের এসএসসি’র ফল প্রার্থী বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র আল-আমিনকে (১৮) স্কুল থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে আল-আমিন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক যার উল্লাহ সহ অন্যান্য শিক্ষকের কাছে আশ্রয় নেয়। এরপরও অনুপ্রবেশকারীরা জোরপূর্বক শিক্ষকদের কাছ থেকে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ইফতেখার মালিক তানভীর তার হাতে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে ব্যাপক ত্রাসের সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাণভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তানভীর মালিক ও তার সহযোগীরা আল-আমিনকে অস্ত্র উঁচিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হলে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে ঘিরে রাখেন। অবস্থা বেগতিক দেখে স্কুলের শিক্ষকরা শোর চিৎকার শুরু করলে আশপাশ থেকে লোকজন এসে স্কুলে জড়ো হন। গ্রামের মাইকে স্কুলে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে ঘোষণা দিলে শত শত লোক হাতে লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্কুলের দিকে আসতে থাকেন। এ অবস্থায় তানভীর মালিক মোটরসাইকেল যোগে তার তিনজন সহযোগী নিয়ে পালিয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও ছাত্র জনতা তাদের সহযোগী বাহার উদ্দিনকে আটক করেন এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল স্কুল প্রাঙ্গণে আগুন ধরিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেন। বিক্ষুদ্ধ লোকজন তানভীর মালিকের সহযোগী বীরদল পুরানফৌদ গ্রামের কথিত ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়দানকারী নাহিদ আহমদের বাড়ীতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। বাহারকে বিক্ষুদ্ধ লোকজন আক্রমণের চেষ্টা করলে তাকে স্কুলের একটি কক্ষে টয়লেটে আটক করে রাখেন শিক্ষকরা। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ লোকজন স্কুলের দরজা-জানালার কাঁচের দরজার ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভেঙ্গে ফেলেন। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্কুলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতাকে শান্তনা দিয়ে দুষ্কৃতকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আটক বাহারের উপর লোকজন চড়াও হলে তাকে পুলিশের পোশাক ও হ্যালমেট পরিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সিলেট উত্তর সার্কেলের এএসপি ধীরেন্দ্র মহাপাত্র স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, যারা ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে-তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কানাইঘাটে কোন সন্ত্রাসীকে থাকতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কয়েকটি মামলার আসামী ইফতেখার মালিক তানভীর ও তার সহযোগীরা স্কুলের এসএসসি ফল প্রার্থী ছাত্র আল-আমিনকে অপহরনের চেষ্টা করেছিল। তারা খেলনা পিস্তল দিয়ে আতংকের সৃষ্টি করেছিল। তাদের এক সহযোগী বাহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। থানায় দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান। জানা গেছে, বীরদল এন.এম একাডেমীতে তান্ডব চালানোর পূর্বে ইফতেখার মালিক তানভীর কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে। একই দিনে ছোটদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সময় ভিতরে মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে মহড়া দেয়। পরে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে বের করে দেন।
৭টি আমল সদকায়ে জারিয়া

৭টি আমল সদকায়ে জারিয়া


ইসলাম ডেস্ক: প্রত্যেক প্রাণিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তবে বিশ্বাসী বান্দাদের কাছে এই জগৎই শেষ নয়, তাকে পরকালে অনন্ত অসীম কাল যাপন করতে হবে। পরকালের জীবনের পুঁজি এই ইহজগত থেকেই সংগ্রহ করে যেতে হয়। দুনিয়াতে এমন কিছু আমল আছে যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। হাদিসে রাসুল (সা.) এমন সাতটি আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। এসব আমলকে সদকায়ে জারিয়া বলা হয়। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি কাউকে দ্বীনের কোনো ইলম শেখালে এর যে সওয়াব মৃত্যুর পরও তা পেতে থাকবে। যেমন কেউ বাচ্চাদেরকে আল্লাহ আল্লাহ বলা শেখালো। ওই ব্যক্তি মারা যাক অথবা জীবিত থাকুক সর্বাবস্থায় যতবার ওই বাচ্চা আল্লাহ আল্লাহ পড়বে ততবার যিনি শিখিয়েছেন তার সওয়াব মিলবে। এটা হলো সদকায়ে জারিয়া। এজন্য ধর্মীয় শিক্ষকের দরজা অনেক উপরে। কারণ তারা অনেক বড় আমল সদকায়ে জারিয়ে রেখে যান। ছাত্ররা যতদিন ইলম শেখাবেন এর সওয়াবও তারা পাবেন। এভাবে ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে। এক্ষেত্রে মা-বাবাও সওয়াব পাবেন। কারণ তারা শিক্ষকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে না দিলে তো শিক্ষক পড়াতে পারতেন না। এজন্য দ্বীনি শিক্ষার উসিলায় মা-বাবাও সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকেন। তেমনিভাবে কেউ কুপ বানালো, পানি পৌঁছানোর জন্য নদী অথবা খাল খনন করলো, অথবা কেউ গাছ রোপন করলো এসবের দ্বারা যত মানুষ ফায়দা লাভ করবে কেয়ামত পর্যন্ত এই সদকার সওয়াব পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। অথবা কেউ মসজিদ নির্মাণ করলো, সেই মসজিদে যত লোক নামাজ আদায় করবে সবার সওয়াবের একটি অংশ পাবে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া মসজিদ নির্মাণের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে আছে, যে দুনিয়াতে মসজিদ বানাবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে তার জন্য বাড়ি নির্মাণ করবেন। কেউ তার উত্তরসূরিদের জন্য কোরআনে কারিমের কোনো কপি রেখে গেল; পরবর্তীরা এটা পাঠ করলো; এটাও সদকায়ে জারিয়া। অথবা কেউ নেক সন্তান রেখে গেল, মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করবে। এসব কাজের সওয়াব মৃত্যুর পরও মানুষ কবরে থেকে উপভোগ করতে থাকে। যেদিন মানুষের আর কোনো অবলম্বন থাকবে না সেদিন সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব যে মানুষের জন্য কতটা জরুরি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এজন্য সবার উচিত বেশি বেশি সদকায়ে জারিয়ার আমলগুলো করা।