Thursday, March 31

হাসি-তামাশায়ও মিথ্যা বলা পাপ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: অনেকেই মনে করেন, হাসি-তামাশার মধ্যে মিথ্যা বলায় কোনো সমস্যা নেই। এজন্য অহরহ মিথ্যা বলছে। আর এই মিথ্যা বলার কারণে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে উঠছে। অথচ হাসি-তামাশার মধ্যেও মিথ্যা বলা জায়েজ নেই। এমনিভাবে শিশুদের কাছেও কখনও মিথ্যা বলা যাবে না। অনেকেই শিশুদের শান্ত করার জন্য মিথ্যা বলেন। যেমন বাবা-মা বাইরে বের হচ্ছে। শিশু বায়না ধরলো সেও সঙ্গে যাবে। তখন থাকে মিথ্যা বলা হলো, অমুক অপেক্ষা করছে, তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাচ্ছি। এভাবে হয়ত এক দুইদিন শিশুকে আপনি ধোঁকা দিতে পারবেন; কিন্তু একদিন না একদিন তা শিশুর কাছে প্রকাশ পেয়ে যাবে। তখন তার দৃষ্টিতে আপনি মিথ্যাবাদী হয়ে যাবেন। তখন শিশু আর আপনার ওপর কোনো আস্থা রাখবে না। আপনি কসম খেলেও সে আপনার কথা বিশ্বাস করবে না। এজন্য শিশুদের সঙ্গে সত্য কথা বলার অভ্যাস করুন, এতে শিশু আপনার প্রতি আস্থাশীল হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ওয়াদা পূরণের কথা বলেছেন। আর এই ওয়াদা শিশুদের ক্ষেত্রেও পূরণ করতে হবে। ওয়াদা ভঙ্গ করলে আপনার ওপর থেকে শিশুদের আস্থা চলে যাবে। তখন পারিবারিক জীবনে নেমে আসবে অশান্তির ছায়া। এজন্য ইসলামি শিক্ষার আলোকে জীবনযাপন করলে পারিবারিক পরিমণ্ডল হয় সুখ-শান্তি ও স্বস্তিতে ভরপুর। এসব পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুরাও গড়ে উঠে সত্যবাদী হিসেবে। মিথ্যা বলাটাকে আজ আমাদের সমাজে তেমন কোনো দোষের কিছু মনে করা হয় না। অথচ পৃথিবীর কোনো ধর্ম মিথ্যাকে সমর্থন করে না। আল্লাহ নিজে সত্যবাদী, তিনি সত্যবাদীকে ভালোবাসেন। আর মিথ্যাবাদীর জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। কেউ সত্য বলার অভ্যাস গড়ে তুললে কখনও তার মিথ্যা বলার প্রয়োজন পড়ে না। অনেক সময় সত্য বললে সাময়িক সমস্যা-সংকটে পড়তে হয়। কিন্তু এই সত্য বলার কারণে আল্লাহর যে সাহায্য পাওয়া যায় তা যে কেউ বাস্তবে প্রমাণ পেতে পারেন। মিথ্যা বলে সাময়িক মুক্তি মিলে কিন্তু চিরস্থায়ী সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে শিশুদের সত্যবাদী করে গড়ে তোলার জন্য অভিভাবক ও বড়দের খুবই সতর্কভাবে চলতে হবে। কখনও হাসি-তামাশা বা ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলা যাবে না। মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়