Thursday, March 31

আল্লাহর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যম


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা। তাকে স্মরণ করা, তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা আমাদের মহান দায়িত্ব। আল্লাহকে স্মরণ করা বিশেষ ইবাদতও। তাকে স্মরণ করার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতার দরকার নেই, যখন যেভাবে খুশি তাকে স্মরণ করা যায়। এই ইবাদতের জন্য বিশেষ কোনো শর্ত নেই। যেমন নামাজের জন্য কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আছে। শরীর ও কাপড় পাক হতে হবে। নামাজে খাবার-দাবার করা যাবে না। কিন্তু জিকির বা আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য এ ধরনের কোনো শর্ত নেই। কেবলামুখী হওয়া, শরীর-কাপড় পাক হওয়া, ওজু করা এসবের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রত্যেক সময় যেকোনো অবস্থায় মানুষ তার প্রভুকে স্মরণ করতে পারে। তবে প্রস্রাব-পায়খানার সময় শুধু জিকির করা যাবে না। এছাড়া আর কোনো সময়ে জিকিরের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ নেই। নাপাক অবস্থায় কোরানে কারিম তেলাওয়াত করা যাবে না; এছাড়া সব ধরনের জিকির করা যাবে। উঠাবসায় আল্লাহকে স্মরণ করুন; তাঁর সঙ্গে চুপি চুপি কথা বলুন। মনে মনে বলুন, হে আল্লাহ! আমার অমুক কাজটি করে দাও; আমার ওই পেরেশানিটি দূর কর; আমাকে সংশোধন কর। এখন মোবাইলফোনের যুগ। মানুষ যেখানেই যাক তার পকেটে মোবাইল থাকে। এটা ভেবে সে পরিতৃপ্ত, চাইলে যে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবো। জিকরুল্লাহ দ্বারাও প্রত্যেক মুমিন আল্লাহর সঙ্গে এমন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এটা মোবাইলফোনের চেয়েও দ্রুত সংযোগ স্থাপন করে। বরং মোবাইলে তো টাকা-পয়সা খরচ হয়, নম্বর যোগার করতে হয়; অনেক সময় লাইন ব্যস্ত পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে যে লাইন সেটা কখনও বিজি হয় না। বান্দার জন্য আল্লাহ প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত। যখনই আপনি আপনার প্রভুকে ডাকবেন তিনি জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা শুনি আর না শুনি, যিনি শোনার তিনি শুনেই নেবেন। দুনিয়ার কোনো শাসক এমন নেই যাকে মানুষ যখন চাইবে তখনই পাবে। কিন্তু দুই জাহানের বাদশা, মহান রাব্বুল আলামিন এমন এক শাসক, যে যত গোনাহগারই হোক যখনই আল্লাহকে ডাকবে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের জবাব আসবে। এর দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে একটি সম্পর্কও স্থাপিত হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের সবসময় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে থাকা চাই।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়