কেশবপুর (যশোর): মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ পলি জমে ভরাট হয়ে বদ্ধ জলাশয়ে পরিনত হয়েছে। ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া আর পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটায় প্রতিবছর বর্যা মৌসুমে কপোতাক্ষ পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতায় মারা গেছে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি। প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত। শুষ্ক মৌসুমে জোয়ার-ভাটা হীন কপোতাক্ষের বদ্ধ পানি দুষিত হওয়ায় পশু-পাখি, মাছসহ জলজ প্রাণীর জীবন বিপন্ন হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে কপোতাক্ষ অঞ্চলে খুব শীগ্রই চরম পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলে অভিজ্ঞ মহল আশংকা পোষণ করেছেন।
জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদ যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর নামক স্থান থেকে উৎপত্তি হয়ে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা নদীতে মিশেছে। শিবসা নদী বঙ্গপোসাগরে গিয়ে পড়েছে। ১২৩ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদে এক সময় লঞ্চ স্টিমারসহ পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। হাজার হাজার জেলে নিত্য দিন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। কপোতাক্ষ নদের উর্বর পলি দু’কুলের মানুষদের শস্য সম্পাদে সমৃদ্ধি করে। এ কপোতাক্ষ নদে ১৯৮০ সালের পর থেকে মাত্রারোক্ত পলি জমতে শুরু করায় কপোতাক্ষ নদ নাব্যতা হারাতে থাকে। ফলে দু’ হাজার সালে উপজেলার মেহেরপুর থেকে জয়নগর ঘাট পর্যন্ত ২কিঃ মিঃ কপোতাক্ষ আড়াআড়ি বেঁধে যেনতেন ভাবে খনন করায় উল্টো জোয়ার-ভাটা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকার ২০০৩, ০৪, ০৫ সালে ২৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিঃ মিঃ কপোতাক্ষ নদ খন্ড খন্ড করে ড্রেজিং করায় কপোতাক্ষ নদে জোয়ার-ভাটা চালু হয়নি। এছাড়া ভূমিদস্যুরা নদের দু’তীর দখল করে আবাদি জমি, পুকুর, মাছের ঘের করায় কপোতাক্ষ নদ সংকুচিত হয়ে খালে পরিনত হয়েছে। ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী যশোর জেলার ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুর, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, তালা, খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার বির্স্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে টোংঘর করে বসবাস করতে বাধ্য হন। এসময়ে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখি একসঙ্গে বসবাস করায় আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবেশ মারাত্বক দূষিত হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত, ফলজ গাছ, পশু পাখির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে কপোতাক্ষের বদ্ধ পানি দুষিত হওয়ায় মাছসহ জলজ প্রাণীর জীবন বিপন্ন হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। শেওলা, কচুড়ি পনাসহ বিভিন্ন জলজ আগাছায় গ্রাস করা কপোতাক্ষ নদ দিন দিন মাছ শুন্য হয়ে পড়ায় হাজার হাজার মৎসজীবি মাছ শিকার করতে না পেরে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। এভাবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় কপোতাক্ষ অবাহিকা মানুষের বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করার জন্য সরকার ২০১১-১২ অর্থ বছরে একনেক প্রায় ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করলেও সে অর্থ ছাড় না হওয়ায় কপোতাক্ষ খনন কাজ শুরু হয়নি। গত দু’অর্থ বছরে ছাড় হওয়া মাত্র ২৬ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় খাল খনন, বাঁধ নির্মাণ করার নামে পাউবোর কর্মকর্তাসহ ঠিকাদাররা পকেট ভারী করছেন বলে এলাকাবাসি জানান। ১শ’ মিটার চওড়া আর ২০ মিটার গভীর করে কপোতাক্ষ নদ এক অর্থ বছরে খনন করলে কপোতাক্ষ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল জানান। সংস্কারে মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করা না গেলে কপোতাক্ষ অঞ্চলে চরম পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকায় বসবাসরত ২৫ লক্ষ মানুষের ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন, কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। ভুক্তোভোগি মহল কপোতাক্ষ নদ এক অর্থ বছরে খনন করে কপোতাক্ষ সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।(ডিনিউজ)
জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদ যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর নামক স্থান থেকে উৎপত্তি হয়ে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা নদীতে মিশেছে। শিবসা নদী বঙ্গপোসাগরে গিয়ে পড়েছে। ১২৩ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদে এক সময় লঞ্চ স্টিমারসহ পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। হাজার হাজার জেলে নিত্য দিন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। কপোতাক্ষ নদের উর্বর পলি দু’কুলের মানুষদের শস্য সম্পাদে সমৃদ্ধি করে। এ কপোতাক্ষ নদে ১৯৮০ সালের পর থেকে মাত্রারোক্ত পলি জমতে শুরু করায় কপোতাক্ষ নদ নাব্যতা হারাতে থাকে। ফলে দু’ হাজার সালে উপজেলার মেহেরপুর থেকে জয়নগর ঘাট পর্যন্ত ২কিঃ মিঃ কপোতাক্ষ আড়াআড়ি বেঁধে যেনতেন ভাবে খনন করায় উল্টো জোয়ার-ভাটা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকার ২০০৩, ০৪, ০৫ সালে ২৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিঃ মিঃ কপোতাক্ষ নদ খন্ড খন্ড করে ড্রেজিং করায় কপোতাক্ষ নদে জোয়ার-ভাটা চালু হয়নি। এছাড়া ভূমিদস্যুরা নদের দু’তীর দখল করে আবাদি জমি, পুকুর, মাছের ঘের করায় কপোতাক্ষ নদ সংকুচিত হয়ে খালে পরিনত হয়েছে। ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী যশোর জেলার ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুর, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, তালা, খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার বির্স্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে টোংঘর করে বসবাস করতে বাধ্য হন। এসময়ে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখি একসঙ্গে বসবাস করায় আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবেশ মারাত্বক দূষিত হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত, ফলজ গাছ, পশু পাখির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে কপোতাক্ষের বদ্ধ পানি দুষিত হওয়ায় মাছসহ জলজ প্রাণীর জীবন বিপন্ন হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। শেওলা, কচুড়ি পনাসহ বিভিন্ন জলজ আগাছায় গ্রাস করা কপোতাক্ষ নদ দিন দিন মাছ শুন্য হয়ে পড়ায় হাজার হাজার মৎসজীবি মাছ শিকার করতে না পেরে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। এভাবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় কপোতাক্ষ অবাহিকা মানুষের বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করার জন্য সরকার ২০১১-১২ অর্থ বছরে একনেক প্রায় ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করলেও সে অর্থ ছাড় না হওয়ায় কপোতাক্ষ খনন কাজ শুরু হয়নি। গত দু’অর্থ বছরে ছাড় হওয়া মাত্র ২৬ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় খাল খনন, বাঁধ নির্মাণ করার নামে পাউবোর কর্মকর্তাসহ ঠিকাদাররা পকেট ভারী করছেন বলে এলাকাবাসি জানান। ১শ’ মিটার চওড়া আর ২০ মিটার গভীর করে কপোতাক্ষ নদ এক অর্থ বছরে খনন করলে কপোতাক্ষ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল জানান। সংস্কারে মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করা না গেলে কপোতাক্ষ অঞ্চলে চরম পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকায় বসবাসরত ২৫ লক্ষ মানুষের ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন, কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। ভুক্তোভোগি মহল কপোতাক্ষ নদ এক অর্থ বছরে খনন করে কপোতাক্ষ সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
পরিবেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়