Wednesday, June 12

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অভিনব প্রতারণা করেছে ছাত্রদল নেতা কবির

ঢাকা : প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কিছু পদ বঞ্চিত নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টার প্রমান পাওয়া গেছে। তারা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ভূয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিবাহের কাবিন নামাসহ নানা ভূয়া ডকুমেন্ট গণমাধ্যমকে সরবরাহ করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রেরণের চেষ্টা চালিয়েছেন। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিতে পদ না পাওয়া এসব নেতার অভিনব প্রতারণার নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার রহমান কবির। যে ডিফারেন্ট নিউজসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভূয়া ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট, কাবিননামা এবং ভুয়া সব তথ্য সরবরাহ করে নিজ দলের নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা চালিয়েছেন।

ছাত্রদলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশ করে ডিফারেন্ট নিউজ। আর এসূযোগ কাজে লাগাতে চায় ইখতিয়ার রহমান কবির। তিনি নিজের কাছে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিরি শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগের প্রমান রয়েছে দাবি করে তা মিডিয়াকে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে ইখতিয়ার রহমান কবির ডিফারেন্ট নিউজ এর কাছে বর্তমান কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসানের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংেকের একটি ষ্টেটমেন্ট সরবরাহ করেন। যেখানে দেখানো হয় ৬ মাসে ছাত্র দলের ঐ নেতার একাউন্টে প্রায় কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। ইখতিয়ার রহমান কবির আরো দাবি করেন, তার কাছে ঐ নেতার প্রাইম, জনতা সহ আরো কয়েকটি ব্যাংকের স্টেসমেন্ট রয়েছে। যেগুলোতেও কোটি কোটি টাকা লেন দেনের প্রমান রয়েছে। ইখতিয়ার রহমান কবিরের দেয়া স্টেটমেন্ট ও প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে “ছাত্রদলের এক নেতার ৬ মাসে আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন নিয়ে প্রতিবেদন পড়তে চোখ রাখুন ডিফারেন্ট নিউজ-এ...” শিরোনামে ডিফারেন্ট নিউজ সংবাদ প্রকাশের একটি পূর্ব ঘোষণা দেয়। যা নজরে আসে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল ডিফারেন্ট নিউজ কার্যালয়ে এসে এর প্রতিবাদ ও ব্যাংক লেন দেন সংক্রান্ত কাগজ পত্র ভূয়া দাবি করে তা যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করলে উদ্যোগী হয় কর্তৃপক্ষ। 

ডাচ বাংলা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইখতিয়ার রহমান কবির প্রদত্ত স্টেটমেন্টটি জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান এ নামে তাদের কোনো একাউন্ট নেই। এবং ঐ স্টেটমেন্টটি ভূয়া। এরপর ইখতিয়ার রহমান কবির এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি আর ফোন ধরছেন না। শুধু তাই নয়, এরপর ডিফারেন্ট নিউজ এর অনুসন্ধানী টিম খবর নিয়ে জানতে পারে কবির প্রদত্ত অনেক তথ্যই বিভ্রান্তিকর। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নাজমূল হাসান এবং প্রচার সম্পাদক মনিরুজ্জামান রেজিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রদত্ত তথ্যও মিথ্যা।

শুধু তাই নয়, ডিফারেন্ট নিউজ এর অনুসন্ধানী টিম খুঁজে পায় ইখতিয়ার রহমান কবিরের ব্যক্তি জীবনের নানা চ্যাঞ্চল্যকর প্রতারণার তথ্য। প্রশ্ন পত্র ফাঁস চক্রের নেতৃত্ব, চাকরী দেবার নামে অর্থ আত্মসাত সহ নানা কেলেঙ্কারীতে জড়িত ছাত্রদলের এই নেতা। যা নিয়ে আমরা অচিরেই প্রকাশ করবো ধারাবাহিক প্রতিবেদন। 

দু:খ প্রকাশ
“ছাত্রদলের এক নেতার ৬ মাসে আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন নিয়ে প্রতিবেদন পড়তে চোখ রাখুন ডিফারেন্ট নিউজ-এ...” শিরোনামে ডিফারেন্ট নিউজ সংবাদ প্রকাশের একটি পূর্ব ঘোষণার পর আমরা প্রচুর ফোন পেয়েছি আমাদের পাঠকদের কাছ থেকে। সংবাদটি কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না তা জানতে চান অনেকেই। আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই মূলত: সংবাদটি প্রকাশে বিলম্ব করি। কিন্তু তথ্য যাচাই করে জানতে পারি আমাদের কাছে প্রদত্ত ডকুমেন্ট মিথ্যা। স্বাভাবিক কারনেই এই সংবাদটি আর প্রকাশিত হবে না। এজন্য আমরা আন্তরিকভাকে দু:খ প্রকাশ করছি আমাদের পাঠকদের কাছে।
-বার্তা প্রধান(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়