মিরসরাই(চট্টগ্রাম): গ্রামীণ কুটিরশিল্প বদলে দিয়েছে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার হাজার নারী-পুরুষের জীবন। কুটিরশিল্পের মাঝে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষ এখন খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার নতুন প্রেরণা। এ শিল্পের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের জীবন। এ শিল্পে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আরো বাড়িয়ে দিলে কর্মসংস্থানের হার আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক সময় কেবল নারীরাই সখের বশে বিভিন্ন কুটিরশিল্প সামগ্রী তৈরি করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ক্রমেই নারী পুরুষ সমান তালে এ শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। এ শিল্পের সামগ্রীগুলো যেমন নানা সহজলভ্য তেমনি আবার অপেক্ষাকৃত কম দামে পাওয়া যায় এগুলো। লাভ বেশি হওয়ায় ক্রমেই বেকার নারী পুরুষরা ঝুঁকে পড়ছে এ শিল্পের প্রতি। জেলার উপকূলীয় এলাকা গুলোতে কুটিরশিল্পের দেখা মিলবে বেশি। এসব এলাকা ঘুরে দেখলে সহজেই চোখে পড়বে কুটিরশিল্পের নানান কারুকাজের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র। জেলার ১৪ টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারগুলোতে মৌসুমভিত্তিক কুটির শিল্পের কারুকার্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী কেনাবেচা হয়। এসব সামগ্রী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশেরে অন্যান্য স্থানেও বিক্রি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে যেসব নারীপুরুষ অজ্ঞতা-অশিক্ষার কারণে ভালো কাজের সুযোগ পায়নি তারা ক্রমেই আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে এ শিল্পের ছোঁয়া পেয়ে। যাদের নেই কোনো কর্মসংস্থান, নেই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদার সর্বোত্তম সুবিধা। অভাব যাদের নিত্যসঙ্গী,তারা বেচে নিয়েছে এ কাজটি। তারা এটিকে পেশা হিসেবেই বেচে নিয়েছে।
গ্রামের নারীরা ঘরের কোণে বন্দি জীবন নয় তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। গ্রামীণ শিল্পের আওতায় এসে নিরীহ অসহায় সব নারীরা এখন আত্মনির্ভরশীল। তারা খুঁজে নিয়েছে তাদের বাঁচার মাধ্যম।
চট্টগ্রামের প্রাচীন কুটিরশিল্পের অনেকটাই এখন কেবল বয়োবৃদ্ধদের মুখে শোনা বুলি কিংবা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য। কিছু কিছু কুটিরশিল্প এখানকার জনপদে বিলীন হয়ে গেলেও বাঁশ ও বেত শিল্প, কারু শিল্প, মাছ ধরার জাল বুনা, মৃৎশিল্প, কমার শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।এসব গ্রামীণ শিল্পে পুরুষের চেয়ে নারীদের কর্মব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
গ্রামের নারীরা বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক সরঞ্জামাদি। বাঁশ ও বেত দিয়ে তারা তৈরি করে মাছ ধরার সরঞ্জাম, আনতা, ভ্যাংচা, টেইঁয়া ইত্যাদি।
গৃহস্থ পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হাজারী, টুকরি, আড়ি, মেরী, কুলা, চালনি, হাতপাখা, হাতা, ধোচনা তৈরি হয় বাঁশ ও বেত দিয়ে। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরিকৃত এ সকল জিনিস বাজারজাতকরণ করা হয়। বাজারে এগুলোর রয়েছে প্রচুর চাহিদা। পাটি পাতা দিয়ে গ্রামের নারীরা শীতল পাটি তৈরি করে যা কারুশিল্প নামেও পরিচিত।
জানা গেছে, একজন নারীরা শীতল পাটি বুনে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় করে যা পুরুষ সমৃদ্ধ পরিবারের জন্য বর্ধিত আয়। তাছাড়া যাদের স্বামী পৃথিবীতে বেঁচে নেই তাদের বাঁচার একমাত্র মাধ্যম হল এসব গ্রামীণ শিল্প। কুটিরশিল্পের মধ্যে বেত দ্বারা তৈরিকৃত নানান আকৃতির নজরকাড়া ফার্নিচারের কদর এখন চোখে পড়ার মত। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাছ ধরার জাল বুনেও প্রচুর লোক জীবিকানির্বাহ করে। বহু পরিবারের সদস্যরা ঝাঁকি জাল, কাফাই জাল, ছটকি জাল ও দোওনজাল তৈরি করে থাকে। আর জেলেরা তৈরি করে সমুদ্রে মাছ ধরার জাল।
অন্য একটি গ্রামীণ শিল্প হল মৃৎশিল্প। মিরসরাই, সীতাকুন্ড, বোয়ালখালী, পটিয়াসহ জেলার প্রায় সব উপজেলাতে কুমার মৃৎশিল্প দিয়ে রান্নার সরঞ্জাম হাড়ি, পাতিল, চড়ি, কত্তি, সানকি প্রভৃতি তৈরি করে থাকে। তারা মাটির বিভিন্ন খেলনা তৈরি করে যা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে খুবই প্রিয়। এগুলো এলাকায় অনুষ্ঠিত মেলাতে প্রচুর বিক্রি হয়।(ডিনিউজ)
এক সময় কেবল নারীরাই সখের বশে বিভিন্ন কুটিরশিল্প সামগ্রী তৈরি করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ক্রমেই নারী পুরুষ সমান তালে এ শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। এ শিল্পের সামগ্রীগুলো যেমন নানা সহজলভ্য তেমনি আবার অপেক্ষাকৃত কম দামে পাওয়া যায় এগুলো। লাভ বেশি হওয়ায় ক্রমেই বেকার নারী পুরুষরা ঝুঁকে পড়ছে এ শিল্পের প্রতি। জেলার উপকূলীয় এলাকা গুলোতে কুটিরশিল্পের দেখা মিলবে বেশি। এসব এলাকা ঘুরে দেখলে সহজেই চোখে পড়বে কুটিরশিল্পের নানান কারুকাজের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র। জেলার ১৪ টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারগুলোতে মৌসুমভিত্তিক কুটির শিল্পের কারুকার্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী কেনাবেচা হয়। এসব সামগ্রী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশেরে অন্যান্য স্থানেও বিক্রি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে যেসব নারীপুরুষ অজ্ঞতা-অশিক্ষার কারণে ভালো কাজের সুযোগ পায়নি তারা ক্রমেই আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে এ শিল্পের ছোঁয়া পেয়ে। যাদের নেই কোনো কর্মসংস্থান, নেই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদার সর্বোত্তম সুবিধা। অভাব যাদের নিত্যসঙ্গী,তারা বেচে নিয়েছে এ কাজটি। তারা এটিকে পেশা হিসেবেই বেচে নিয়েছে।
গ্রামের নারীরা ঘরের কোণে বন্দি জীবন নয় তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। গ্রামীণ শিল্পের আওতায় এসে নিরীহ অসহায় সব নারীরা এখন আত্মনির্ভরশীল। তারা খুঁজে নিয়েছে তাদের বাঁচার মাধ্যম।
চট্টগ্রামের প্রাচীন কুটিরশিল্পের অনেকটাই এখন কেবল বয়োবৃদ্ধদের মুখে শোনা বুলি কিংবা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য। কিছু কিছু কুটিরশিল্প এখানকার জনপদে বিলীন হয়ে গেলেও বাঁশ ও বেত শিল্প, কারু শিল্প, মাছ ধরার জাল বুনা, মৃৎশিল্প, কমার শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।এসব গ্রামীণ শিল্পে পুরুষের চেয়ে নারীদের কর্মব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
গ্রামের নারীরা বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক সরঞ্জামাদি। বাঁশ ও বেত দিয়ে তারা তৈরি করে মাছ ধরার সরঞ্জাম, আনতা, ভ্যাংচা, টেইঁয়া ইত্যাদি।
গৃহস্থ পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হাজারী, টুকরি, আড়ি, মেরী, কুলা, চালনি, হাতপাখা, হাতা, ধোচনা তৈরি হয় বাঁশ ও বেত দিয়ে। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরিকৃত এ সকল জিনিস বাজারজাতকরণ করা হয়। বাজারে এগুলোর রয়েছে প্রচুর চাহিদা। পাটি পাতা দিয়ে গ্রামের নারীরা শীতল পাটি তৈরি করে যা কারুশিল্প নামেও পরিচিত।
জানা গেছে, একজন নারীরা শীতল পাটি বুনে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় করে যা পুরুষ সমৃদ্ধ পরিবারের জন্য বর্ধিত আয়। তাছাড়া যাদের স্বামী পৃথিবীতে বেঁচে নেই তাদের বাঁচার একমাত্র মাধ্যম হল এসব গ্রামীণ শিল্প। কুটিরশিল্পের মধ্যে বেত দ্বারা তৈরিকৃত নানান আকৃতির নজরকাড়া ফার্নিচারের কদর এখন চোখে পড়ার মত। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাছ ধরার জাল বুনেও প্রচুর লোক জীবিকানির্বাহ করে। বহু পরিবারের সদস্যরা ঝাঁকি জাল, কাফাই জাল, ছটকি জাল ও দোওনজাল তৈরি করে থাকে। আর জেলেরা তৈরি করে সমুদ্রে মাছ ধরার জাল।
অন্য একটি গ্রামীণ শিল্প হল মৃৎশিল্প। মিরসরাই, সীতাকুন্ড, বোয়ালখালী, পটিয়াসহ জেলার প্রায় সব উপজেলাতে কুমার মৃৎশিল্প দিয়ে রান্নার সরঞ্জাম হাড়ি, পাতিল, চড়ি, কত্তি, সানকি প্রভৃতি তৈরি করে থাকে। তারা মাটির বিভিন্ন খেলনা তৈরি করে যা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে খুবই প্রিয়। এগুলো এলাকায় অনুষ্ঠিত মেলাতে প্রচুর বিক্রি হয়।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
ফিচার
ফিচার পাতা
সাফল্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়