বর্তমান সরকারের মেয়াদে সপ্তম দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার গ্রাহক পর্যায়ে ১৫% ও পাইকারি পর্যায়ে ১৭% দাম বাড়ানো হয়েছে, যা সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাযর্কর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয়া হয়। এবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পাশাপাশি স্লাব (ধাপ) সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। মোট ৬টি ধাপ থাকছে, যেখানে বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ৪ ধাপ ও অন্যান্য সংস্থার গ্রাহকদের জন্য ৩ ধাপ কাযর্কর রয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার জন্য সকালে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। তবে ওইদিনই দুপুরে আবার তা বাতিল করে দেয় বিইআরসি।
গত জুনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৫০% এবং বিতরণকারী সংস্থাগুলো গ্রাহক পর্যায়ে কমবেশি ৫৬% বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। এসব প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৬ জুলাই শুধু পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি গণশুনানিতে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ২২% বৃদ্ধির সুপারিশ করে।
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ০৫ পয়সা, ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৪ টাকা ২৯ পয়সা এবং ৪০০-এর বেশি ইউনিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৭ টাকা ৮৯ পয়সা হারে দাম আদায় করা হচ্ছে।
কেউ ৪০১ ইউনিট ব্যবহার করলে তাকে প্রথম ইউনিট থেকেই প্রতি ইউনিট ৭ টাকা ৮৯ পয়সা দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সরকারের কঠোর সমালোচনা হয়েছে।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বিইআরসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং বিলকাঠামো পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বতর্মান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৫ দফা এবং খুচরা দাম ৬ দফা বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে খুচরা দাম বেড়েছে প্রায় ৩৬%।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৬.৫৭% বাড়ায়। এরপর ২০১০ সালের মার্চে আরইবি ছাড়া অন্যান্য সংস্থার গ্রাহকদের গড়ে ৬.৩২ টাকা ভাগ দাম বাড়ানো হয়।
তৃতীয় দফায় ২০১১ সালের ফেব্র�য়ারি মাসে ৫ ভাগ খুচরা দাম বাড়ে। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চতুর্থ দফায় ১৩.২৪%, পঞ্চম দফায় চলতি বছরে ফেব্র�য়ারি মাসে ৭.০১% এবং সর্বশেষ ষষ্ঠ দফায় ১ মার্চ ৬.২৫% খুচরা দাম বাড়ানো হয়।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়