কানাইঘাটে ভুল তথ্য দিয়ে ভূয়া নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট গ্রহণ করে ভিন জেলার দুই বহিরাগত শিক্ষিকা কানাইঘাটের দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ লাভ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী বিধি বিধান লংঘন করে সঠিক তথ্য গোপন রেখে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জানা যায়, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী কর্তৃক স্বারিত স্মারক নং জেপ্রাসিঅ/সিল/সঃশিঃনিঃ২০১২/১৮৫৩ (৯৮) ২৩/০৮/১২ ইং তারিখ মূলে শাহীন সুলতানা স্বামী সোহেল পারভেজ, গ্রাম- তিনচটি ঝিংগাবাড়ী ইউপিকে সরদার মাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মারুফা আক্তার স্বামী ইমাদাদুর রহমান, সাং- নন্দিরাই কানাইঘাট পৌরসভাকে চটিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বহিরাগত এ দুই শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে সচেতন মহল প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহীন সুলতানার প্রদত্ত ঠিকানা তিনচটি গ্রামে তার কোন স্থায়ী বসবাস নাই। গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, শাহীন সুলতানা কিছুদিন যাবৎ উক্ত গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অবস্থান করছিল এবং তাঁর দেশের বাড়ী সাতীরা জেলায়। এছাড়া পৌরসভাস্থ নন্দিরাই গ্রামে মারুফা আক্তার নামে কোন মহিলার ঠিকানা ও খুঁজে পাওয়া যায় নি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পূর্বে উক্ত মারুফা আক্তার একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের জানামতে তাঁর দেশের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলায়। এব্যাপারে কানাইঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সঠিক তথ্য গোপন রেখে অন্যায় লাভের আশায় ভূয়া নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী গ্রহণ করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়