Thursday, July 20

মহানবী (সা.) যে নারীকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন

 

ছবি: প্রতীকী

ইসলাম নারীদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার দিয়েছে। তবে শুধু ইহকালেই নয় পরকালেও তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। এই প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন কিছু প্রস্তুত রেখেছি যা কোনো চক্ষু দেখেনি। কোনো কান শুনেনি। কোনো মানব তা কল্পনাও করেনি।’ অতঃপর আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, তোমরা চাইলে এই আয়াত পাঠ কোরো, ‘কেউ জানে না তাদের জন্য চক্ষুশীতলকারী কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে …’ (সুরা সাজদা, আয়াত: ১৭) (বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৯)

আল্লাহর আনুগত্য নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। তাই মুমিন নারী বা পুরুষদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম জীবনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পুরুষ বা নারীর মধ্য থেকে কেউ ভালো কাজ করলে আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং আমি তাদেরকে তাদের কাজের সর্বোত্তম পুরস্কার দেব।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৯৭)

যে নারীর জন্য সুসংবাদ: মুমিন নারী ইসলামের ফরজ বিধানগুলো পালনের পাশাপাশি নিজের সতীত্ব রক্ষা করলে এবং স্বামীর আনুগত্য করলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, রমজানের রোজা রাখবে, নিজের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ কোরো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং: ১৬৬১)

উত্তম স্ত্রীর গুণাবলি: স্বামীর সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তোমাকে আনন্দিত করে, আদেশ করলে আনুগত্য করে, তুমি দূরে থাকলে তার নিজের ব্যাপারে এবং তোমার সম্পদের ব্যাপারে তোমার অধিকার রক্ষা করে।’ (মুসনাদে তয়ালিসি, হাদিস: ২৩২৫)

পূণ্যময় স্ত্রী সর্বোত্তম সঙ্গী: পৃথিবীতে একজন স্বামীর সবচেয়ে মূল্যবান ও দামি বস্তু একজন পুণ্যময়ী স্ত্রী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পার্থিব জগত্টাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) পুণ্যময়ী নারী।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৭)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পূণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাজত করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৮৫৭)


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়