Thursday, May 10

কানাইঘাটে যে কারণে চাচার হাতে খুন হলেন ভাতিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে কয়েকটি হত্যাকান্ডের পর আবারো আপন চাচার হাতে ভাতিজা সাহেল আহমদ (২৪) নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। নিহতের বড় ভাই অটোরিক্সা সিএনজি চালক রাসেল আহমদের প্রেম ঘটিত বিয়েকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান। ৪নং সাতঁবাক ইউপির জুলাই পীরনগর গ্রামে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। এসময় ভাতিজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন চাচা কুতুব আলী উরফে ভান্ডা (৫০) ও তার পুত্র আজাদ উদ্দিন (২৫)। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,জুলাই পীরনগর গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র অটোরিক্সা চালক রাসেল আহমদ (২৫) কয়েক মাস পূর্বে একই ইউপির দলইমাটি গ্রামের সামছুদ্দীনের মেয়ে সুহাদা বেগম কে প্রেমের সুবাদে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে সিলেট শহরে বসবাস করে আসছিল । ভাতিজার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি চাচা কুতুব আলী। গত শবে বরাতের দিনে রাসেল আহমদ তার স্ত্রী প্রেমিকা সুহাদা বেগমকে তার বাড়িতে নিয়ে আসলে এ নিয়ে প্রায়ই চাচা কুতুব আলীর সাথে ঝগড়াঝাটি হতো রাসেল আহমদের পরিবারের লোকজনদের। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বসত বাড়িতে এ নিয়ে কুতুব আলীর সাথে ভাতিজা রাসেল আহমদ ও তার ভাই নিহত সাহেল আহমদের ঝগড়াঝাটি হলে এক পর্যায়ে চাচা কুতুব আলী ও তার পুত্র আজাদ উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাহেল আহমদ কে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ সাহেল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ সহ একদল পুলিশ। নিহতের লাশের ময়না তদন্তের পর আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চাচা কুতুব আলী ও তার ছেলে আজাদ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অন্তঃস্বত্তা সিপানা বেগম বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

 কানাইঘাট নিউজ ডট.কম/১০মে ২০১৮ ই্ং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়