Showing posts with label অপরাধ বার্তা. Show all posts
Showing posts with label অপরাধ বার্তা. Show all posts

Monday, February 26

কানাইঘাটে প্রতিবন্ধী পরিবারের জায়গা দখলের চেষ্টা!

কানাইঘাটে প্রতিবন্ধী পরিবারের জায়গা দখলের চেষ্টা!


নিজস্ব প্রতিবেদক: 

কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউপির পূর্ব পাত্রমাটি গ্রামে এক নিরীহ প্রতিবন্ধী পরিবারের বসত বাড়ির জায়গা জোরপূর্বক ভাবে জবর দখলের চেষ্টা করে ঘর নির্মাণ ও রাস্তা দেয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।


ইউএনও কার্যালয় থেকে দরখাস্তটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশের বরাবরে পাঠানো হলে থানার এএসআই মোসাহিদ মিয়া গত রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবন্ধী পরিবারের বসতবাড়ির প্রায় ১০ শতক জায়গা জোরপূর্বক ভাবে একই গ্রামের আখলু মিয়ার পুত্র সামছুল হকের পরিবারের লোকজন কর্তৃক জবর দখলের চেষ্টার সত্যতা পান।


অভিযোগের বাদী পূর্ব পাত্রমাটি গ্রামের নিরীহ ফয়জুর রহমান জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারী প্রতিকার চেয়ে সামছুল হক গংদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে বসত বাড়ির জায়গা জবর দখলের ঘটনায় দরখাস্ত দায়ের করেন।


এর আগে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং কানাইঘাট থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশি তদন্তের পর এলাকার জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরব্বীয়ানরা সার্ভেয়ার দ্বারা মাপযোগ করে সামছুল হক গংদের কবল থেকে তার বসত বাড়ির জায়গার সীমানা চিহ্নিত করে দিলেও এলাকার মুরব্বীয়ানদের সালিশনামা অমান্য করে তার বসত বাড়ির জায়গা জবর দখল সহ রাস্তা নির্মাণের অপচেষ্টার ঘটনায় সামছুল হক গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন। 


বিবাদীদের কবল থেকে তার বসত বাড়ির জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Monday, June 12

কানাইঘাটে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বাঁধা উপেক্ষা করে বাল্য বিয়ে!

কানাইঘাটে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বাঁধা উপেক্ষা করে বাল্য বিয়ে!


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে বাল্য বিবাহ সম্পন্নের ঘটনায় বাল্য বিবাহ আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাল্য বিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে কনের পিতা মুসলিম উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তার মেয়ে নাবিয়া বেগমের বিয়ে পূর্ব থেকে আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাতার প্রবাসী কুতুব উদ্দিনের সাথে ঠিক করা হয়। কুতুব উদ্দিন প্রবাস থেকে চলে আসার পর আমরা বিয়ের আয়োজন করি। মেয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কম হওয়ার কারনে জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য বলা হয়। আমি প্রশাসনের কথা রেখেছি, কিন্তু এলাকার কিছু মুরব্বীয়ানদের পরামর্শে মেয়ে নাবিয়া বেগমকে তার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

প্রসঙ্গত, ইদানিং প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে কানাইঘাটে বাল্য বিবাহ সম্পন্নের ঘটনা ঘটছে। প্রথমে প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ মানা হলেও বিয়ের দিন অথবা পরের দিন চুপিসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের তাদের স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। সম্প্রতি পৌরসভার শিবনগর গ্রামে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনের বেলা বাল্য বিবাহ পন্ড করা হলেও রাতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কনেকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।

Monday, January 2

কানাইঘাটের চতুল বাজারে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আটক ১

কানাইঘাটের চতুল বাজারে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আটক ১



নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চতুল বাজারে মিশুক চালকের সাথে খারাপ আচরণের জের ধরে হামলায় জয়নাল আবেদীন (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। 

এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(২ জানুয়ারি)  সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় চতুল বাজারের লালাখাল রোডের কামারহাটিতে। নিহত জয়নাল আবেদীন বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল উত্তর (উপর বড়াই) গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে। 

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বাজারের ব্যবসায়ী আবুল আহমদ (৩০) কে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সেখান থেকে আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শী, বাজারের ব্যবসায়ী ও নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহত জয়নাল আবেদীনের পুত্র মিশুক চালক সায়েম আহমদ (১৫) একই গ্রামের জিয়াউল হকের পুত্র আবুল আহমদকে মিশুকে নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চতুলবাজার কামারহাটির হৃদয় আর্ট এন্ড কসমেটিক্স দোকানে আসার সময় মিশুক চালক সায়েমের পাশে বসে আবুল আহমদ তার সাথে খারাপ উদ্দেশ্যে অশ্লীল আচরণ করে। দোকানের সামনে আসার পর আবুল আহমদ ১০টাকা ভাড়ার স্থলে মিশুক চালক সায়েমকে ৫’শ টাকার নোট দিলে সে ভাংতি নেই জানালে আবুল আহমদ তাকে গালাগালি করে। 

পরে সায়েম আহমদ তার পিতা জয়নাল আবেদীনকে চতুল বাজারে বিষয়টি অবগত করে। জয়নাল আবেদীন আবুল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে ছেলের সাথে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আবুল হোসেন ও তার সাথে থাকা দু’জন এবং জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে সায়েম দেশীয় রুইল, লাটি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মাথায় গুরুতর জখম হয় জয়নাল আবেদীনের। সংঘর্ষে আবুল হোসেনও আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কজেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান গুরুতর আহত জয়নাল আবেদীন। 

নিহত জয়নাল আবেদীনের সালমান আহমদ সহ পরিবারের সদস্যরা জানান, সায়েম আহমদকে ব্যবসায়ী আবুল আহমদ কু-প্রস্তাব দিয়ে যৌন নীপিড়ন করে। এর প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিত ভাবে আবুল আহমদ ও তার সাথে থাকা আরো কয়েকজন মিলে তার প্রতিষ্ঠানের সামনে জয়নাল আবেদীনকে কাঠের রুইল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান। 

ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এ ব্যাপারে থানার ওসি তাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সাথে জড়িত আবুল আহমদকে ওসমানী মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে সেই আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে, মঙ্গলবার ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 


Wednesday, November 30

বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় কানাইঘাটের মঈনকে,৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় কানাইঘাটের মঈনকে,৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা




নিজস্ব প্রতিবেদক:

কানাইঘাটের মঈন উদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ প্রথমখন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামে শফিকুল হক বাদী হয়ে তার ছেলে মঈন উদ্দিনকে কোপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন, তার ভাই আলী হোসেন সহ পরিবারের ৭ জনকে আসামী করে বুধবার(৩০ নভেম্বর)  এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ২১, তারিখ- ৩০/১১/২০২২ইং। 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মঈন উদ্দিন প্রায়ই একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলী হোসেনের বসত বাড়িতে যাতায়াত করিত। এতে আলী হোসেনের স্ত্রী মমতা বেগমকে মঈন উদ্দিন ভাবি বলে ডাকার সুবাদে তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করে। একপর্যায়ে তাদের বাড়িতে আলী হোসেনের ভাগ্নি তানিয়া বেগমের সহিত মঈন উদ্দনের সখ্যতা গড়ে উঠলে আলী হোসেন, আলিম উদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। তারা মঈন উদ্দিনকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে এবং তানিয়া বেগমের সাথে কথা না বলার জন্য গালাগালি করে। মঈন উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে সম্প্রতি তাকে আলিম উদ্দিন ও তার ভাই আলী হোসেন হত্যার হুমকি দেয়। এতে আলিম উদ্দিন, আলী হোসেন ও তাদের ভাগ্না মারজান গংরা মঈন উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে গত সোমবার রাতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ফোন দিয়ে একই গ্রামের মারজানের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে মঈন উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও গাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার লাশ গ্রামের সাধন দাসের বাড়ির পাশের ক্ষেতের মাঠে ফেলা রাখা হয়। 

থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, মমতা বেগম ও তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দিনের সখ্যতা থাকার কারনেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে। তানিয়া বেগমের বাড়িতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হত্যা করার পর পাশর্^বর্তী ধান ক্ষেতের মাঠে তার ফেলে দেয়া হয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার দায়ে এজাহার ভুক্ত আসামী আলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে

Tuesday, November 29

কানাইঘাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা,  লাশ উদ্ধার

কানাইঘাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, লাশ উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরবাগ প্রথমখন্ড গ্রামে মঈন উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা । 

স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাউরবাগ প্রথমখন্ড গ্রামের সফিক আহমদের পুত্র মঈন উদ্দিনের রক্তাক্ত লাশ একই গ্রামের ক্ষেতের মাঠে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। 

একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম একদল পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং মঈন উদ্দিনের লাশ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসেন। 

নিহত মঈন উদ্দিনের মাথায় গভীর ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। তবে কি কারণে মঈন উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশ এ গুপ্ত হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। 


এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।