Sunday, July 23

কানাইঘাটে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের মালামাল বিক্রির ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট ফতেহগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবন কোন ধরণের নিলাম ছাড়াই মালামাল বিক্রির ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিচয়দানকারী আর্সদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক ও এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগটি নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগমের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ফতেহগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক স্কুলের অভিভাবকদের না জানিয়ে আর্সদ আলীকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত করে মনগড়া ভাবে স্কুল পরিচালনা করায় লেখাপড়ার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। ঘোষিত ম্যানেজিং কমিটির বাতিল সহ কোন ধরনের সরকারি নিলাম ছাড়াই প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির স্বঘোষিত স্বভাপতি পরিচয়দানকারী আর্সদ আলী স্কুলের পুরাতন পাকা একাডেমিক ভবনের দুইটি শ্রেণি ও অফিস কক্ষের ইট, দরজা জানালা, পুরাতন টিন এবং স্টীলের এঙ্গেল, পাত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছোট মির্জারগড় গ্রামের সেবুল মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। সেবুল মিয়া পুরাতন ভবনের পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে প্রায় ৫ হাজার ইট সহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার অন্যান্য দামী মালামাল বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক তার অনিয়ম, দূর্নীতি ঢাকতে মনগড়া ভাবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আর্সদ আলীকে মনোনীত করে এলাকার কিছু লোকজনের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপন করে নানা ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছেন।  এসব অনিয়ম দূর্নীতি তদন্ত পূর্বক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্কুলের স্বঘোষিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষিত লোকদের দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগমের কাছে। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্কুলের পুরাতন একাডেমিক ভবনের দু’টি দেওয়াল ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকার সংস্কার করা হচ্ছে। মনগড়া ম্যানেজিং কমিটির গঠনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, ফতেহগঞ্জ গ্রামবাসীর মতামতের ভিত্তিতে আর্সদ আলীকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করে অন্যান্য সদস্যদের নামের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবরে তিনি প্রেরণ করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কমিটি অনুমোদন পায়নি কিছু লোক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফতেহগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙ্গার কোন অনুমতি তারা দেননি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়