Saturday, July 2

সিলেট থেকে যাওয়া প্যারা কমান্ডো দলের নেতৃত্বে গুলশানে অভিযান


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জিম্মিদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের নির্মুল করতে রাতেই সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিয়া যাওয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারা কমান্ডো দল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সকালে এই প্যারা কমান্ডোদের নেতৃত্বেই অভিযান চালানো হয় গুলশানের রেস্টুরেন্টে। সকালে এ প্যারা কমান্ডো দলের মাত্র ১১ মিনিটের অভিযানে জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটে বলে জানিয়েছে সেনাদপ্তর। এ সময় ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি ৬ হামলাকারীকে হত্যা এবং ১ জন হামলাকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটার পরপরই গুলশানে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ জনের প্যারা কমান্ডো দলকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিলেটের এ প্যারা কমান্ডো দলের সঙ্গে সাভারের দলও অংশ নেয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জিম্মি সঙ্কটের অবসানের অভিযান। মূল ভবনে ঢোকার ২০ মিনিট আগে থেকে ভবনের চারপাশে এপিসি ট্যাঙ্ক রেকি করে। এরপর হামলাকারীরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভবনে ঢুকে পড়ে কমান্ডো বাহিনী। মাত্র ১১ মিনিটে হামলাকারীদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ করে কোনো ক্ষতি ছাড়াই ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে কমান্ডো বাহিনী। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান বেকারি ও এর দোতলায় অবস্থিত ও কিচেন রেস্টুরেন্টে ৭ জন জঙ্গি সদস্য প্রবেশ করে। তাদের হাতে ছিল পিস্তল ও কাঁধে কালো ব্যাগ। 'আল্লাহু আকবর' আওয়াজ তুলে হামলা চালিয়ে তারা রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০ নাগরিককে জিম্মি করে। ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, ৬ জঙ্গি এবং ২০ বিদেশি জিম্মি সহ সর্বমোট ২৮ জন নিহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে আইএসপিআর।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়