চট্টগ্রাম: জেলার সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রের পাশে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে গোলাগুলিতে নুরুল আমিন নামে একজন নিহত হয়েছেন।তিনি যুবদলকর্মী বলে বলে দাবি করা হলেও নিরপেক্ষসূত্র থেকে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।নিহতের ঘটনার পরও ভোট গ্রহণ বন্দ হয়নি।বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত ১২শ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টার মাথায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেলের পূর্ব পাশে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মনিরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
নিহত মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৪০) সাতাকনিয়ার গোয়াজর পাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে তার একটি লেপ তোষকের দোকান রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই আবুল কালাম বলেন, নুরুল ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মনিরুল ইসলাম দুজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানান।
নিহত নুরুল তাদেরই একজনের সমর্থক বলে শোনা গেলেও চট্টগ্রামে বিএনপির নির্বাচনী মনিটরিং সেলের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছেন।
সাতকানিয়া থানার ওসির দায়িত্বে (ওসি-তদন্ত) থাকা মাহমুদুল হাই গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রের বাইরে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে নিহতকে দলের কর্মী হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ তাৎক্ষণিকভাবে জানান, আমি কেন্দ্রের ভেতরে। বাইরে গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। একজন মারা যাবার খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন ভোট কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু দূরে নুরুল আমিন নামে একজন লোককে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে। বিয়ষটি আমরা খতিয়ে দেখছি।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়