দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় সিলেটের ৩ পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিলেটের ৩ পৌরসভার দুই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, সিলেটে সকাল থেকে পৌরসভার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহন উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৪০ ভাগ ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সিলেটের নির্বাচনী এলাকা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কানাইঘাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর এলাকা। এ ওয়ার্ডের পরেই শুরু সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন। তাই এখানে স্থানীয়দের তুলনায় বহিরাগতদের আনাগোনাই একটু বেশি বলে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তার ওপর এখানকার একমাত্র ভোটকেন্দ্রকে (বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় জাল ভোটসহ নৌকায় সিল মারার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আমিনুর রহমান নিপন। তিনি সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সহায়তা করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আমিনুর রহমান নিপন (নারকেল গাছ প্রতীক) অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ৫ ও ৪ নং ওয়ার্ডের জছির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছেন। ভোট কক্ষের মধ্যে ভোটারদের নৌকা মার্কায় সিল মারার জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন।
জকিগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বদরুল হক বাদল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমদ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল মালেক ফারুক বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তারা ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালানো, জাল ভোট দেওয়া ও কেন্দ্রটি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দখর করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়