Wednesday, November 19

দুই বছরের মধ্যে ৩৯,৯০৭টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম


ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে ৩৯ হাজার ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি উপজেলা বা থানার অনধিক তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট এক হাজার ৪৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, সাউন্ড সিস্টেম ও ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি অর্থ-বছরে আরও তিন হাজার ৯৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের জন্য একইরূপ উপকরণ বিতরণের জন্য অপেক্ষমান এবং তিন হাজার ৫০৪টির জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষার প্রচলন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ২০ হাজার ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করা হয়। সংসদ নেতা জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগ্রাম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক স্তরের ৩৩টি, মাধ্যমিক স্তরের ৪৯টি, মাদ্রাসা শিক্ষার ৭৫টি এবং কারিগরি শিক্ষার ৩২টি পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় ও সহজে ব্যবহার যোগ্য ই-বুক এ কনভার্ট করে www.ebook.gov.bd ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।এর ফলে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষা গবেষক ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো সময় পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে পারছে।’ বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের কলরেট বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচিত। তাই মোবাইল ফোনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট পুনঃনির্ধারণের আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান মোবাইল ফোনের কলরেট প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা হতে সর্বোচ্চ ২ টাকা নির্ধারণ করা আছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সহায়তায় একটি কস্ট মডেলিং প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক এ হার নির্ধারিত হয়।বর্তমানে বাংলাদেশের সকল মোবাইল অপারেটরের গড় কলরেট প্রতি মিনিট ৮৩ পয়সা। এটা বিশ্বের সর্বনিম্ন কলরেট হিসেবে বিবেচিত।’ শেখ হাসিনা বলেন,‘মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতার কারণে কলরেট ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক করায় প্রতি ১০ সেকেন্ড পর বিল চার্জ করা হয়। এর ফলে গ্রাহক শুধু ব্যবহৃত সময়ের প্রতি ১০ সেকেন্ডের গুণিতক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্রাহককে শেষ মিনিটের বাকি সময়ের জন্য বিল দিতে হয় না।’ ফরিদুল হক খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান করতে বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৪৭ ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার কাজ করছে। প্রতিটি সেন্টারে একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা কর্মরত রয়েছে। এর ফলে ৯ হাজার ৯৪ উদ্যোক্তার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ৩২১টি পৌরসভায় ৬৪২ জন উদ্যোক্তার কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়