ঢাকা : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে রাজধানীর বাইরে ৪ জেলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী, যশোরের অভয়নগরে দুগ্রপের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী, পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে জামায়াত কর্মী এবং পিরোজপুর জেলার জিয়ানগরে হরতালকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন যুবলীগ কর্মী।
যশোর : জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় হরতাল সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন শিমুল (৩৮) নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। শিমুল উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াপাড়ায় যশোর-খুলনা মহাসড়কে শিমুল তার সহযোগী কয়েকজন ক্যাডার নিয়ে মাইক্রোবাসে করে হরতালবিরোধী মহড়া দেয়ার সময় মাইক্রোবাসটি বেঙ্গল টেঙটাইল মিলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে হরতাল সমর্থকদের মিছিল ধাওয়া করে।
এ সময় শিমুল ও তার ক্যাডাররা ওই মিছিলের ওপর চড়াও হলে মিছিলকারীরা শিমুলের মাইক্রোবাসে হামলা চালায় এবং তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে শিমুল ও তার সহযোগীরা পাশের হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেন। হরতাল সমর্থকরা সেখানে ঢুকে কুপিয়ে শিমুলসহ কয়েজনকে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিমুল মারা যান। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফরিদপুর : জেলার নগরকান্দায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১ যুবদল কর্মী গুলিতে নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন। নিহত মারুফ হোসেন (২১) পৌরসভার মিনার গ্রামের রাবু শেখের ছেলে। রবিবার সকালে হরতাল চলাকালে পিকেটিংয়ের সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ১৮ দলীয় জোটের শতাধিক নেতাকর্মী নগরকান্দা বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে যুবদল কর্মী মারুফ হোসেন (২০) গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পাবনা : সকালে হরতালের পক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে মিছিল বের করে জামায়াত। ওই মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে জামায়াতকর্মী সুরাইকান্দির জুলহাস (৪০) প্রাণ হারান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৭ জন। আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গুলি করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পিরোজপুর : জেলার জিয়ানগরে হরতালকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বপন শীল নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া হরতালের ঘটনায় ৩ সাংবাদিক আহত হন।
যশোর : জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় হরতাল সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন শিমুল (৩৮) নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। শিমুল উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াপাড়ায় যশোর-খুলনা মহাসড়কে শিমুল তার সহযোগী কয়েকজন ক্যাডার নিয়ে মাইক্রোবাসে করে হরতালবিরোধী মহড়া দেয়ার সময় মাইক্রোবাসটি বেঙ্গল টেঙটাইল মিলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে হরতাল সমর্থকদের মিছিল ধাওয়া করে।
এ সময় শিমুল ও তার ক্যাডাররা ওই মিছিলের ওপর চড়াও হলে মিছিলকারীরা শিমুলের মাইক্রোবাসে হামলা চালায় এবং তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে শিমুল ও তার সহযোগীরা পাশের হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেন। হরতাল সমর্থকরা সেখানে ঢুকে কুপিয়ে শিমুলসহ কয়েজনকে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিমুল মারা যান। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফরিদপুর : জেলার নগরকান্দায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১ যুবদল কর্মী গুলিতে নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন। নিহত মারুফ হোসেন (২১) পৌরসভার মিনার গ্রামের রাবু শেখের ছেলে। রবিবার সকালে হরতাল চলাকালে পিকেটিংয়ের সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ১৮ দলীয় জোটের শতাধিক নেতাকর্মী নগরকান্দা বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে যুবদল কর্মী মারুফ হোসেন (২০) গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পাবনা : সকালে হরতালের পক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে মিছিল বের করে জামায়াত। ওই মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে জামায়াতকর্মী সুরাইকান্দির জুলহাস (৪০) প্রাণ হারান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৭ জন। আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গুলি করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পিরোজপুর : জেলার জিয়ানগরে হরতালকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বপন শীল নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া হরতালের ঘটনায় ৩ সাংবাদিক আহত হন।
রবিবার ভোর ৪টার দিকে হরতালকারীরা বালিপাড়া এলাকায় স্বপন শীলকে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম : সীতাকুণ্ডে উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের হামলায় এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরো দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেনারখিল গ্রামে রোববার সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এর মধ্যে যুবলীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন মারা যায়।----ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়