ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর ফলে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ছে। শিথিল হয়ে পড়ছে দলের কার্যক্রম। এর পাশাপাশি পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ভেতর এক ধরনের হতাশাও সৃষ্টি হয়েছে।
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দলের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়াই শুধু নিয়ম রক্ষার খাতিরে দ্বিতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র ৪টি জেলাকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় ওই সম্মেলন।
সম্মেলনের পর ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মাসের মধ্যে মহানগর, জেলা ও উপজেলাসহ সব পর্যায়ে কাউন্সিল শেষ করার জন্য দলের শাখাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে সদস্য সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রাখা ও সফল করারও নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দলের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ যে সব শাখা সংগঠনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি, সে সব শাখার মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো নির্দেশই কার্যকর হয়নি। ফলে দলের কার্যনির্বাহী সভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা-উপজেলাসহ সব শাখা কমিটির মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি উপযুক্ত লোক নই।’
অন্যদিকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘দেশজুড়ে বিরোধী দলের নৈরাজ্যের কারণে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে বিলম্ব হচ্ছে। সম্মেলন হতে হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। এটা দলীয় নেতাকর্মীদের মিলন মেলা। কিন্তু এটা সম্ভব হচ্ছে না বিরোধী দলের নৈরাজ্যের কারণে।’
সম্মেলন না হওয়ায় দল দুর্বল হয়ে পড়ছে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, ‘সম্মেলন না হলেও দলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদলের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সক্রিয় রয়েছে।’
তবে খুব শিগগিরই সম্মেলনগুলো শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হানিফ।
অন্যদিকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এ কারণে জেলা সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যেসব জায়গায় উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব জায়গায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
শিগগিরই বাকি জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়া দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে কিনা জানতে চাইলে লেনিন বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। এই কাঠামো দুর্বল নয়। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে নতুন কিছু মুখ ও নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে, যা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।’(ডি নিউজ)
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দলের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়াই শুধু নিয়ম রক্ষার খাতিরে দ্বিতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র ৪টি জেলাকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় ওই সম্মেলন।
সম্মেলনের পর ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মাসের মধ্যে মহানগর, জেলা ও উপজেলাসহ সব পর্যায়ে কাউন্সিল শেষ করার জন্য দলের শাখাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে সদস্য সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রাখা ও সফল করারও নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দলের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ যে সব শাখা সংগঠনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি, সে সব শাখার মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো নির্দেশই কার্যকর হয়নি। ফলে দলের কার্যনির্বাহী সভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা-উপজেলাসহ সব শাখা কমিটির মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি উপযুক্ত লোক নই।’
অন্যদিকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘দেশজুড়ে বিরোধী দলের নৈরাজ্যের কারণে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে বিলম্ব হচ্ছে। সম্মেলন হতে হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। এটা দলীয় নেতাকর্মীদের মিলন মেলা। কিন্তু এটা সম্ভব হচ্ছে না বিরোধী দলের নৈরাজ্যের কারণে।’
সম্মেলন না হওয়ায় দল দুর্বল হয়ে পড়ছে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, ‘সম্মেলন না হলেও দলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদলের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সক্রিয় রয়েছে।’
তবে খুব শিগগিরই সম্মেলনগুলো শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হানিফ।
অন্যদিকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এ কারণে জেলা সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যেসব জায়গায় উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব জায়গায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
শিগগিরই বাকি জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়া দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে কিনা জানতে চাইলে লেনিন বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। এই কাঠামো দুর্বল নয়। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে নতুন কিছু মুখ ও নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে, যা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।’(ডি নিউজ)
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়