Monday, March 31

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মুখ রক্ষার ম্যাচ মঙ্গলবার

ঢাকা: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ২ কেই কঠিন গ্রুপ হিসেবে ভাবা হয়েছিল। বিশ্বের অন্যতম সেরা চার ক্রিকেট শক্তি ভারত,পাকিস্তান,অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সুপার টেন পর্বে অংশ নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই এই গ্রুপ থেকে ভারত টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
সমান পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একইদিন প্রথম ম্যাচে বিকাল সাড়ে তিনটায় মিরপুরে মুখোমুখি হবে হবে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। শক্তির বিচারে অস্টোলিয়া অনেক এগিয়ে থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে এখনও জয়ের দেখা পায়নি দলটি। অন্যদিকে টাইগাররাও নিজের মাঠে সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে। তাই সেদিক দিয়ে দুই দলকেই সমান বলতে হবে।

নিজের মাঠে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেনে টানা হারের কারণে তামিম সাকিবরা বিষন্ন ছিলেন। কিন্তু রোববার নিজের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বড় ব্যবধানে হারের পর কিছুটা হলেও মুশফিকদের দুঃখ হালকা হয়েছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মতো দল যেখানে ভারত,পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে। মুশফিকরাও তো সেই তুলনায় দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছে।

অর্থাৎ দুই দলের মধ্যকার মঙ্গলবারের ম্যাচটি মুখ রক্ষার লড়াই বলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া চাইবে অন্ততঃ নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে দেশে ফিরতে। কিন্তু নিজের মাঠে মুশফিকদের জন্য এটা মান বাঁচানোর লড়াই। আর দেশের মানুষের চাওয়া অন্তত শেষ ম্যাচে টাইগাররা নিজের মাঠে জয় পাবে।

নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগের দিন দুই দল হোটেলে বিশ্রামে কাটিয়েছে। সোমবার সারাদিন হোটেলেই বিশ্রামে ছিলো সাকিববাহিনী। দলের ম্যানেজার সাব্বির খান বলেন,‘ক্রিকেটাররা সারা দিন হোটেলেই কাটিয়েছে। এদিন তাদের কোন অনুশীলন ছিল না। তবে হোটেলে সুইমিং ও জিম করেছে তারা।’

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭৩ রানের হারের পর ভারতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে হারে মুশফিকরা। রোববার স্বাগতিকদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছেও ৫০ রানে হারতে হয় তাদেরকে। অন্যদিকে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেভারিট দল বলে ভাবা হয়েছিলে সেই অস্ট্রেলিয়াও সবগুলো ম্যাচই হেরেছে।

বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট পরাশক্তি বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের কাছে ১৬ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ উইকেটে ও তৃতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যায়।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ২০০৭ ও ২০১০ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিলো। যার মধ্যে দুটিতেই হেরেছে টাইগাররা। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টিতে এখনও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুশফিকদের জয়ের কোন অভিজ্ঞতাই নেই। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে  ১৮ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য সেই ম্যাচেও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুলের শতকেই জয় পেয়েছিলো টাইগাররা।

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়