Previous
Next

সর্বশেষ


Thursday, December 4

কানাইঘাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ

কানাইঘাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ


মাহবুবুর রশিদ :

জ ৪ ডিসেম্বর। কানাইঘাট মুক্ত দিবস। উপজেলাবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় এ জনপদ। সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কানাইঘাটকে হানাদার মুক্ত করেন। এরপর থেকে এই দিনটি কানাইঘাট মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। 

বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপ করে জানা যায় , ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর কানাইঘাটকে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা ৩ ডিসেম্বর রাতে পাক-হানাদার বাহিনীকে বিভিন্ন দিকে থেকে ঘেরাও করেন। ৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) আর পাক বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন বসারত। মুখোমুখি লড়াইয়ের একপর্যায়ে পরাজয় বরণ করে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। আর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কানাইঘাট উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন। 

মুক্তিযুদ্ধকালের অন্যতম স্মরণীয় যুদ্ধ হলো কানাইঘাটের যুদ্ধ। কানাইঘাটে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। সম্মুখ যুদ্ধে নিহত অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ও স্মৃতিসৌধ এখানে রয়েছে।

১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে বীরত্বের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা বহু মা-বোনের ইজ্জত হরণ করার পাশাপাশি শত শত বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু থেমে থাকেনি মুক্তিকামী জনতা। ৪ ডিসেম্বর শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে কানাইঘাটকে মুক্ত করে বিজয়ের স্বাদ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন।

কানাইঘাট উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজমুল হক বলেন,'১৯৭১ সালের ৩ডিসেম্বর রাতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়,দীর্ঘ সময়ে যুদ্ধ করে শত লাশের বিনিময়ে ৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় কানাইঘাট।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম বলেন,'১৯৭১ সালে আমি প্রায়ত মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্তের (সি আর দত্ত) এর অধীনে ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করি। সিলেটের কানাইঘাট,গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ভারি অস্ত্র নিয়ে আমার যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন,'সেদিন আমার সাথে আব্দুল খালিক ও মকবুল হোসেন নামে আমাদের এলাকার দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,আমাদের ক্যাম্প ছিলো লালাখাল। ৪ ডিসেম্বর আমরা কমান্ডারের নির্দেশে বড়বন্দ এলাকার হাজি মুছব্বির সাহেবের বাড়ি থেকে অপারেশন চালাই। পাক হানাদার বাহীনির সাথে আমাদের তুমুলযুদ্ধ হয়,একপর্যায়ে তারা পিছু হটলে মুক্ত হয় কানাইঘাট।

প্রতি বছর এই দিনে কানাইঘাট মুক্ত দিবস স্মরণে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়ে থাকে।


Wednesday, December 3

কানাইঘাটের নবাগত ইউএনও হিসেবে মেহেদী হাসান শাকিলের যোগদান

কানাইঘাটের নবাগত ইউএনও হিসেবে মেহেদী হাসান শাকিলের যোগদান


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবাগত ইউএনও মেহেদী হাসান শাকিল। 

৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে এ কর্মকর্তা এর আগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ঢাকায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার পূর্ব আদালত পাড়া গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।

সম্প্রতি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে মাঠপর্যায়ে ইউএনও পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলী ও পদায়ন করা হয়। বদলীর সরকারি আদেশে মেহেদী হাসান শাকিল কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হয়ে যোগদান করেন। বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলী করা হয়েছে।

দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক মহল, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন নবাগত ইউএনও মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল। তিনি বলেন, কানাইঘাটের সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সহ সরকারের নির্দেশনাগুলো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি।

Tuesday, December 2

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও’র আবেগময় ফেসবুক স্ট্যাটাস

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও’র আবেগময় ফেসবুক স্ট্যাটাস


নিজস্ব প্রতিবেদক:

দলির আদেশ পাওয়ার পর কানাইঘাট উপজেলাবাসীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ছিল কানাইঘাটে তার শেষ কর্মদিবস। দায়িত্ব পালনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুপুরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি সেই আবেগঘন বার্তাটি প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে ইউএনও তানিয়া আক্তার উল্লেখ করেন, কানাইঘাটে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, সহযোগিতা ও শ্রদ্ধা। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, মানুষের আন্তরিকতা এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতাগুলো তার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

কানাইঘাট নিউজের পাঠকদের জন্য ইউএনও’র লেখা স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

"আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কানাইঘাটবাসী

১০ মাস ১৫দিন দায়িত্ব পালন শেষে সরকারি আদেশে বদলি হয়ে যাচ্ছি। একাধারে দায়িত্ব পালন করেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পরিষদের প্রশাসক, প্রশাসক, কানাইঘাট পৌরসভা,সহকারী কমিশনার (ভূমি)  অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব ও বহু স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ সরকার প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব । সঙ্গত কারণেই পুরোটা সময়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে দপ্তরে, বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানে, হাটে ও মাঠে। স্বল্প সময়ে সব জায়গায় সব মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারিনি, এই দুঃখবোধটা রয়ে গেল। কানাইঘাট  উপজেলার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক, সেগুলো অনুসন্ধান করে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক-সামাজিক ঐক্য কানাইঘাটবাসীর রয়েছে। এটিই এই উপজেলার মূল শক্তি। কানাইঘাট এর সকল অনাগত সন্তান সুন্দর ভবিষ্যত পাক,বর্তমান প্রজন্ম বেড়ে উঠুক আপন মহিমায়, এবং সকল সন্তান সূর্য সন্তান হিসেবে  সন্মানিত হোক। এই শক্তি কানাইঘাট  অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাক- এই আশাবাদ নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  সর্বোপরি সকল সম্মানিত নাগরিক বৃন্দ,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রেসক্লাব সহ সমাজের দর্পন তূল্য সম্মানিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্য বৃন্দ সকল শ্রেণি ধর্মীয় ব্যক্তি, পেশা, কলাকৌশলী সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা, সম্মান, স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছি।সবার প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা। 

জানা,অজানায় যদি কারো মনোকষ্টের কারণ হয়ে থাকি নিজগুণে ক্ষমা করবেন। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আলেম উলামার ঘাটি কানাইঘাট হৃদয়ে  থাকবে আজীবন।

সবসময়ই ভালো থাকুক, প্রিয় কানাইঘাটবাসী।

আল্লাহ হাফেজ।

Monday, December 1

কানাইঘাটে শ্রমিক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

কানাইঘাটে শ্রমিক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল




কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর শ্রমিক দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে কানাইঘাট বাজারস্থ শ্রমিক দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পৌর শ্রমিক দলের আহবায়ক আবিদুর রহমান আবিদ এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শ্রমিক দল নেতা সাহেদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুজ্জামান পারভেজ

এছাড়া দোয়া মাহফিলে অংশ নেন উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক জাকারিয়া আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবাদুর রহমান লালই, পৌর শ্রমিক দল নেতা মোঃ আফতাব উদ্দিন, মোঃ মইন উদ্দিন, তমিজ উদ্দিন, সদর ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শফিক আহমেদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বদরুল আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, পৌর বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আহমেদ রানা এবং পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক নুর আহমেদ

এছাড়াও কানাইঘাট পৌর ও উপজেলা শ্রমিক দলের নেতাকর্মী সেলিম আহমেদ, মাসুম আহমেদ, শাহিদুর রহমান, প্রবাসী শ্রমিক দল নেতা শাহিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন আলতা, শহিদ আহমেদ, আসবেল আহমেদ, বাবুল আহমেদ, মখলিছুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন, সাদিক আহমেদ, নুরুল আলম, বুরহান উদ্দিন, খছরুজ্জামান খছরু দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।


কানাইঘাটে ছয়ফুল হ ত্যা: ইয়াবার ভাগ-বাটোয়ারায় র ক্তা ক্ত নিষ্পত্তি!

কানাইঘাটে ছয়ফুল হ ত্যা: ইয়াবার ভাগ-বাটোয়ারায় র ক্তা ক্ত নিষ্পত্তি!


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

য়াবা বিক্রির অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে ছয়ফুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত হত্যায় জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মৃত ছলু মিয়ার ছেলে ছয়ফুল ইসলাম, সাকিল আহমদ এবং সুমন আহমদ একসঙ্গে চোরাইপথে মাদক ইয়াবা সহ বিভিন্ন পণ্য দেশে এনে বিক্রি করত। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির দুই লক্ষ টাকা ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই ঘটে হত্যা।

রবিবার সন্ধ্যায় ছয়ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে সাকিল আহমদের বাড়ির বারান্দায় একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। এরপর টাকা লেনদেন নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাকিল ও তার সহযোগী সুমন ধারালো দা দিয়ে ছয়ফুলের মাথায় উপর্যুপরি কোপ মারলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

হত্যার পরদিন সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ছয়ফুলের স্বজনরা ও এলাকার কিছু চোরাকারবারী ক্ষুব্ধ জনতা সাকিলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সাকিলের পিতা আব্দুল হান্নান হানাইকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, নিহতের পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক হান্নান হানাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলছেন, কাড়াবাল্লা, রাতাছড়া ও আশপাশের সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও মারামারির ঘটনা ঘটছে বারবার।

কানাইঘাটে গরু ব্যবসায়ীর ১৩ লক্ষ টাকা ছিনতাই

কানাইঘাটে গরু ব্যবসায়ীর ১৩ লক্ষ টাকা ছিনতাই


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর (করচটি) ব্রিজের পাশে পিকআপ গাড়ি থামিয়ে এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে তিন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্ত। রবিবার(২৯ নভেম্বর)  সকাল ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সংকরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজারে গরু কেনার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে পিকআপ গাড়ি নিয়ে রওনা হন। পথে কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর (করচটি) ব্রিজের পাশে পৌঁছামাত্রই মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন দুর্বৃত্ত পিকআপটির গতি রোধ করে।

দুর্বৃত্তরা গাড়ির গ্লাস ভেঙে সিরাজ উদ্দিন ও চালককে মারধর করে এবং গাড়ির সিটের নিচে রাখা ১৩ লক্ষ টাকা লুট করে বিষ্ণুপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর আহত ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন কানাইঘাট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশে অভিযান চালালেও কাউকে আটক করতে পারেনি।

সিরাজ উদ্দিন জানান, তিনি ধার করে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে গরু সংগ্রহ করে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। ঘটনার পর তিনি কানাইঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন এবং দ্রুতই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কানাইঘাটে খুঁটিতে বেঁধে তরুণকে কু'পিয়ে হ ত্যা

কানাইঘাটে খুঁটিতে বেঁধে তরুণকে কু'পিয়ে হ ত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছাইফুল (১৯) নামে এক তরুণকে খুঁটিতে বেঁধে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাতাছড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত ছাইফুলরাতাছড়া গ্রামের মৃত ছলু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাইফুল ও তাঁর প্রতিবেশী সাকিল আহমদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সাকিল আহমদ প্রকাশ্যে ছয়ফুলকে তার নিজের বাড়ির সামনে থেকে জোরপূর্বক আটক করে বারান্দার একটি খুঁটিতে শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। ওই সময় টাকা লেনদেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে সাকিল আহমদ ও তার সহযোগী সুমন আহমদ ধারালো দা দিয়ে ছয়ফুলের ওপর এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। ছয়ফুলের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ছয়ফুলকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে। রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, পূর্ববর্তী বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সাকিল ও সুমন নামের দুইজনকে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।


Sunday, November 30

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও তানিয়া আক্তারকে সংবর্ধনা প্রদান

কানাইঘাটে বিদায়ী ইউএনও তানিয়া আক্তারকে সংবর্ধনা প্রদান


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

বদলী জনিত কারনে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তে এ সংবর্ধনা অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। 

সম্মিলিত নাগরিক সমাজ কানাইঘাটের উদ্যােগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কলামিষ্ট মাষ্টার মহি উদ্দিন। কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার বলেন ‘১১মাসের অধিক সময় নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে উপজেলার রাজনৈতিক মহল, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সমাজ ও পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ সহ সকল মহল আমাকে আন্তরিকতার সহিত সহযোগীতা করেছিলেন বিধায় সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করেছি। নিষ্টার সাথে সরকারী সেবা, জন-সাধারণের দৌরগোড়ায় পৌছে দিতে আমার আন্তরিকতার কোন কমতি ছিলনা। তারপরও কি করেছি তা আপনারা মুল্যায়ন করবেন। কানাইঘাটের মানুষ অতিথিপরায়ণ তারা প্রশাসনকে সকল কাজে যে ভাবে সহযোগীতা করেছেন তা সব সময় আমি মনে রাখবো।’

কানাইঘাটের মানুষের কথা কখনো ভুলবনা উল্লেখ করে দায়িত্ব পালনে কারো মনে কষ্ট দিলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানান তিনি। বক্তব্যকালে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা আবেগআপ্লুত হয়ে বলেন বিদায় বেলায় আমাকে যেভাবে আপনারা সম্মান দিয়েছেন তা কখনো ভুলার নয়। 

সংবর্ধনা অনুষ্টানে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক ছাত্র নেতা ফয়ছল আহমদ, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক এম এ হান্নান, কানাইঘাট সরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমাছ উদ্দিন চৌধুরী, বাণীগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, সিলেট উত্তর জমিয়তে উলামা ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা এবাদুর রহমান, বড়চতুল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জমিয়তে উলামা ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসেন, কানাইঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আমানুর রশিদ চৌধুরী, জমিয়তে উলামা’র সাংগঠনিক সম্পাদক ক্বারী মাওলানা হারুন রশিদ, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী ইকবাল আহমদ, কানাইঘাটের প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মীম সালমান, উপজেলা পূজা উদয্পান পরিষদের সভাপতি ভজন লাল দাস, সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী, সমাজকর্মী ও যুবনেতা কামাল উদ্দিন, কবি সাহিত্যিক সারোয়ার ফারুকী, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাসেল চৌধুরী প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্টানে বক্তারা বলেন কানাইঘাটের বিদায়ী ইউএনও তানিয়া আক্তার তার কর্মের মধ্যে দিয়ে কানাইঘাটের মানুষের মনে চিরদিন বেচেঁ থাকবেন। কারন তিনি নিষ্টা ও আন্তরিকতার সহিত উপজেলাব্যাপী মানুষের সেবা প্রদান করে গেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কানাইঘাটের মানুষের মন জয় করেছেন। অনুষ্টানে নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ কানাইঘাট, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, সহযোগী সংগঠন, উপজেলা ও পৌর জামায়াত, কানাইঘাট প্রেসক্লাব, পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সহ ব্যাক্তি ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা জাহান, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুর নুর, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুমিন রশিদ, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয়নাল আজাদ, সদস্য শাহীন আহমদ, মাওলানা আসআদ আহমদ, উপজেলা র্দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান, কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিন মেম্বার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক শমসের আলম, পৌর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সফিকুল হক, কানাইঘাট পৌর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার দাস,  উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাবেক কাউ¯িœলর আল-আমিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইউপি সদস্য বদরুল আলম, জেলা যুবদল নেতা সাইফুর রহমান, যুবদল নেতা সহিদ আহমদ, সুমন আহমদ, বিলাল আহমদ, সেলিম উদ্দিন, জমিয়ত নেতা মাওলানা খালিদ হোসেন, উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাংবাদকর্মী মিজানুর রহমান লাভলু, ইকবাল আহমদ, পৌর যুব বিভাগের সভাপতি আবুল কাশেম শামীম, আবুল হোসেন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


Friday, November 28

কানাইঘাটের ডা. কাজী শাহ আলম অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন

কানাইঘাটের ডা. কাজী শাহ আলম অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন


নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটের (ইএনটি) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী শাহ আলম অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ১০৩ জন চিকিৎসককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যে প্রজ্ঞাপন জারি করে, সেখানে ডা. কাজী শাহ আলমের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।

ডা. কাজী শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা ও জটিল সার্জারি ক্ষেত্রে সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ১৯৮৫ সালে কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি এবং ১৯৯৬ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৫ সালে তিনি ডিএলও এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস (ইএনটি) ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ইং তিনি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

পেশাগত জীবনে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কানের মাইক্রো সার্জারিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন এবং ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি জেনারেল হাসপাতালে নাকের সার্জারিতে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য জার্নালে তাঁর ৮টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল হেড অ্যান্ড নেক কনফারেন্সে তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সেমিনার ও কর্মশালায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

অধ্যাপক ডা. কাজী শাহ আলম সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তাঁর এক কন্যা চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। তাঁর এই পদোন্নতিতে এলাকাবাসী, সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

Thursday, November 27

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে জাপানকে পরামর্শ ডোনাল্ড ট্রাম্পের

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে জাপানকে পরামর্শ ডোনাল্ড ট্রাম্পের

 


চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা আর বৃদ্ধি না করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এ বিষয়ে কথা হয় বলে দাবি করেছেন কথোপকথন সম্পর্কে অবগত একাধিক কর্মকর্তা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তাকাইচি চলতি মাসে পার্লামেন্টে বলেন, তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ জাপানের টিকে থাকার হুমকি হয়ে উঠতে পারে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, সে রকম কোনও পরিস্থিতিতে জাপান চাইলে সেনা মোতায়েন করতে পারে। তার এমন ইঙ্গিত সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেইজিং-টোকিওর সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক বিরোধ তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার এক ফোনকলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি এড়ানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানান দুই জাপানি সরকারি কর্মকর্তা। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।

একজন জানান, ট্রাম্প কোনও নির্দিষ্ট দাবি তোলেননি এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাকাইচি বক্তব্য প্রত্যাহারের কথাও বলেননি। এদিকে জাপান আগেই বলেছে, তাকাইচির বক্তব্য দীর্ঘদিনের নীতিরই প্রতিফলন।

তাকাইচিকে উত্তেজনা হ্রাসে ট্রাম্পের পরামর্শের কথা প্রথম জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

টোকিওর একাধিক কর্মকর্তার আশঙ্কা, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির স্বার্থে ট্রাম্প হয়ত তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন কমিয়ে আনতে পারেন, যা বেইজিংকে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার সাহস জোগাতে পারে, যা হয়ত পূর্ব এশিয়ায় অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হবে।

সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ কাজুহিরো মায়েজিমা বলেন, ট্রাম্পের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক। জাপান সবসময়ই সেই সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার একটি হাতিয়ার বা কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ট্রাম্প-তাকাইচিকে ফোনকলটি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আরেকটি ফোনালাপের পরপরই অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলাপে শি বলেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনর্মিলন বিশ্বব্যবস্থায় বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গির অন্যতম অংশ।

অবশ্য গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান বরাবরই বেইজিংয়ের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে কেবল তাদের জনগণ। তারা ‘পুনর্মিলন’ ধারণা স্পষ্টভাবে নাকচ করেছে।

শির সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ট্রাম্প। বরং তিনি জোর দিয়েছেন দুই দেশের “অত্যন্ত দৃঢ়” সম্পর্কের ওপর এবং বলেছেন, একটি বিস্তৃত বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।

ট্রাম্পের বরাতে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুবই ভালো, এবং সেটি আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপানের জন্যও ভালো। আমরা জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও অনেক দেশের সঙ্গে অসাধারণ বাণিজ্যচুক্তি করেছি, আর বিশ্ব এখন শান্তিতে আছে। চলুন, এটাকে এমনই রাখি!

চীনের সঙ্গে বাড়তে থাকা বিরোধ নিয়ে ট্রাম্পের নীরবতা টোকিওতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে—বিশেষ করে বেইজিং তার নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শে পর্যটন খাতে ধাক্কা খাওয়ার পর এ উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায়।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, শির সঙ্গে গত মাসে অর্জিত নাজুক বাণিজ্যসমঝোতা রক্ষা এবং আসন্ন বেইজিং সফরের আগে যেকোনও বিরোধ এড়ানোতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশি মনোযোগী।

আমাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা হয়: রুক্মিণী

আমাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা হয়: রুক্মিণী

 


ওপার বাংলার অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। ইদানীং কলকাতার চেয়ে মুম্বাই তথা আরব সাগরের তীরেই যেন দেখা যাচ্ছে। ভক্তরা বলছেন, প্রিয় তারকাকে শহরে আগের মতো আর দেখা যাচ্ছে না। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে আসন্ন সিনেমা ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর প্রচারণায় এখন কলকাতাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রুক্মিণী।

বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার প্রচারণায় এসে বারবার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছেন অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। সিনেমার গল্প যেন তাকে বারবার ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাবার স্মৃতিতে।

মুম্বাই যাতায়াত নিয়ে চলা ফিসফাস প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী বলেন, ‘সবাই এখন আমার মুম্বাই যাতায়াত নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ানগরীর সঙ্গে আমার গভীর সংযোগ। বাবা বলতেন, পরীক্ষায় ভালো ফল করলে মুম্বাই নিয়ে গিয়ে মনের মতো জিনিস কিনে দেবেন।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি ও সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নই, কাজের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার ততটুকুই থাকি। এরপরও আমাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা হয়, তা আমার জানা নেই।’

বাবার মৃত্যুর পর মা মধুমিতা মৈত্রই ছিলেন রুক্মিণীর জগত। মা তাকে এবং ভাই রাহুলকে আগলে রেখেছেন বন্ধুর মতো। তবে নতুন সিনেমার গল্পটি রুক্মিণীকে ভাবিয়ে তুলেছে মায়ের একাকীত্ব নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে, বাবা-মা হওয়ার আগে তারাও মানুষ। তাদেরও নিজস্ব চাওয়া-পাওয়া থাকে। সব কথা কি আর সন্তানদের সঙ্গে বলা যায়? তাদেরও সঙ্গীর প্রয়োজন হতে পারে। পরিচালক অর্ণব সিনেমায় এই বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।’

তার কথায়, ‘মাঝে মাঝে ভাবি, আমার তো নিজস্ব জগত আছে, কাজ আছে, বন্ধুরা আছে কিন্তু মায়ের হয়তো একা লাগে। সব কথা কি তিনি আমার সঙ্গে ভাগ করতে পারেন?’

বছরের শুরুটা হয়েছিল ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ দিয়ে, আর শেষ হচ্ছে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ দিয়ে। ক্যারিয়ারের এই বাঁক বদল নিয়ে বেশ আশাবাদী রুক্মিণী। নেতিবাচক মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘হাজারটা ভালো মন্তব্যের ভিড়ে খারাপগুলোকে কেন গুরুত্ব দেব? আমি ইতিবাচক দিকটাই দেখতে চাই। মনে রাখবেন, আমি মেয়ে হতে পারি, কিন্তু বোকা মেয়ে নই।’

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে যা পান করবেন

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে যা পান করবেন

 

শীতকাল মানে তো বিয়েরও মৌসুম। বছর শেষ হতে চললো, আর একে একে বিয়ের দাওয়াতের তালিকাও বাড়তে থাকবে। বিয়ের বর কিংবা কনেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখতে লাগা চাই, তাই না? শীতের মৌসুমে আমাদের ত্বকের ওপর দিয়ে এমনিতেই অনেক ঝড়-ঝাপ্টা যেতে থাকে। তারওপর বিয়ে নিয়ে নানা চিন্তা-দুশ্চিন্তা, ঘুমের রুটিন এলোমেলো হয়ে যাওয়া, সেসব কিছুই ত্বকে বেশ প্রভাব ফেলে। বিয়ের দিন সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই নিতে হবে ভেতর থেকে যত্ন। কেমন? পান করতে হবে এমন কিছু পানীয় যেগুলো আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

আমলকির রস

আমলকি সেইসব বর কিংবা কনের জন্য একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেস হিসেবে কাজ করে যারা দৃঢ়, উজ্জ্বল এবং স্থিতিস্থাপক ত্বক চান। এর ভিটামিন সি স্তর কোলাজেনকে সহায়তা করে, যা ত্বকের দৃঢ়তার জন্য অপরিহার্য। আপনি বিয়ের দিন যেমন ত্বক দেখতে চান, তেমন ত্বকই এনে দেবে নিয়মিত এর রস পান করলে। উপকারী এই ফলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন গঠনে একটি চমৎকার অবদান রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তি দূষণ এবং চাপের কারণে সৃষ্ট রঞ্জকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

লেবু এবং হলুদ

চাপজনিত কারণে সৃষ্ট ব্রণ মোকাবিলাকারী কনেদের প্রায়শই এমন কিছু সহজ প্রয়োজন যা ত্বক এবং হজম উভয়কেই সহায়তা করে। এই লেবু এবং হলুদ উভয়ই এই কাজ করে। হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা সক্রিয়ভাবে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। লেবুতে ভিটামিন সি সরবরাহ করে যা কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং নিস্তেজ ভাব কমায়। এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে খেরে তা ত্বককে পরিষ্কার, সুষম এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

বিটরুট এবং গাজরের রস

কোলাজেন সাপোর্ট ঠিক হয়ে গেলে, অনেকে এমন কিছু খোঁজেন যা ক্লান্ত ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। বিটরুট এবং গাজরের মিশ্রণ সেইসব বর বা কনের জন্য আদর্শ যারা দীর্ঘ কর্মদিবস এবং একের পর এক বিয়ে সংক্রান্ত কাজের কারণে ক্লান্ত। বিটরুট এবং গাজরে বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট এবং আয়রন থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর রক্ত ​​সঞ্চালন বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশনকে সহায়তা করে। গাজরের ভিটামিন এ ত্বককে মেরামত করতে সাহায্য করে।

পানিফল খেলে হার্ট-লিভারের সুস্থতার পাশাপাশি আরও যা পাওয়া যায়

পানিফল খেলে হার্ট-লিভারের সুস্থতার পাশাপাশি আরও যা পাওয়া যায়

 

শীতকাল এসেছে, এবং এই মৌসুমে বাজারে পাওয়া যায় নানা ফলের মধ্যে অন্যতম হলো পানিফল। পানিতে জন্ম হওয়া এই ফলটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫৮৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এছাড়া এতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার আছে। এই সব উপাদান শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

মুম্বাইয়ের পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পানিফলের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরেছেন।

১. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

পানিফলে থাকা পটাশিয়াম অতিরিক্ত সোডিয়ামের প্রভাব কমায়, রক্তনালী শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

২. প্রদাহ কমাতে সহায়ক

ফলটিতে ফেরুলিক অ্যাসিড ও ফাইসেটিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য

পানিফল কম ক্যালোরি ও বেশি ফাইবারযুক্ত। এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪. শরীরে পানি সরবরাহ

ফলে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরের জল ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

৫. হজম শক্তি বৃদ্ধি

পানিফলের ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।

৬. লিভারের সুরক্ষা

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। এটি লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৭. ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সম্ভাবনা

ফলটির ফেরুলিক অ্যাসিড কিছু ধরনের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমাতে পারে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে, তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

পানিফল শুধু সুস্বাদু নয়, এটি শরীরের জন্য একাধিক উপকার বয়ে আনে। বিশেষ করে হৃদয়, লিভার এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এটি উপকারী হতে পারে।