Sunday, May 11

কানাইঘাটে ইউপি চেয়ারম্যানকে মা-র-ধ-র করে থানায় হস্তান্তর


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশ্য পুলিশ বলছে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  

স্থানীয়রা জানান, ‘রবিবার (১১ মে) দুপুরে ইউনিয়নের চটি গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যেতে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এসময় এলাকার মসজিদে গেলে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ তাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসে বেশ কিছু সময় কথাবার্তা হয়। এসময় সেখানে এলাকার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তার ভাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সহপাঠী। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব অত্যাচার করেছে এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা আছে। এলাকার মানুষ আফসার উদ্দিনকে ধরে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি তাকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রক্ষা করেছি।’  

ইউপি নির্বাচনের সময় আফসার উদ্দিন তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাকে কোনো সভা করতে দেওয়া হয়নি। আমার ব্যানার কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’

বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চটি গ্রামে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে জানিয়ে কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সায়েম বলেন, ‘কানাইঘাট সদর ইউপির চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।’ 


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়