Friday, September 1

কানাইঘাটের মরা আন্দু জলমহালের লীজ বাতিলের দাবিতে দরখাস্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক :

কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত মরা আন্দু গাং জলমহালের লীজ জনস্বার্থে বাতিল করার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে। 

গত ২৯ ও ২৮ আগস্ট পৃথকভাবে এলাকাবাসীর পক্ষে আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শরীফ উদ্দিন, শরিফুল হক, বাবুল আহমদ তাদের লিখিত দরখাস্তে উল্লেখ করেন, মরা আন্দু গাং জলমহাল (পুরাতন সুরমা নদী) এর সরকারি লীজ গ্রহীতা উপজেলার নারাইনপুর গ্রামের মৃত আতর আলীর পুত্র নারাইনপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন গং ২০২০ সালে জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী মরা আন্দু গাং জলমহালের ৮০ একর ভূমি ৬ বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে লীজ নেন। কিন্তু লীজ গ্রহীতা আজির উদ্দিন ইজারাকৃত জলমহালের নীতিমালা লঙ্ঘন করে জনৈক কয়ছর আহমদের কাছে জলমহাল সাব লীজ প্রদান করায় ইজারার ১০ ও ২৫নং শর্ত ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

লীজ গ্রহীতা আজির উদ্দিনকে ৮০ একর জলমহাল শ্রেণির সরকারি ভূমি লীজ প্রদান করা হলেও প্রভাবশালী গংদের সহায়তায় এবং নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে জলমহালের পাশে বসবাসরত নিরীহ লোকজনদের মামলা মোকদ্দমা দায়ের সহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে মরা আন্দু গাং জলমহালের ভাসমান অতিরিক্ত আরো অনুমানিক ৯২ একর ভূমি সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি জবর দখল করে তথা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ আহরণ ও শিকার করে আসছেন। 

দরখাস্তে আরো উল্লেখ করা হয়, সাবলীজ গ্রহীতা কয়ছর আহমদ অর্থ ও পেশী শক্তির বলে বেআইনী ভাবে প্রভাব খাটিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের অধিকার হরন করে জলমহালের অতিরিক্ত ৯২ একর জায়গা দখল করে সরকারের প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। এলাকার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন উক্ত জলমহাল পুকুর হিসেবে ব্যবহার করে আসলেও লীজগ্রহীতা ও সাবলীজ গ্রহীতারা মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে তাদেরকে জলমহালের পানি ব্যবহারে বাধা প্রদানসহ জলমহালের লীজবর্হিভূত ৯২ একর জায়গাসহ ভবানীগঞ্জ জুলাই খাল থেকে এলাকার মৎস্যজীবিদের মাছ ধরতে বাঁধা প্রদান করে আসছে। এলাকাবাসী এতে প্রতিবাদ করলে সাবলীজ গ্রহীতা একাধিক মামলার আসামি কয়ছর আহমদ, মাসুক উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন গংরা স্থানীয় লোকজনদের মাছ ধরার জাল ও নৌকা জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে নামে-বেনামে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। 

দরখাস্তকারীরা জলমহালের নীতিমালা স্পষ্ট ভাবে ভঙ্গ করায় মরা আন্দু গাং জলমহালের লীজ বাতিল এবং লীজ বর্হিভূত ৯২ একর জলমহাল ব্যবহারে স্থানীয় জনসাধারণ ও মৎস্যজীবিদের বাঁধা প্রদানকারী উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  

প্রসজ্ঞত যে, কানাইঘাট উপজেলার মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অনন্য সর্ববৃহৎ মরা আন্দু গাং জলমহালটি লীজ না দিয়ে লেক হিসেবে উন্মুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন সরকারের বিভিন্ন দফতরে দরখাস্ত দিয়ে আসলেও কোন প্রতিকার হয়নি।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়