Thursday, July 20

এডিস মশা ঠেকাতে এবার ‘বিটিআই’ পদ্ধতি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এডিস মশা নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে যেকোনো পরিবেশে। যদিও এ নিয়ে যথেষ্ট গবেষণারও ঘাটতি রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ের অনুমেয় ‘হটস্পট’ সামলাতে না পারলে আরও ছড়িয়ে পড়বে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। তাই এবার এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংসে বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) পদ্ধতির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বিশ্বে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এর ব্যবহার চলছে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বিটিআই মশার লার্ভা ধ্বংসে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে। যা প্রয়োগ করা হবে পানিতে। তবে এতে মানুষ ছাড়াও জলজ প্রাণীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না।

google news

দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় এর প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

মশার উৎপাত থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষা করতে এতদিন যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল তা ‘ভুল’ ছিল বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি শহরে গিয়ে মশা মারার যে পদ্ধতি শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতা ডিএনসিসিতে কাজে লাগাতে চান তিনি।

মেয়র জানান, আমরা এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ডিএনসিসিতে মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই। তারই অংশ হিসেবে বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) পদ্ধতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন থেকে বলা হচ্ছে, বিটিআই পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রাপ্তবয়স্ক মশাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবে উন্নত দেশগুলোর এই পদ্ধতিতে লার্ভা ধ্বংস হবে। এটি মশা, মাছি এবং অন্যান্য পতঙ্গের লার্ভা মেরে ফেলে। এতে মশার প্রাদুর্ভাব কমবে। সেই সঙ্গে দেশে চিকুনগুনিয়া, ইয়োলো ফিভার, ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাসের মতো সিজোনাল রোগও কমে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, বিটিআই পদ্ধতি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। মানুষ, পোষা প্রাণী বা অন্য প্রাণী ছাড়াও জলজ প্রাণী ও মৌমাছির জন্য এটি ক্ষতিকর নয়।

এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার জানিয়েছেন, হটস্পট তথা উৎসস্থল ধ্বংস করা গেলেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডেঙ্গু। এর জন্য লার্ভা ধ্বংস করা জরুরি। বিটিআই ব্যাকটেরিয়ার ক্রিস্টালগুলো মশার লার্ভা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে এবং এটি মশার মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে। এই পদার্থ লার্ভা মেরে ফেলে। এমনকি মৃত লার্ভাকে যদি জীবিত লার্ভা খেয়ে ফেলে, তাহলে সেই লার্ভাও একপর্যায়ে মারা যাবে। এভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লার্ভার জীবনচক্র ধ্বংস হবে।


সূত্র : ঢাকা মেইল


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়