Monday, December 1

কানাইঘাটে ছয়ফুল হ ত্যা: ইয়াবার ভাগ-বাটোয়ারায় র ক্তা ক্ত নিষ্পত্তি!


নিজস্ব প্রতিবেদক ::

য়াবা বিক্রির অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে ছয়ফুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত হত্যায় জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মৃত ছলু মিয়ার ছেলে ছয়ফুল ইসলাম, সাকিল আহমদ এবং সুমন আহমদ একসঙ্গে চোরাইপথে মাদক ইয়াবা সহ বিভিন্ন পণ্য দেশে এনে বিক্রি করত। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির দুই লক্ষ টাকা ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই ঘটে হত্যা।

রবিবার সন্ধ্যায় ছয়ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে সাকিল আহমদের বাড়ির বারান্দায় একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। এরপর টাকা লেনদেন নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাকিল ও তার সহযোগী সুমন ধারালো দা দিয়ে ছয়ফুলের মাথায় উপর্যুপরি কোপ মারলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

হত্যার পরদিন সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ছয়ফুলের স্বজনরা ও এলাকার কিছু চোরাকারবারী ক্ষুব্ধ জনতা সাকিলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সাকিলের পিতা আব্দুল হান্নান হানাইকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, নিহতের পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক হান্নান হানাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলছেন, কাড়াবাল্লা, রাতাছড়া ও আশপাশের সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও মারামারির ঘটনা ঘটছে বারবার।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়