Monday, October 14

৩৫০০ মোবাইলের মালিক এক ব্যক্তি (ভিডিও)

স্মার্টফোন ব্যবহার করা ছাড়া আমাদের নিত্যদিন কি কল্পনা করা যায়? এক সময় প্রয়োজনের তাগিদে একাধিক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হত। তবে একাধিক সিমযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আসায় এখন একটি ফোনেই হয়ে যায়। এখন নিত্য দিনের সব প্রয়োজনীয়তা একটি স্মার্টফোনেই মেটানো সম্ভব। তবে এই সময়ে কোনো ব্যক্তির কাছে যদি ১২৩১টি ভিন্ন ভিন্ন মডেলের সাড়ে তিন হাজার মোবাইল ফোনের সংগ্রহ থাকে, তাহলে সেটা অবাক করার মতো বিষয় বটেই। আর এই অবাক করার মতো কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন স্লোভাকিয়ার নাগরিক স্টিফেন পোলগারি। জানা গেছে, স্লোভাকিয়ার ছোট্ট শহর দোবসিনায় বাস করেন ২৬ বছর বয়সি পোলগারি। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল টেক হেডেড। তবে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের মধ্যে মোবাইল ফোনের প্রতি দুর্বলতা একটু বেশিই ছিল। ১৫ বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত ইন্টারনেটে নতুন নতুন মোবাইল ফোনের ইউজার রিভিউ (ব্যবহারকারীদের মতামত) দেখতো। এই দেখা থেকেই তার মনের মধ্যে পুরাতন মোবাইল ফোন সংগ্রহের শখ জাগতে শুরু করে। কিছু দিনের চেষ্টায় সে নকিয়া, অ্যালকাটেল, সাজেম, এরিকসনের মতো ব্র্যান্ডের বেশ কিছু পুরাতন ফোন সংগ্রহ করে ফেলে। এর কিছুদিন বাদে তার সামনে আসে এক দারুণ সুযোগ। তারই মতো এক শখের মোবাইল ফোন সংগ্রহকারী তার ১ হাজার ফোনের সংগ্রহশালাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। সুযোগটি হাত ছাড়া করেননি পোলগারি। অল্প কয়েক ইউরো খরচ করেই কিনে নেন ১ হাজার মোবাইল ফোন। কিন্তু এই সংগ্রহেও যেন মন ভরছিল না পোলগারির। কারণ তত দিনে তার শখ যে নেশায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তখনো সংগ্রহ করা হয়ে ওঠেনি। তিনি দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ শুরু করেন। এভাবে গত দশ বছরের প্রচেষ্টায় তিনি গড়ে তুলেছেন সাড়ে তিন হাজার মোবাইল ফোনের এক বিশাল সংগ্রহশালা। সারা বিশ্ব সাড়া জাগানো সকল ফোনই আছে পোলগিরির এই সংগ্রহশালায়। বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন। নিজের এই ভিন্নধর্মী শখ সম্পর্কে পোলগারি বলেন, ‘গত দুই দশকে মোবাইল প্রযুক্তি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সে বিষয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। এ আগ্রহ থেকেই আমার শখের এই সংগ্রহশালাটি গড়ে তুলেছি।’ তবে পোলগারি নিজের এই বিশাল সংগ্রহশালাটি শুধু নিজের জন্য সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তিনি তা সবার জন্ম উন্মুক্ত করে দিতে একটি মোবাইল ফোন জাদুঘর গড়ে তুলতে চান। এরই মধ্যে জাদুঘর তৈরির জন্য সনদপত্র পেয়ে গেছেন। পোলগারি এই জাদুঘর সম্পর্কে বলেন, আমার এই জাদুঘর থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে, কীভাবে গত কয়েক দশকে মোবাইল অ্যানালগ থেকে বহুমুখী ব্যবহার সুবিধা সম্পন্ন স্মার্টফোনে রূপান্তরিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়