Saturday, September 14

চুল পরিচর্যার জন্য ছিলো তার সাতজন বিউটিশিয়ান, অবশেষে মাথায় একটি চুলও রইল না

ফিচার ডেস্ক::

চুল সৌন্দর্যের প্রতীক! চুল ছাড়া কি নারীর সৌন্দর্য ফুটে ওঠে! সব নারীই তার চুল বিশেষভাবে পরিচর্যা করে থাকেন। তাই বলে সাতজন বিউটিশিয়ান, তাও আবার একজনের চুলের জন্যই। হইহই কাণ্ড, রৈরৈ ব্যাপার। 

বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, ফ্যাশন ব্লগার, সেলিব্রেটি লেখক কিরজেইডা রডরিগুয়েজ ক্যান্সারে (৪০ বছর বয়স) মারা যান। মৃত্যুর আগে নিজেকে নিয়ে লিখে যাওয়া তার শেষ নোটটি পাঠকদের জন্য দেয়া হল।
‘পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ব্রান্ডের গাড়িটি আমার গ্যারাজে পড়ে আছে। কিন্তু আমাকে বসে থাকতে হয় হুইল চেয়ারে। সব রকমের ডিজাইনের কাপড়, জুতো, দামি জিনিসে আমার গৃহ ভরপুর। কিন্তু আমার শরীর ঢাকা থাকে হাসপাতালের দেয়া সামান্য একটা চাদরে। ব্যাংক ভর্তি আমার টাকা। 
সেই টাকা এখন আর আমার কোনো কাজে লাগে না। প্রাসাদের মতো আমার গৃহ কিন্তু আমি শুয়ে আছি হাসপাতালের টুইন সাইজের একটা বিছানায়। এক ফাইভ স্টার হোটেল থেকে আরেক ফাইভ স্টার হোটেলে আমি ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু এখন আমার সময় কাটে হাসপাতালের এক পরীক্ষাগার থেকে আরেক পরীক্ষাগারে।
কত শত মানুষকে আমি অটোগ্রাফ দিয়েছি- আর আজ ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশনটাই আমার অটোগ্রাফ। ব্যক্তিগত জেটে আমি যেখানে খুশী, সেখানেই উড়ে যেতে পারতাম। কিন্তু হাসপাতালের বারান্দায় যেতেও এখন আমার দু’জন মানুষের সাহায্য নিতে হয়। পৃথিবীব্যাপী ভরপুর নানা খাবার আর পানীয় থাকলেও দিনে দু’টো পিল আর রাতে কয়েক ফোঁটা স্যালাইন আমার খাবার। 
আমার চুলের সাজের জন্য সাতজন বিউটিশিয়ান ছিলো-আজ আমার মাথায় কোনো চুলই নেই। এই গৃহ, এই গাড়ী, এই জেট, এই আসবাবপত্র, এতো এত ব্যাংক একাউন্ট, এতো সুনাম আর এত খ্যাতি এগুলোর কোনো কিছুই আমার আর কোনো কাজে আসছে না। এগুলোর কোনো কিছুই আমাকে একটু আরাম দিতে পারছে না। শুধু দিতে পারছে- প্রিয় কিছু মানুষের মুখ, আর তাদের স্পর্শ।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়