Sunday, September 29

ঢাকাই ছবিতে বলিউডের পূজা চোপড়া!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের গুণী নির্মাতা সি.বি. জামান তিন দশক পর আবারো নির্মাণে ফিরছেন। সম্প্রতি প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ‌‘এসএইচকে গ্লোবাল’ এর ‘এডভোকেট সুরাজ’ নামের চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। এর নাম ভূমিকায় দেখা যাবে ‘হৃদয় রংধনু’ খ্যাত অভিনেতা শামস হাসান কাদিরকে। এতে তার বিপরীতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী পূজা চোপড়া।

সম্প্রতি ‘কমান্ড’ খ্যাত বলিউডের এ অভিনেত্রী সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক ও অভিনেতা শামস হাসান কাদির ও বলিউডের জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক মাস্টার সৌরপ।
এ সময় পূজা চোপড়ার একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, সবার জন্য দারুণ একটা সংবাদ হচ্ছে, আমি বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছি। এর নাম ‘অ্যাডভোকেট সুরাজ’। এটি পরিচালনা করছেন গুণী নির্মাতা সি.বি. জামান এবং প্রযোজনা করছে এসএইচকে গ্লোবাল। সবার সঙ্গে খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে।  
পূজা চোপড়া ২০০৯ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার মুকুট জেতেন। ২০১১ সালে তামিল সিনেমা ‘পোন্নার শঙ্কর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। বলিউডে ‘ফ্যাশন’ ও ‘হিরোইন’ সিনেমায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ জামওয়ালের বিপরীতে ‘কমান্ড’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। এছাড়া গত বছর ‘আইয়ারী’ সিনেমাতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
তিন দশক পর ছবিটি নির্মাণের প্রসঙ্গে নির্মাতা সি.বি. জামান বলেন, আমার মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি কুসুম কলি, যেটা ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়েছে। এরপর অনেক প্রযোজকই আমার কাছে এসেছে ছবি বানানোর জন্য তবে সেগুলোর গল্প এবং প্ল্যান আমার পছন্দ না হওয়ার কারণে এতোদিন ছবি পরিচালনা করিনি। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির প্ল্যান এবং ‘এডভোকেট সুরাজ’ চলচ্চিত্রের গল্প আমার কাছে ভালো লাগায় আবারো ৩০ বছর পর পরিচালনা শুরু করলাম।
নির্মাতা সি.বি. জামান ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৬৬ সালে লাহোর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে হিসেবে। ১৯৭৩ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময়ে তিনি নির্মাণ করেন একে একে ঝড়ের পাখি (১৯৭৩), উজান ভাটি (১৯৮২), পুরস্কার (১৯৮৩), শুভরাত্রি (১৯৮৫), হাসি (১৯৮৬), লাল গোলাপ (১৯৮৯) ও কুসুম কলি'র (১৯৯০) মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র। এরমধ্যে শুভরাত্রি ছবিটি ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি ১৯৮৬ সালে ৯টি ক্যাটাগরির ভেতরে ৬টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও  বাচসাস পুরস্কারে ভূষিত হয়।
এছাড়া এ নির্মাতা খান আতাউর রহমান ও তাহের চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘প্রমোদকার’ চলচ্চিত্র গোষ্ঠী। এই প্রমোদকার নামেই তারা একত্রে পরিচালনা করেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ৪ চলচ্চিত্র- ত্রিরত্ন (১৯৭৪), সুজন সখী (১৯৭৫), দিন যায় কথা থাকে (১৯৭৯) ও হিসাব-নিকাশ (১৯৮২)।
 সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়