Sunday, April 22

কানাইঘাটে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় আদালতে সাবুল ডাকাতের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট সদর ইউ.পির ছোটদেশ গ্রামের আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতি ও তার ছেলে ইফজাল উদ্দিনকে ডাকাতরা গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত কুখ্যাত ডাকাত সাবুল আহমদ (২৭)। গত শনিবার ধৃত ডাকাত সাবুল আহমদ কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) নুনুমিয়া, সিলেটের নিম্ন আদালতে হাজির করলে সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতি ও তার ছেলে ইফজাল উদ্দিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে ডাকাত সাবুল আহমদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে বলে ওসি (তদন্ত) নুনুমিয়া "কানাইঘাট নিউজকে" জানান। এছাড়া ডাকাত সাবুলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে সেই সূত্র ধরে হত্যা ও ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জকিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব খালপার গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের পুত্র একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী সাবুল ডাকাত কে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় কানাইঘাট থানা পুলিশ তার শ্বশুড়বাড়ী কানাইঘাটের দূর্গম কেড়কেড়ি কেউটিহাওর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীর সূত্র ধরে আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত কুখ্যাত ডাকাত দুলাল মিয়া বক্কর কে গ্রেপ্তার করার জন্য কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত শুত্রবার রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউ.পির বিলবাড়ি গ্রামের এনাম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দুলাল মিয়া বক্কর কে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও তার বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে একটি বিদেশী তৈরী পাইপগান, কয়েক রাউন্ডগুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন। এসময় এনাম মিয়ার বাড়িতে ভাড়াঠিয়া হিসাবে বসবাসরত বিয়ানিবাজার উপজেলার জলডুবা গ্রামের আন্তঃজেলা কুখ্যাত ডাকাত দুলাল মিয়া বক্করের স্ত্রী সীমা বেগম (২৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতি ও তার পুত্র কে হত্যার ঘটনায় সাবুল ডাকাত ও নিহতের ফুফাতো ভাই একই গ্রামের সাবেক ইউ.পি সদস্য আফতাব উদ্দিনের পুত্র নাজিম উদ্দিন কে গ্রেপ্তার করা হল।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়