Sunday, February 25

কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকা আজ রবিবার পরিদর্শন করেছেন, খনিজ সম্পদ ব্যুরো,সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। লোভাছাড়া পাথর কোয়ারির লিজ বর্হিভূত মেছার চর এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় মেছারচর গ্রামসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির সম্মুখীন এমন অভিযোগ এনে মেছারচর গ্রামবাসীর পক্ষে স্থানীয় ইউ.পি সদস্য আব্বাস উদ্দীন সম্প্রতি মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য বিচারক বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য খনিজ সম্পদ ব্যুরো পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের পরিচালক ও সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করেন। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রবিবার বিকাল ২টায় তদন্ত কমিটির প্রধান, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের পরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, কমিটির সদস্য খনিজ সম্পদ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোঃ আলমগীর কবির ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আব্দুল্লাহ সরেজমিনে মেছারচর ও পাথর কোয়ারির সতিপুর, বাজেখেল, ভালুকমারা, কান্দলা, সাউদগ্রাম ও পশ্চিমপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেন এবং পাথর কোয়ারির বর্তমান কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি লুসিকান্ত হাজং ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। কোয়ারি এলাকা পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিটের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখানে এসেছি, এর বেশি কিছু বলা যাবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তকালে কমিটির কর্মকর্তারা লোভাছড়া পাথর কোয়ারির এলাকার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতবাক হন। কোয়ারিতে ইজারার শর্ত লঙ্গন করে শত শত বিশাল আকৃতির গভীর গর্ত ও লোভা নদীর উভয় পার কেটে পাথর উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে তারা মনে করেন। এছাড়া কোয়ারির বর্তমান অবস্থার সার্বিক রিপোর্টও তৈরি করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এখন থেকে কোয়ারির সার্বিক বিষয় তদারকীর জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইবতিজা হাসান নামে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক সেখানে অবস্থান করবেন বলে নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা জানান। এদিকে গত শনিবার কোয়ারির একটি গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন কালে ফরমান উল্লাহ নামক এক পাথর শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর আজ রবিবার খনিজ সম্পদ ব্যুরো, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কোয়ারিতে আসছেন এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা গা ঢাকা দেন এবং কোয়ারি থেকে যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলা হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়