Tuesday, March 14

কানাইঘাট লোভাছড়া কোয়ারীতে টাস্কফোর্সের অভিযানে১০টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে এই প্রথম বারের মতো টাস্কফোর্সের অভিযান হয়েছে। সিলেটের কোম্পানী ও জাফলংসহ অন্যান্যে পাথর কোয়ারীতে বেশ কয়েকবার টাস্কফোর্সের অভিযানে বোমা মেশিন ও যান্ত্রিক চালিত পাথর উত্তোলনের যন্ত্রপাতি ধ্বংশ করা হলে কখনো সীমান্তবর্তী কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযান হয়নি। গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, সিলেটের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মর্তাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলাবাহীনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কোয়ারীতে টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অবৈধ ভাবে পরিবেশ বিধ্বংশী কর্মকান্ড চালিয়ে পাথর উত্তোলনের দায়ে ১০টি সেলোমেশিন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে কোয়ারী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে কোয়ারীতে টাস্কফোর্সের অভিযানের পর পুণরায় শত শত স্যালো মেশিনের সাহায্যে এবং বড় বড় গর্ত থেকে আবারো পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী পাথর খেকোরা আইন কানুনের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে কোয়ারী এলাকায় পরিবেশ বিধ্বংসী তৎপরতা চালাচ্ছে। গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহছিনা বেগম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন আচার্য্য, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) আমিনুল ইসলাম সরকার, সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল মনসুর, কানাইঘাট থানার অফিসার ইন্চার্জ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে শতাধিক পুলিশ ও বিজিবি এই যৌথ অভিযানে ইজারার শর্ত অমান্য করে স্যালো মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলনের দায়ে স্থানীয় সাউদ গ্রামের শরীফ উদ্দিন, ছয়দুর রাহমানের পুত্র মাতাই, কান্দলা গ্রামের বিলাল আহমদ, আব্দুল্লাহ, আম্বিয়া, ফয়জুল্লাহ, বাজেখেল গ্রামের বজলু মিয়া, মৃত ছয়ফুল হকের পুত্র শামসু, সতিপুর গ্রামের শমসের আলম, ভালুকমারা গ্রামের ছয়ফুল আলম, সাদ্দাম হোসেন, মালিক, হাজী কামাল, ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন, বায়মপুর গ্রামের ডাক্তার এখলাছ মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন এবং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিনের মালিকানাধীন পরিবেশ ধ্বংসকারী ১০টি স্যালো মেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যার ফলে লোভানদীর উভয় তীর এবং সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন কোয়ারী এলাকায় মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও অদ্যবধি পর্যন্ত অবৈধ ভাবে ইজারার শর্ত লংগন করে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রসংঙ্গগত যে, অপরূপ সৌন্দযের্র লীলাভূমি লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে ইজারার শর্ত অমান্য করে একটি প্রভাবশালী চক্র কোয়ারী এলাকায় একাদিক বড় বড় গর্ত তৈরি করে পাথর উত্তোলন করায় যে কোন সময় কোয়ারীতে বড় ধরনের প্রান হানী এবং পরিবেশের মারাত্তক বিপর্যয় গঠতে পারে। এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহছিনা বেগম জানিয়েছেন আমি কানাইঘাটে যোগদান করার পর থেকে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে যাতে করে কোন ধরনের বেআইনী তৎপরতা কেউ করতে না পারে এজন্য তৎপর রয়েছি। কোয়ারী এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়