Friday, July 29

ফোন করে মাদক কারবারির ফাঁসি ঠেকালেন নওয়াজ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় বন্ধ হলো এক পাকিস্তানি মাদক চোরাকারবারির ফাঁসি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্য অপরাধীদের সঙ্গে পাকিস্তানি নাগরিকেরও ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার আগ মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ফোন পেয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ তাকে ক্ষমা করে দেয়। এর ফলে ফাঁসির মঞ্চ থেকে শেষ মুহূর্তে ফিরে আসে ওই পাকিস্তানি অপরাধী। আজ সকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে এক টুইট বার্তায় তার পিতার এই হস্তাক্ষেপের কথা প্রকাশ করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ টুইট বার্তায় জানান, শেষ মুহূর্তের তাঁর বাবার(নওয়াজ শরীফ) সরাসরি হস্তক্ষেপে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জুলফিকার আলির মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করেছে। ইন্দোনেশিয়ায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে ১৪ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে চার জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। বাকি ১০ জনকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেয় এবং এই ১০ জনের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে। খবর ডন নিউজের। বৃহস্পতিবার মাদক চোরাচালানের অভিযোগে রাতে একজন স্থানীয় এবং তিন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর রাচমাড জানান, মাঝরাতে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রভাবশালী পত্রিকা জাকার্তা পোস্ট তাদের প্রিন্ট সংস্করণে ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা প্রকাশ করলেও আসলে কার্যকর করা হয়েছে চার জনকে। তবে জাকার্তা পোস্টের অনলাইন সংস্করণে এই ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করা হয়েছে। পাকিস্তানের নাগরিক জুলফিকার আলির পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার লাহোরে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। পাকিস্তান সরকার আলি মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। চলতি সপ্তাহে ইসলামাবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিন্তু কোনো কিছুতেই ফাঁসি কার্যকর থামানো যাচ্ছিল না। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ফোন করে ফাঁস ঠেকাতে সক্ষম হন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়