Sunday, February 28

কোরআন গতানুগতিক কোনো গ্রন্থ নয়


ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র কোরআনে কারিম মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। আল্লাহ তায়ালা এতে মুসলমানদের জীবনযাপনের যাবতীয় পদ্ধতি মৌলিকভাবে বলে দিয়েছেন। হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে কোরআন সরাসরি রাসুল (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর রাসুল (সা.) তা সাহাবায়ে কেরামকে পাঠ করে শুনিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তা অবিকৃতভাবে আমাদের কাছে পর্যন্ত পৌঁছেছে। পৃথিবীতে একমাত্র গ্রন্থ যাতে আজ পর্যন্ত বিন্দুমাত্রও বিকৃতি আসেনি। সেই কোরআন বোঝার প্রথম ধাপ হলো তা সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়া। আর কোরআন বোঝার জন্য কোনো শিক্ষক বা মুরব্বির প্রয়োজন। কোনো শিক্ষক ছাড়া সঠিকভাবে কেউ কোরআন বুঝতে পারবে না। নবী করিমকে (সা.) পাঠানোর অন্যতম উদ্দেশ্য মুমিনদের কিতাবের তালিম দেয়া। কাকে তালিম দেবেন? আবু বকর সিদ্দিক, ওমর ফারুক, ওসমান গনি ও আলীকে (রা.)? তাঁরা কি আরবি ভাষা জানতেন না? তাদের প্রত্যেকেই তো আরবি ভাষায় এক একজন পণ্ডিত ছিলেন। সুতরাং আরবি ভাষা শেখার জন্য বা এর অনুবাদ জানার জন্য কোনো শিক্ষকের প্রয়োজন ছিল না অথচ নবী করিমকে (সা.) আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন কিতাবের তালিম দেয়ার জন্য। এর দ্বারা জানা গেল নিছক তরজমা জেনে নেয়ার দ্বারা কিতাবুল্লাহ বুঝে আসবে না, এর দ্বারা কোরানের ইলম হাসিল হবে না। অনেকেই বলেন আমার কোনো শিক্ষকের দরকার নেই, আল-কোরআনের অনুবাদ দেখেই আমি কোরান বুঝে নেব। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা, কোন কোরআনের তালিম দেয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা নবী করিমকে (সা.) দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন? তিনি ৩৩ বছর পর্যন্ত তালিম দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম এর ওপর নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাবেয়ীনরা এটা সংরক্ষণ করে আমাদের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এসব বিষয়কে পাশ কাটিয়ে কেউ কেউ বলে আমাদের এসব বিষয়ের দরকার নেই। আমি যা বুঝব এটাই হলো সহিহ। তাহলে তাদের চেয়ে বড় গণ্ডমূর্খ আর কে হতে পারে? কোরআনের প্রথম হক হলো তা বিশুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা। এরপর মুরব্বির মাধ্যমে তা বোঝা। তবে এরও আগে দরকার আখলাকের পরিশুদ্ধি। কারণ কোরআন একটি নূর। আখলাকের পরিশুদ্ধি ছাড়া কোনো নূর ভেতরে ঢুকতে পারে না। মনে রাখতে হবে, কোরআন গতানুগতিক কোনো গ্রন্থ নয়। গতানুগতিক ধারায় পড়লে তা বুঝে আসবে না। এ জন্য কোরআন শিখতে এবং বুঝতে হবে শরিয়তের নির্দেশিত পন্থায়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়