Wednesday, July 15

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ যে রাত


মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান: সম্মানিত মুসলি্ল! আল্লাহ তায়ালার দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি আমাদের একটি বছর পর পবিত্র মাহে রমজানে লায়লাতুল কদর দান করেছেন। ইসলামে লায়লাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত সীমাহীন। পুরো জাহানের হেদায়েত ও কল্যাণের জন্য নাজিলকৃত আল কোরআন এ রাতেই নাজিল শুরু হয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর কদর নামে পূর্ণাঙ্গ একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। হাদিসেও এ রাতের বহু ফজিলত ও গুরুত্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, 'যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদরে ঈমান ও সওয়াবের নিয়তে ইবাদতের জন্য দাঁড়াবে তার পেছনের গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।' (বোখারি)। প্রিয় নবী (সা.) আরও এরশাদ করেছেন, 'তোমাদের কাছে এ মাস (রমজান) এসেছে। এ মাসের মধ্যে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাত থেকে মাহরুম হবে সে সমগ্র কল্যাণ ও বরকত থেকে মাহরুম হবে। এর কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগা লোক ছাড়া আর কেউ মাহরুম হয় না।' (ইবনে মাজাহ)। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, 'কদরের রাতে হজরত জিবরাঈল (আ.) একদল ফেরেশতা নিয়ে দুনিয়ায় অবতরণ করেন। তারা সেসব লোকের জন্য দোয়া করতে থাকেন, যারা এ রাতে দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে।' (বায়হাকি, তাফসিরে ইবনে কাসির)। সুপ্রিয় মুসলি্লরা! লায়লাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে হতে পারে। তবে ২৭ তারিখেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে শুধু ২৭ তারিখের আশা করে বসে থাকলে চলবে না। বরং শেষ দশকের বেজোড় রাতেই তা তালাশ করতে হবে। আর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলো অবহেলায় না কাটিয়ে, মার্কেটে না ঘুরে ইবাদতে অতিবাহিত করা। অপরদিকে একটি সুন্দর জীবন গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গোনাহর কথা স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে খালেস দিলে তওবা করা। পাশাপাশি দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি কামনা ও কবরবাসীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা উচিত। গ্রন্থনা : বায়েজীদ হোসাইন

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়