Wednesday, July 15

সামিউল হত্যা মামলায় ময়না রিমান্ডে




কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটে আদালত-২ এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে। তবে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি আলী হায়দার ওরফে আলী এখনো গ্রেফতার হয়নি। শিশু রাজনকে সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও এলাকায় চোর অপবাদ দিয়ে গত বুধবার সকালে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর পর মাইক্রোবাসে করে লাশ গুমের চেষ্টাকালে মুহিত আলম (৩২) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হল— মুহিত আলমের ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫)। এ ছাড়া তাদের আরেক সহযোগী ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে। তবে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি আলী হায়দার ওরফে আলী এখনো গ্রেফতার হয়নি। পৈশাচিক ও নির্মম নির্যাতনে নিহত শেখ সামিউল আলম রাজন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাসচালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষে বাবার সঙ্গে পরিবারের হাল ধরে ১৩ বছরের শিশু রাজন। বুধবার ভোরে স্থানীয় টোকেরবাজার থেকে সবজি কিনে ভ্যানে করে বিক্রি করার জন্য বাসা থেকে বের হয় শিশুটি। পরে কুমারগাঁও এলাকায় তাকে চোর অপবাদ দিয়ে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রেফতার আসামিরা। এ সময় শিশু রাজন হত্যাকারীদের কাছে পানি চাইলে তাকে শরীরের ঘাম খেতে বলে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই মৃত্যু হয় রাজনের। এমনকি হত্যাকাণ্ডের সেই ভিডিওচিত্র হত্যাকারীদের একজন মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে এই ঘটনা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়