Saturday, March 14

অভিজিৎ হত্যায় পুলিশের ভূমিকায় এইচটি ইমামের ক্ষোভ


ঢাকা: বইমেলা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। ‘দায়িত্বে গাফিলতির’ জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বক্তব্যে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা। ‘জার্নি’ নামে একটি বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এইচটি ইমাম বলেন, “আমি অনেকগুলো কেসের কথা জানি, যেখানে কর্তব্যরত পুলিশকে বলা হয়েছে- ওমুক জায়গায় ঘটনা ঘটছে একটু সহযোগিতা করুন। তারা আসেন নাই।” তিনি বলেন, “যারা করছে না, আমি ধরে নিব, তারা এই সার্ভিসের ‘ব্ল্যাকশিপ’। এদেরকে খুঁজে বের করুন, শাস্তি দিন। তাহলে পুলিশের ওপর গণমানুষের আস্থা ফিরে আসবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনও হবে না।” প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসির উত্তর পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক অভিজিৎ রায়কে। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপরও হামলা হয়। অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যার সময় পুলিশ কাছাকাছি অবস্থানে থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেও হামলাকারীদের ঠেকাতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন বন্যা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইজিপি শহীদুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, শহীদ পুলিশকন্যা ফারজানা শাহনাজ মজিদ প্রমুখ। জার্নির প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়