Monday, November 3

বেনাপোলে হরতালে ক্ষতি ৩৩ কোটি টাকা


বেনাপোল প্রতিনিধি : হরতালে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপি জামায়াতের ডাকা তিন দিনের হরতালে বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে আমদানি ও রপ্তানিকারকরাসহ বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ্ব মহাসিন মিলন। বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল থাকলেও পন্যবাহি ট্রাকসহ দুরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বন্দরে সহ¯্রাধিক আমদানি পণ্যবাহি ট্রাক ও পরিবহন আটকা পড়েছে। পন্যজটের সৃষ্টি হচ্ছে বন্দরে। এদিকে বন্দর সড়কে দাড়িয়ে আছে শতাধিক পন্যবাহি ট্রাক। হরতালের কারণে বন্দর থেকে কোন আমদানিবাহি ট্রাক ছেড়ে না যাওয়ায় কোট কোটি টাকার ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে আমদানি-রফতানিকারকসহ বন্দর ব্যাবহারকারী বিভিন্ন প্রষ্ঠিানের। দেশের শিল্প কলকারখানাগুলো কাচামালের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এদিকে বন্দর অভ্যন্তরে ঢিমেতালে চলছে পন্য লোড-আনলোডের কাজ। বন্দরে আটকা রয়েছে শত শত দূর পাল্লার পরিবহনসহ পন্যবাহি ট্রাক। তবে হরতালেও বন্দর থেকে পন্যপরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বন্দর পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন। তিনি বলেন, বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক আছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৭৬ ট্রাক পন্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজন বলেন, হরতালে বেনাপোলে আমদানি রফতানি হচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশের অভ্যন্তরে দুর পাল্লার পরিবহনসহ কোন আমদানিবাহি ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে না। বাড়ছে গোডাউন ভাড়া। এর প্রভাব পড়বে দেশের বাজারে। গ্রিন লাইন পরিবহনের সহকারি ড্রাইভার জাহিদুর রহমান বলেন, হরতালের কারনে রোড পরিবহন চালানো যাচ্ছে না। ভাংছে গাড়ী। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। হরতাল চাননা পরিবহন শ্রমিকরা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়