Thursday, October 30

ক্যাসার বা কার্সিনোমা Cancer or Carcinoma


ডা. মতিউর রহমান পাটওয়ারী M.D.H (U.S.A)PH.D(U.S.A) D.H.M(D.K) কারন, লক্ষণ,প্রতিকার :- ক্যান্সার বা কার্সিনোমার কারণ-মানব শরীরের অভ্যন্তরে যে কোন স্থানে এক প্রকার ফাইব্রয়েড ( Fibroyed) পাদার্থ জামিয়া তাহা ক্রমশ বৃদ্ধি পাইতে থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ঐ বৃদ্ধির মধ্যে নানা প্রকারে বিচ্ছিন্ন নিউক্লিয়াই সেল থাকে যাহা সহসা বৃদ্ধি পাইয়া তাহাতে রক্তবাহী টিসু (Lypatic Vassel ) আক্রন্ত হইয়া নানা স্থানে এক প্রকার নতুন অর্বুদ উৎপন্ন হইয়া ক্রমশ ক্ষত হয়। ইহাতে শরীরের ক্ষয় শরীর শুস্ক ও অত্যন্ত দূর্বল হইতে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালনে (Blood Circulation)বাঁধা পাড়িয়া শরীর নষ্ট বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধবংস করে মারাত্বক আকার ধারণ করে । ক্যাস্নার এক প্রকার দুরাগ্য ব্যাধি যাহার চিকিৎসা নাই বলেলেই চলে। তবে সময় মত প্রাথমিক পর্যায় ভাল চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসায় অনেক সফলতা পাওয়ার রেকর্ড বা তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। ক্যান্সার শরীরের যে কোন স্থানেই হতে পারে তার মধ্যে সাধাারণত আমরা দেখতে পাই যকৃত বা ( Liver ) ফুসফুস বা (Lung) মুত্রযন্ত্র বা (kindney) জরায়ু বা (Uters)পাকস্থালী বা (Stomach) জ্বিহবা বা index (Tongue) পিত্তথলী বা (Gall Bladder) অন্ত্রের বা (Intestines) মলদ্বার বা (Rectum) স্বরযন্ত্র বা (Rectum)ব্রেষ্ঠ বা (Breast) অস্থির বা (Bone) সচরাচর উপরে বর্ণিত শরীরের স্থান সমুহে ক্যান্সারের আভাস বা এ সকল স্থানে ক্যান্সার হতে দেখা যায়। জানা মতে ক্যান্সার বা কার্সিনোমা সর্ম্পকে বিস্তারিত লিখতে গেলে অনেক সময়েরে প্রয়োজন এবং সম্মানিত পাঠক বৃন্ধ অধ্যয়নে হয়তো বিরক্তি বোধ করতে পারেন। তাই ভাবছি এখন থেকে নিয়মিত প্রতি মাসে ১টি বা ২টি করে হোমিও দর্পনে ক্যান্সারের উপর লেখা থাকবে। লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার (Carcinoma Hepatitis) যকৃতের বা লিভারের ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তাঁর মধ্যে করেকটি উল্লেখযোগ্য যেমন:- মেডুলারি বা এনকেফ্যালয়েড (Medullary or Encephaloid) ক্যান্সার এ জাতীয় ক্যান্সার সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় প্রায়ই হইয়া থাকে। ইহার রঙ বা Color দেখতে সাদা এবং তাহার মধ্যে এক প্রকার চর্বি জাতীয় পদার্থ থাকে। কখনো ইহার সহিত রক্ত মিশ্রিত থাকায় ইহা লাল বর্ণ দেখায় এবং কখনো Rigment বা এক প্রকার রঞ্জিত পদার্থ সংযুক্ত হওয়ায় কালো বর্ণ দেখায়। লিভার পরিক্ষায় Ultrasonography ev HBASAG Confirmatory করালে লিভারের অবস্থা পুরোপুরি বুঝা যায়। এই পীড়ায় আক্রান্ত হলে লীভার শক্ত ও অনেক বড় Factuation বা তরল পদার্থের সঞ্চালন পাওয়া যায়। ক্যান্সার আকারে ইহা কখনো ধীরে ধীরে বা খুব শীগ্র শীগ্র বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। মেডুলারি বা এনকেফ্যালয়েড ক্যান্সারের কারণ সঠিক তথ্য নির্ণয় খুবই কঠিন, যাহা চিকিৎসা বিজ্ঞানে লিভারের সাংঘাতিক পীড়া বলে উল্লেখ রয়েছে এবং প্রাথমিক অবস্থায় জন্ডিসবা নেভায় আক্রান্তদের ইতিহাস পাওয়া যায় আবার দেখা যায় স্তনের বা Breast Cancer থেকে লিভার ক্যান্সার হতে দেখা যায়। সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৩৫ বছরের পূর্বে এ জাতীয় রোগ দেখা যায় না। এ জাতীয় ক্যান্সারের লক্ষণ:- ১. লিভারের বৃদ্ধি, লিভার খুব বড় হয়। উপরের কুক্ষিদেশেও নিম্ন পাকস্থলী পর্যন্ত হয়, আমার জানা মতে Colloid Liver পীড়া ছাড়া অন্য কোন পীড়ায় লিভারের আকার এত বড় হয় না । এ জাতীয় রোগী রক্ত শূন্যতা হয়ে শীর্ণ হয়ে আসে। ২. লিভারের স্থানে স্পর্শ কাতরতা বেদনা যাহা সর্বদাই থাকে। উক্ত বেদনা পৃষ্ঠে, মেরুদন্ডে এবং লিভারের অন্যান্য পীড়ার মত কাধ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ৩. জন্ডিস বা ন্যাভা, টিউমার পিত্ত প্রবাহনালীর সহিত সংযুক্ত থাকিলে জন্ডিস হয়। যাহাতে গায়ের রঙ হলুদ বা পাঙ্গাস বর্নধারন করে। শরীর শুস্ক হয় এবং সুক্ষ আসের মত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়। ৪. জল উদরী (Ascites) যাহা ক্যান্সার বড় রকম ধারণ করলে তাহার চাপে লিভার ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাঁধা পড়ে তাহাতে শরীর ফুলিয়া General Dropsy তে পরিনত হয়। ৫. গরহজম সহ অম্লের পীড়ার লক্ষণ যাহা Gastric Symptoms প্রকাশ পায়। ৬. প্লীহা তেমন বাড়ে না মানে খুবই Rearly Enlaged । ৭. জ্বর তেমন থাকে না যদি থাকে তাহলে বুঝতে হবে অন্য কোন রোগ সংযোগ হইয়াছে। রক্ত স্রাব বা Haemorrhages এই পীড়ার বর্ধিত অবস্থায় ক্যান্সারের টিউমার হইতে উদরের মধ্যে দিয়ে পাকস্থলী ও অন্ত্রের মধ্য দিয়া নাসিকা মুখ, যৌনিদ্বার দিয়ে প্রস্রাবে প্রায়ই কিছু গোলেযোগ দেখা ও রক্ত স্রাব হইতে দেখা যায়।উপরে বর্ণিত ক্যান্সার ছাড়াও, আরও ২প্রকারের লিভার ক্যান্সার দেখা যায়। ১. এলভিওলার ক্যান্সার (Alveolar Cancer) এ জাতীয় ক্যান্সার বর্তমানে প্রায় দেখা যায় না এটি জেলির মত এক প্রকার পদার্থ এরিওলার টিসু বা জলবৎ ঝিল্লীর মধ্যে জন্মায় এবং যেখানে পোটাল ভেইন বা যকৃত ধমনী যেখানে শাখা বিস্তার করিয়াছে তাহার চারি পাশ্বে হয়্। ২. কার্সিনোমা ফ্যাসিকুলেটাম (Carcinoma Faciculatum) এ জাতীয় লিভার ক্যান্সার সাধারণত সংখ্যায় খুবই কম বা অল্প দেখা যায় ইহা দেখিতে লাল হরিদ্রা মিশ্রিত রঙের মত, যাহা দেখতে কাঁচের মত স্বচ্ছ একটা পিন্ডের মত পদার্থ যাহাকে Transparent Mass বলা হয়। যাহার উপর ফাইব্রস টিসু সমুহের দ্বারা আবৃত থাকে। এই কয়টি লক্ষণে রোগ নির্বাচিত হয়। এ জাতীয় ক্যান্সার বর্তমানে গুটি কয়েক জনের মধ্যে দেখাতে পাওয়া যায় যাহা অতি অল্প সময়ে নির্বাচিত হোমিও প্যাথিক ঔষধে নিরাময় সম্ভব। এমরা এ পর্যন্ত লিভার ক্যান্সারের উপরের যতটুকু আলোচনা করেছি জানা মতে সূত্রতে এবং লক্ষণ ভেদে যাহা পেয়েছি তাতে ১. কোলায়েড লিভার (Colloid Liver) যাহা প্রথমে আলোচনা করেছি ইহাতে রোগীর গর্মীপীড়া বা পারদ দোষ প্লীহার বি বৃদ্ধি সহ এলবুমিনুরিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। ২.ফ্যাটি লিভার(Fattyliver) এ জাতীয় রোগীর টিউবার্কেউলিস অথবা অতিরিক্ত খাদ্য অভ্যাসের ইতিহাস পাওয়া যায়। ৩. Syphilitic Inflamtion বা গর্ম্মী দোষ জনিত রোগী ধাতুগত সিফিলিসের ইতিহাস পাওয়া যায়। ৪. সিরেসিস লিভার (Cirrhosis Liver) ইহা অতি সাংঘাতিক একটি লিভারের পীড়া যাহার সহিত প্লীহার বি বৃদ্ধি থাকে। ৫. নাটমেগ লিভার (Nutmeg Liver) এই পীড়ায় সাধারণত লীভার খুব শক্ত হয় এবং রোগ আরম্ভের পূর্বে ফুসফুস কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীতে উপওে উল্লেখিত কোন কারণ না পাইলে এবং শরীরের মধ্যে অন্য কোন স্থানে প্রথমে ক্যান্সার হইয়া পরে লিভার আক্রান্ত হইলে বুঝিতে হইবে যে লিভার ক্যান্সার হইয়াছে। অনেক সময় দেখা যায় টাইফস ফিভার,তরুণ জ্বর, হৃদপিন্ডের কোন অর্গ্যেনিক পীড়া বা টিউবার্কিউলসিস পীড়ার কারনে উপসর্গ রুপে পীড়া দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের লক্ষণ বা পীড়ার সংখ্যা সাধারণত অতি অপ্ল সংক্ষক বলে দেখা যায়। লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা বা প্রতিকার, জানামতে এ ধরনের পীড়া অতি সাংঘাতিক বলে প্রতিটি চিকিৎসকই মনে করেন। তবে বর্তমানে উন্নত Diognosis এর ফলে সঠিক রোগ ধরা পড়লে লক্ষণ ভেদে Acute বা Chronic ষ্টেজে Grade 1.2.3 পর্যন্ত সঠিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগে সূচীকিৎসা দেয়া সম্ভব। প্রয়োজনী ঔষধ Arsenicalbum, Hydrestit, Carboanimalis,Lycopodium,Conium,Belladona,Sepia,Silicea&Cholestri num, ( লিভার ক্যান্সারের উৎকৃষ্ঠ ঔষধ )

শেয়ার করুন

1 comment:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়