কানিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে ১৫টির মতো গ্রুপ আছে যারা ডিলারের কাছে অস্ত্রের চাহিদা দিত। এদের একেকটি গ্রুপে ৫-৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যারমধ্যে আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীও। আর ইন্ডিয়া থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ হয়ে এ অস্ত্রের চালান আসতো। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গত আগস্টে রাজধানীতে বেশ কিছু গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনায় অনেক প্রাণহানিও হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ইত্যাদি কাজে এসব ঘটনা ঘটেছিলো। এ ঘটনায় ডিএমপির অপরাধ বিভাগ অস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নামে। গত সেপ্টেম্বরে চারটি অস্ত্রসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ভারত থেকে একটি পাচারকারী চক্র চাপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে রাজধানীতে অস্ত্র পাচার করতো।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভি্ত্তিতে রাজধানীর দারুস সালাম থানার কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, কামাল হোসেন (৩৬), রুহুল আমিন (৩০) ও মনিরু্জ্জামান শিমুল (৩৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ৫টি বিদেশী পিস্তল, ৮টি ম্যাগজিন, ও ২৪ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শিমুল চাপাইনবাবগঞ্জ হতে অস্ত্র নিয়ে আসতো ঢাকায়। অস্ত্র ও গুলি বাকিদের কাছে সরবরাহ করার সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এক সর্দারসহ চার ডাকাতকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ। এরা হলেন, ডাকাত সরদার জুলহাস আকন (৪৮), সদস্য আব্দুস সাত্তার (৪৫), রকি হোসেন সাত্তার (৩২) ও এমদাদ হোসেন (৩০)। তারা বাসাবোর একটি বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলো বলে পুলিশকে জানায়।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সর্দার জুলহাস এর আগে ১২ বছর জেল খেটে কিছুদিন আগে বের হয়েছেন। রকি ও সাত্তার ৬ বছর করে জেল খেটেছেন এবং এমদাদ ২ বছর জেল খেটে কিছুদিন আগে বের হয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়