নীলফামারী: স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। সেই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও করে বাজারে ছেড়ে দেয় ধর্ষণকারীরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার আট যুবককে আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছে ধর্ষিতা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার নিজ ভোগডাবুড়ি গ্রামে। বখাটেরা হলো, জেলার ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জের মিজাউ (২২), রানা (২৭), মতিউল (২৬), মনোয়ার (২৮), রুবেল (২৫), মিজানুর (২৩), রইসুল (২৬) এবং পর্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের চিলাপাড়া গ্রামের মশিউর রহমান (৩৮)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী গ্রামের সদ্য বিবাহিতা এক কলেজ ছাত্রীর ৭ দিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১২ই অক্টোবর বিকালের দিকে তার স্বামীর সাথে একই ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ বন বিভাগে তারা দুজনেবেড়াতে যায়। বনবিভাগের বিভাগের বিবন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক তাদেরকে আটক করে। পরে মেয়েটির স্বামীকে গাছের সাথে বেধে রাখে। এরপর মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে স্বামীর সামনে গনধর্ষন করে বখাটের দল। ধর্ষনের পর মেয়েটিকে তার স্বামীর কাছে এনে বিবস্ত্র অবস্থায় নানা অঙ্গভঙ্গীতে মেয়েটির ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। স্বামী স্ত্রী মান সম্মানের ভয়ে তারা এতদিন ঘটনাটি চেপে যয়। কিন্তু ধর্ষণকারীরা ওই ভিডিও চিত্রটি গত ২২ অক্টোবর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন হাট-বাজারে ছেড়ে দেয়। যা চিলাহাটি ও গোসাইগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান হয়ে স্থানীয় যুবকদের মোবাইলে পৌছে যায়। এ নিয়ে চিলাহাটি ও আশে পাশের এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হলে ধর্ষিতার ও তার স্বামী মুখ খুলে। নিরূপায় হয়ে তারা এ ঘটনার ১১ দিন পর ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডোমার থানায় একটি মামলদ্দায়ের করে। মামলা নং-১০, তারিখ-২৩/১০/২০১৪ইং। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। -
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়