এ.বি. নয়ন •
বাংলাদেশিরা ক্রিকেট পাগল; সারা বিশ্ব জানে এ কথা। আরো একবার নিজেদের এই পরিচয় তুলে ধরলো ঢাকার ক্রিকেটপ্রেমী সমর্থকরা। বুধবার অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মাঠে বসে দেখার জন্য মঙ্গলবার টিকেট বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যাংকের সামনে দেখা গেছে প্রচণ্ড ভিড়। একটি মাত্র টিকেটের জন্য দেখা গেছে শত শত মানুষের অন্তহীন অপেক্ষা। যা শুরু হয়েছিলো সোমবার বিকেল থেকেই। তারপর রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন!
চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই, মুশফিকদের খেলা দেখার জন্য এ দেশের মানুষের কি তুমুল আগ্রহ। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের মানুষের যে তা নেই, এ কথা বলা যায় নির্দ্বিধায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইউসিবি ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও এতোটুকু ক্লান্তি দেখা যায়নি কারো চোখে-মুখে।
ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বেড়ে যায় টিকেটের চাহিদা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকিট ছাড়া হয়েছে অপর্যাপ্ত। ইউসিবি ব্যাংকের ছয়টি শাখা টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করছে। মঙ্গলবার ইউসিবি ব্যাংকের ধানমণ্ডি-২৭ শাখা ঘুরে জানা গেছে, সেখানে মাত্র আটশ’ টিকিট বিক্রয় করা হবে। কিন্তু শে পর্যন্ত আসলে কতোগুলো টিকিট বিক্রয় করা হয়েছে, সে বিষয়ে ধোয়াশা দেখা দিয়েছে শাখাটির ভিতরে গিয়ে।
দেখা গেছে, শাখাটির প্রধান গেটে একজন কর্মকর্তা টিকেট প্রত্যাশীদের একটি করে টোকেন দিচ্ছেন; যেটি ভিতরে দেখিয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে। টোকেন দেওয়ার ক্ষেত্রে নজীরবিহীন অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। ২০ মিনিট অন্তর টোকেন দেওয়া হয়েছে মাত্র চারজনকে। ফলে সোমবার বিকেল থেকে দাঁড়িয়ে আছেন, এমন অনেক লোককেও টিকিট না পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত দেখা গেছে। বাইরের মতো ব্যাংকের ভিতরেও ছিলো চরম অব্যবস্থাপনা। ম্যানেজার ও অপারেশন ম্যানেজারের পরিচিত লোকদের টিকিট নিতে দেখা গেছে কোনো রকম লাইন বা টোকেন ছাড়াই। সাধারণ ক্রেতাদের একটির বেশি টিকিট না দিলেও, পরিচিতদের দেওয়া হয়েছে চার-পাঁচটি করে।
সাধারণ ক্রেতাদের সব মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টিকেট। বাকি টিকেট কোথায় গিয়েছে; এ প্রশ্নের উত্তর মেলানোর জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ মিলেনি। টিকেট ‘বিতরণের’ ব্যস্ততায় কথা বলার সময় হয়নি তাদের।
এমন অব্যবস্থাপনার বলি হয়ে বহু লোককে ফিরতে হয়েছে টিকিট না পাওয়ার হাহাকার নিয়ে।
একই রকম অবস্থা দেখা গেছে গুলশান শাখায়ও। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বললেও সদুত্তর মিলেনি কোনো। ব্যাংক কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে যেনো জিম্মি হয়েছিলেন তারাও!---পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়