চট্টগ্রাম: নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর দেওয়া পাল্টা প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘ বিরোধী দলীয় নেত্রী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে পাঁচজন করে নাম দিতে বলেছেন। আমার জানা মতে চারজন মারা গেছেন। তিনজন অসুস্থ। ছয়জন দায়িত্ব পালনে সম্মত নয় । তাই এ প্রস্তাব অবাস্তব।’
মঙ্গলবার সকালে নগরীর সিটি গেইট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়া কালভার্ট ও ব্রিজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেত্রী হোম ওয়ার্ক করে আসেননি। খোঁজ খবর নিয়ে আসেননি, আসলে তার প্রস্তাবে ভুল থাকতো না। যদি খোঁজ খবর নিয়ে মাননীয় বিরোধী দলের নেতা প্রস্তাব দিতেন তাহলে হয়তো পূর্ণাঙ্গ একটি প্রস্তাব পাওয়া যেতো।‘
‘এখন প্রস্তবটি একেবারেই অবাস্তব। কারণ সরকারে অন্তর্ভূক্ত করতে যাদের কথা তিনি বলছেন তাদেরকে পাওয়াই যাচ্ছে না। কাজেই আলাপ আলেচনা করে ফর্মুলা দিলে ভালো হতো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা সংলাপ ও সমঝোতার একটি দুয়ার খুলে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’
দু’দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ভালো নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ অবস্থান গণতন্ত্রের শত্রুদের উৎসাহিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে আকবর আলী খান, ব্যারিস্টার রফিকুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন দাবি করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন,‘এ ইতিবাচক পথ ধরেই বিরোধী দলের নেতা যদি ইতিবাচক সাড়া দিতেন তাহলে সমস্যার সমাধান হতো।’
“এটা এমন কোন সমস্যা নয় যে এর সমাধান করা যাবে না। আমাদের সংবিধানেই বিকল্প সমাধানের পথ রয়েছে। আলাপ আলোচনা শুরু করলে সমাধানে পৌঁছা কোন কঠিন কাজ নয়।”
প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বললেও সরকার প্রধান কে হবেন তা স্পষ্ট করেননি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা করলেই সমাধান আসবে। সংসদ অধিবেশন চলছে। সেখানে এসে বিরোধী দল তাদের ফর্মুলা দিতে পারে।
আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত।‘
তিনি বলেন,‘আসলে মূল সমস্যাটা হলো অবিশ্বাস। এ অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙতে হবে। আমি এখনো মনে করি রাজনীতির আকাশে যে কালো মেঘ জমেছে তা কেটে যাবে। আমরা একটি সমাধানের পথ খুঁজে পাব।’
বিএনপি ছাড়া এরশাদ নির্বাচনে যাবেন না এমন ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘এরশাদ সাহেবের মুখ থেকে শেষ কথা শোনার জন্য আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে।’
এ সময় যোগাযোগ মন্ত্রী জানান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের কাজ চলতি অর্থ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদি যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৪৪টি কালভার্টের মধ্যে ২২৮টি কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৩টি ব্রিজের মধ্যে ১৩টি ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ব্রিজ ও কালভার্টের ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়