ঢাকা : বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুকে হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের ২৫ জন সদস্য।
আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে এদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্রসমাজ ও ছাত্র সংগঠনসমূহের ভূমিকা অগ্রগণ্য। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বহু ছাত্রনেতা এ যাবৎ জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও এসব ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। আর তাই এখন ছাত্রনেতারা এই জঙ্গিবাদীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুর ফেসবুক টাইমলাইন ও ফ্যানপেজে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক ও প্ররোচনাপূর্ণ বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা আশঙ্কাজনক। বাপ্পাদিত্য বসুর ছবির সাথে বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পোস্টার তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে এই ছাত্রনেতাকে এখন জঙ্গিদের মধ্যে পরিচিত করানো হচ্ছে, যাতে সহজেই তাকে হত্যা করা যায়।
তারা আরো বলেন, যদি বাপ্পাদিত্য বসুর ওপরে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা সংঘটিত হয় তবে তার দায় জামাত-শিবির-বিএনপি-ছাত্রদল তথা ১৮ দলীয় জোটকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে সংসদ সদস্যরা আরও উল্লেখ করেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনসমূহ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির উপর হত্যা-আক্রমণ পরিচালনা করার মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাত-শিবির-হেফাজত জোট বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী-তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা ইতোমধ্যেই এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা-আক্রমণ পরিচালনা করছে। এই অন্ধকারের শক্তি এসব অপকর্মের মধ্য দিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ প্রতিহত করতে চায়।
ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসুকে মৌলবাদী জঙ্গিবাদী অপশক্তি কর্তৃক হত্যার হুমকি প্রদানের ঘটনা এসবের পূর্ব আলামত মাত্র। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলে লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুসহ ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত তরুণদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), মঈনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৭), মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (ঢাকা-৭), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), খান মো. টিপু সুলতান (যশোর-৫), শওকত মোমেন শাহজাহান (টাঙ্গাইল-৮), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১), মো. শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), হায়াতোর রহমান খান (ময়মনসিংহ-২), গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (পাবনা-৫), জিন্নাতুন্নেসা তালুকদার (সংরক্ষিত-১১), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-৬), মো. আব্দুল বাতেন (টাংগাইল-৬), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-২), ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), মোল্লা জালালউদ্দিন (খুলনা-৪), মো. সফিকুল ইসলাম (ঝিনাইদহ-২), সৈয়দ মহসীন আলী (মৌলভীবাজার-৩) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এস কে আবু বাকের (নড়াইল-২)।---ডিনিউজ
আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে এদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্রসমাজ ও ছাত্র সংগঠনসমূহের ভূমিকা অগ্রগণ্য। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বহু ছাত্রনেতা এ যাবৎ জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও এসব ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। আর তাই এখন ছাত্রনেতারা এই জঙ্গিবাদীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুর ফেসবুক টাইমলাইন ও ফ্যানপেজে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক ও প্ররোচনাপূর্ণ বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা আশঙ্কাজনক। বাপ্পাদিত্য বসুর ছবির সাথে বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পোস্টার তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে এই ছাত্রনেতাকে এখন জঙ্গিদের মধ্যে পরিচিত করানো হচ্ছে, যাতে সহজেই তাকে হত্যা করা যায়।
তারা আরো বলেন, যদি বাপ্পাদিত্য বসুর ওপরে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা সংঘটিত হয় তবে তার দায় জামাত-শিবির-বিএনপি-ছাত্রদল তথা ১৮ দলীয় জোটকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে সংসদ সদস্যরা আরও উল্লেখ করেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনসমূহ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির উপর হত্যা-আক্রমণ পরিচালনা করার মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাত-শিবির-হেফাজত জোট বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী-তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা ইতোমধ্যেই এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা-আক্রমণ পরিচালনা করছে। এই অন্ধকারের শক্তি এসব অপকর্মের মধ্য দিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ প্রতিহত করতে চায়।
ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসুকে মৌলবাদী জঙ্গিবাদী অপশক্তি কর্তৃক হত্যার হুমকি প্রদানের ঘটনা এসবের পূর্ব আলামত মাত্র। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলে লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুসহ ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত তরুণদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), মঈনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৭), মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (ঢাকা-৭), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), খান মো. টিপু সুলতান (যশোর-৫), শওকত মোমেন শাহজাহান (টাঙ্গাইল-৮), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১), মো. শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), হায়াতোর রহমান খান (ময়মনসিংহ-২), গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (পাবনা-৫), জিন্নাতুন্নেসা তালুকদার (সংরক্ষিত-১১), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-৬), মো. আব্দুল বাতেন (টাংগাইল-৬), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-২), ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), মোল্লা জালালউদ্দিন (খুলনা-৪), মো. সফিকুল ইসলাম (ঝিনাইদহ-২), সৈয়দ মহসীন আলী (মৌলভীবাজার-৩) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এস কে আবু বাকের (নড়াইল-২)।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়