Saturday, October 5

দুর্বার গতিতে মোটর বাইক

মুরসালিন তারিফ: “দিন যাচ্ছে গাড়ি বাড়ছে, তাই জ্যামের ফাঁদে আটকে পড়ছে মানুষ” দিনের পর দিন এই ফাঁদে আটকে থাকা মানুষগুলোর প্রতিদিনই অনেক সময় নস্ট হচ্ছে এই রাস্তাতেই। একটি পরিসংখায় দেখা গেছে রাজধানীর প্রায় সব মানুষই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ ঘন্টাই কাটাতে হয় রাস্তায়। আর এই সময়গুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এদেশ অনেকটাই এগিয়ে যেত। পক্ষান্তরে দিন দিন এই পরিস্থিতি ভয়ানক আকারে রুপ নিচ্ছে। তবে প্রতিটি জনগন এই অবস্থা হতে পরিত্রান পেতে উদগ্রীব, সমস্যা সমাধান না হওয়াতে নিচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থা। যানজটের  কারণে নির্দিষ্ট সময় কর্মস্থলে পৌছানোর জন্য মটরবাইক বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে।

দুই চাকার এই যান যেকোন আয়তনের রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তবে কোন প্রকার বাধার সম্মুক্ষীনহতে হয় না । এর ফলে অতি মূল্যবান সময়ও অনেক সাশ্রয় হয়। দেশের অধিকাংশ স্থানে মোটর সাইকেলের শো-রুম মিলবে বংশাল,বাংলামোটর, মকবাজার, কাকরাইল ও উত্তরায়ও বেশ কেয়কটি জনপ্রিয় বাইকের দোকান রয়েছে। বংশাল এ আবস্থিত আব্দুল হালিম এন্ড ব্রাদার্স এ পাওয়া যাবে নতুন নতুন মডেলের প্রায় সকল বাইক। খুব সহজেই পছন্দের মত  সংগ্রহ করা যাবে।
মোটর বাইকের দাম: 
পালসার: ১৫০ সিসি- দাম:১,৯৯,৯০০ টাকা
ডিসকভার: ১০০ সিসি- দাম:১,৩৯,৯০০ টাকা
হিরো গ্ল্যামার: ১২৫ সিসি- দাম: ১,৫৬,০০০ টাক

হিরো হাঙ্ক: ২,০১,০০০ টাকায়
হিরো এক্সপ্লেনার প্লাস ১০০ সিসি ক্রয়ের জন্য লাগবে ১,২৫,০০০ ও ইয়ামাহা ফ্রেজার ১৫৩ সিসি ২,৫৫,০০০ টাকাতে। এছাড়াও ১,৫৮,০০০ টাকাতে মিলবে ডিসকভার ১২৫ সিসি। তাই আমরা বলতে পারি দ্রুত চলাচলের জন্য মোটর বাইকের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আবার বাইকের অতি দ্রুত গতি আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় কাল হতে পারে। তবে রাস্তায় নিরাপত্তার , ট্রাফিক আইনের রাস্তায় বাইক স্ট্যান্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের বিনোদন প্রদানের উদ্দেশ্যে নিয়ে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু বাইক সংঘঠন। এদের মধ্যে হন্ট রাইডার, ড্রেড রাইডার্জ, গোস্ট রাইডার, বাইক বিডি ও বিডি মোটর সাইক্লিস্ট অন্যতম। সারাদেশের মোটর সাইকেলের স্ট্যান্ট নারীদের সঙ্গী করে ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ন নিরাপদ রাস্তার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

মানুষকে বিভিন্ন কলা-কৌশল প্রদর্শণের মাধ্যমে বিনোদন প্রদানের উদ্দেশ্যে নিয়ে ২০১২ সালের ৫ আগষ্ট ড্রেড রাইডারর্জ এর যাত্রা শুরু হয় পুরাণ ঢাকায় নায়েম, ইফতি, ইমু,জন,সাজিদ ও মিরাজুল ইসলাম এদের হাত দরে। তবে এরা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য 
হলেও বর্তমানে নিয়মিত স্ট্যান্ড রাইডার আছেন ২৫ জন তালিকাভুক্ত সদস্য প্রায় শতকের অধিক । এদের মধ্যে অন্যতম সদস্য নায়েম তার স্বপ্নের কথা জানান, স্ট্যান্ট এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়। এর পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা কমবে এবং শিল্প বিঞ্জাপন, ফিল্ম বিষয় গুলোতেও অনেক ভুমিকা রাখতে পারে এই স্ট্যান্ট।  তাই স্ট্যান্টকে পপুলার করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও স্বপ্ন। আমাদের একটু সচেতনতাই পারে দেশের বহু সংখ্যক দূঘর্টনা কমিয়ে আনতে পারে। এ জন্য মানতে হবে ট্রাফিক আইন তবেই কমবে মানুষ হত্যা।--ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়