ব্রাহ্মণবড়িয়া: অনেক দুঃখ আর কষ্ট পাড়ি দিয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এখন হাঁস পালনই হাসিনার মূখে হাঁসি ফুটিয়েছে। ব্রাহমনবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী কানাইনগড় গ্রামের হাসিনা বেগম। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে গুটি কয়েকটি হাঁস পালনের মাধ্যমে হাটি হাটি পা পা করে আজ সাফল্যের দোর গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছেন। কানাইরগড় গ্রামের মধ্যপাড়ায় ছোট্ট একটি জলাশয়ে শ তিনেক হাস পালন করছেন তিনি। গ্রামের মধ্যপাড়ার কৃষক রফিক মিয়ার নিঃসন্তান স্ত্রী হাসিনা বেগম হাসি (৪৫)। ৫ বছর পূর্বেও দাঁদনের টাকায় সংসার চলতো তাদের। ঘড়ে রয়েছে পালিত এক কন্যা। বিয়ের বয়স হয়েছে তার, সামর্থ্য ছিলো না টাকা-পয়সা ভেঙ্গে বিয়ে দেবার। হাসিনা বেগম ২০০৮সালে প্রথমে ৪টি হাঁসের ছাঁনা কিনেন ১’শ টাকায়। শাঁমুক কুঁড়িয়ে সন্তানস্নেহে পালন করতে থাকেন এগুলোকে। ৫ মাস পরই ডিম পাড়তে শুরু করে হাঁসগুলো। ডিম বিক্রি করে হাসি আরো ২০টি হাঁসের ছানা কিনেন। ঘটতে থাকে সংসারে নীরব বিপ্লব। ধীরে ধীরে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। সেই ২০টি হাঁসের ছানা বেড়ে ২০১৩ সালে হাসি বেগমের প্রায় ৩’শ হাঁস। দৈনিক ডিম আসে গড়ে প্রায় ১’শটি। যার বাজারমূল্য দৈনিক ৮/৯’শ টাকা। পরিবারে খরচ হয় দৈনিক মাত্র ৩’শ টাকা। বাদবাকী টাকা সঞ্চয় করে সম্প্রতি পালিত কন্যাকেও ভালো ঘড়ে বিয়ে দিয়েছেন তারা। স্বামীকে আসছে কোরবানী ঈদে ব্যবসার উদ্দেশ্যে দুটো ষাড় গরু কিনে দিয়েছেন ৬০ হাজার টাকায়। সবই হাসি বেগমের কষ্টার্জিত জমানো টাকা থেকে। হাঁসের খাবারের জন্য দৈনিক খরচ প্রায় ২’শ টাকা। এখন হাসিনা বেগম নিজেই বাড়ির সামনে জলাশয় তৈরী করেছেন। হাসিনা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন ‘আমার হাসগুলান দেইখ্যা অনেকের হিংসা হইতাছে। তাই ঝুকি নিমু না। বাড়ীর সামনেই পুকুরের মতো কইরা হাসগুলানরে চোখের সানে সন্তানের মতো আগলাইয়া রাখছি। কেউ যেন ক্ষতি করবার না পারে’।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
প্রতিবেদন
ফিচার
সাফল্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়